জায়ফলের মধ্যে “মেইস” নামক একটি উপাদান আছে, যা ফাংগাস এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী। ব্রণের মূল কারণ হলো মুখের ত্বকে ব্যাকটেরিয়া এবং ফাংগাসের আক্রমণ। সুতরাং বুঝতেই পারছেন জায়ফল কিভাবে ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে। প্রথমে একটি বাটিতে জায়ফল গুড়া, মধু এবং একটু দুধ নিন।এবার ভালোকরে এগুলো এমনভাবে মেশান যেন তা পেস্টের মতো হয়।এইরকম পেস্ট বানিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ব্রণে আক্রান্ত জায়গাগুলোতে ভালভাবে লাগান।পরদিন সকালে হালকা ভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন।এভাবে প্রতিদিন ব্যবহারে আপনি নিজেই ফলাফল টের পাবেন। এই পেস্টটিকে আপনি স্পট ক্রিম হিসাবে মুখের দাগ দূর করতেও ব্যবহার করতে পারেন প্রতিদিন ৯-১০ গ্লাস পানি খাবেন। ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রস খুব উপকারী। কারণ তুলসি পাতায় আছে আয়ূর্বেদিক গুণ। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণআক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরমপানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়া রাতে শোয়ার আগে ডিমের সাদা অংশ ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় মেসেজ করে সারারাত রাখতে পারেন।এটি আপনার ত্বকের খসখসে ভাব দূর করে।সবচেয়ে ভাল হয় যদি এর সাথে লেবুর রস যোগ করা যায়।আপনি এটি সারারাতও রাখতে পারেন আবার আধ ঘন্টা পরও ধুয়ে ফেলতে পারেন। কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে।মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষন পর শুকিয়ে গেলে মুখঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে। আপেল এবং মধু এর মিশ্রণ হচ্ছে ব্রণের দাগ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেষ্ট তৈরি করে তাতে ৪-৬ ফোঁটা মধু মিশাতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করে এরপর মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে এবং কমপ্লেকশন হালকা করে। সপ্তাহে ৫-৬ বার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি কয়েকদিনের মধ্যে পরিবর্তনটা অনুভব করতে পারবেন।
রূপচর্চার আর দশটা বিষয়ের চাইতে ব্রণের বিষয়টি সবসময়ই রূপসচেতন মানুষের কাছে একটু বাড়তি গুরুত্ব পেয়ে আসছে। কেননা এমনিতে কারো ত্বক উজ্জ্বল হোক কিংবা অনুজ্জ্বল যাই হোক না কেন ব্রণের সমস্যা যখন সেই ত্বকে যোগ হয় তখন রূপচর্চার চাইতে রূপের স্বাভাবিকতা ধরে রাখাটাই হয়ে ওঠে বড় একটি চ্যালেঞ্জ। এ কারণে রূপ বিশেষজ্ঞের চেম্বার থেকে শুরু করে পত্রিকার পাতা অবধি সবখানেই ব্রণ মোকাবেলার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর ফলে ব্রণ কেন হয় এবং কীভাবে ব্রণের সমস্যা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা যায় সেটি নিয়ে অনেকেই কমবেশি জানেন।
সাধারণত শুষ্ক এবং তৈলাক্ত দু ধরনের ত্বকেই কমবেশি ব্রণের দেখা মেলে। তবে আনুপাতিক হারে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরাই ব্রণ সমস্যায় বেশি ভোগেন। এছাড়া ব্রণের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সহজ-স্বাভাবিক আরও যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেগুলো হলো—
♠ বেশি করে পানি খাওয়া।
♠ চুলে খুশকি থাকলে তা দূর করা।
♠ খাবারের তালিকায় শাকসবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া।
♠ ভাজা-পোড়া খাবার এড়িয়ে চলা।
♠ নিয়মিত গোসল করা।
♠ পেটের সমস্যা থাকলে পেট পরিষ্কার রাখার উদ্যোগ নেওয়া।
♠ ভিটামিন ও মিনারেল-যুক্ত খাবার খাওয়া।
♠ পরিধেয় বস্ত্র ও তোয়ালে পরিষ্কার রাখা।
♠ দুশ্চিন্তা না করা।
♠ সম্ভব হলে মাসে একবার ফেসিয়ালের মাধ্যমে ত্বকের উপরিভাগ পরিষ্কার রাখা।
♠ তৈলাক্ত ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লোশন ব্যবহার করা।
জায়ফল ইংরেজিতে নাটমেগ নামে পরিচিত, যার বৈজ্ঞানিক নাম মাইরিসটিকা ফ্রাগরেন্স । জায়ফলের মধ্যে “মেইস” নামক একটি উপাদান আছে, যা ফাংগাস এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী। ব্রণের মূল কারণ হলো মুখের ত্বকে ব্যাকটেরিয়া এবং ফাংগাসের আক্রমণ। সুতরাং বুঝতেই পারছেন জায়ফল কিভাবে ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে। কথা না বাড়িয়ে এবার জেনে নিই ব্রণের চিকিৎসায় জায়ফলের ব্যবহার।
“উক্ত পেস্টটিকে আপনি স্পট ক্রিম হিসাবে মুখের দাগ দূর করতেও ব্যবহার করতে পারেন”
২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার – ১ বা দেড় চা চামচ লেবুর রস – ১ বা দেড় চা চামচ বেকিং সোডা পদ্ধতিঃ – প্রথমে একটি পরিষ্কার বাটিতে আপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে এতে তাজা লেবুর রস চিপে দিন। এরপর এতে দিন বেকিং সোডা – বুদবুদ বা গ্যাস দেখে ভয় পাবেন না। কিছুক্ষন রেখে দিন ও গ্যাস বের হয়ে যেতে দিন। – ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিয়ে এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে পুরো ত্বকে লাগাতে পারেন অথবা শুধুমাত্র ব্রণের উপরেও লাগাতে পারেন। – ১৫-২০ রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।