শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
DipRoyrand1

Call

স্মার্ট হওয়ার প্রথম শর্ত হলো আপনাকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। পোশাক আশাক সুন্দর হলেই যে আপনি স্মার্ট হবেন তা নয়। গুছিয়ে কথা বলা; উপস্থিত বুদ্ধি; পরিষ্কার পরিছন্ন; যে কোনো পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়া এবং নিজের আশে পাশের সম্পর্কে ভালো জানা শোনা থাকা স্মার্ট হওয়ার কিছু অন্যতম দিক। এই সব দিক গুলো নিয়মিত চর্চার মাধ্যমেই অর্জন করা সম্ভম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Sanjoyrand1

Call

আমরা সবাই নিজেকে স্মার্ট হিসেবে দেখতে পছন্দ করি। কিন্তু অনেক সমই না বুঝেই অনেক কিছু করি যা আমাদের করা উচিত না। যখন আপনি নিজেকে দেখছেন ভাবুন আপনি পৃথিবীতে সবচেয় সুন্দর মানুষ। গর্বিত হউন যদি আপনার কান বড়, বা নাক ছোট হ্য় কারন এগুলো আপনাকে সব থেকে আলাদা করেছে। যখন আপনি নিজের সঙ্গে আরামদায়ক হবেন, সর্বদা এটা আপনাকে উজ্জিবীত করবে। একটি ক্যামেরার সামনে ভাল ছবি হল নিজের উপর আস্থা, তেমনি সবার সামনে স্মার্ট দেখাটাও নিজের আস্থার উপর নির্ভর করে । বাড়ীতে একটা আয়না সামনে অঙ্গবিন্যাস অভ্যাস করুন, আপনি যদি মনে করেন আপনি দেখতে ভালো, সম্ভবত তাই। যদি আপনি ভোর -সকালে উঠেন, তাহলে আপনি আপনার ঠোঁট উপর বিশুদ্ধ গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। পরের দিন সকালে যখন নিদ্রা হতে জাগবেন আপনার ঠোঁট এর দিকে তাকান দেখবেন কিছু পরিবর্তন, সব সময় পরিস্কার থাকতে চেষ্টা করবেন যা আপনার আস্থা কে আরো বাড়িয়ে দিবে।আপনার কোমর এক বা দুই হাত লাগান যা সবসময় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে যে আপনার পা সামান্য লম্বা। আপনি ও তাই মনে করবেন ফলে মনে আস্থা বাড়বে। সবার সামনে মুক্ত এবং নরমাল থাকুন। নিজের মতামত গুলো অনুশীলন করুন প্রথম একটি আয়না সামনে। কখই অপ্রস্তুত বোধ না। খুব সক্রিয় থাকুন এবং প্রশ্নবাণে জর্জরিত যেন না হন সে চেষ্টা করবেন। নরমাল ভাবে নড়াচড়া করুন নাচুন, এবং মজা করুন। মুখে সব সময় হাসি রাখুন। কখনই নার্ভিস অনুভব করবেন না। আপনাকে আপনার ব্যক্তিত্ব, আপনার সহজাত দক্ষতা, আপনার কমনীয়তা, এবং আপনার শারীরিক আবেদন প্রকাশ করতে সক্ষম হতে হবে।আপন ব্যক্তিত্ব হচ্ছে একটি স্বাধীন নিজেস্ব চিন্তাভাবনার প্রকাশ। যদি তা না পারেন তবে আপনি জীবিত খাওয়া যেতে পারেন। আপনি সর্বদা নতুন মানুষের সাথে মিলবেন এবং নতুন অবস্থার মধ্যে হাঁটবেন আপনি। অপরিচিত দের সামনে প্রতিদিন আপনাকে কার্য সম্পাদন করতে হবে। আপনা কে নতুন অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ, এবং নতুন মানুষের সম্মিলন পছন্দ করতে হবে। যদি আপনি লাজুক এবং সংরক্ষিত ভাবে চলতে চান আপনি অস্বস্তিকর অবস্থায় পরবেন। যে পরিমান কথা বলা প্রয়োজন শুধু সেই পরিমানই কথা বলবেন। কিছু আতিরিক্ত বা বানিয়ে বলবেন না। উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং ইচ্ছা আপনার লক্ষ্য অর্জনে আপনাকে সাহায্য করবে।আপনি থেকে অঙ্গবিন্যাস জন্য আপনার স্বাস্থ্য (আকার এবং ফিটনেস), আপনার শরীরের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হতে হবে।আপনার সময়সূচী, আপনার অর্থ, আপনার কর্ম উপাদান সম্পর্কে অবগত রাখতে হবে। কোন কাজ কালকের জন্য রাখবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Feroza

Call

যেভাবে নিজেকে স্মার্ট হিসেবে তুলে ধরবেনঃ

• নিজেকে স্মার্ট হিসেবে তুলে ধরার প্রথম শর্ত হল যখনই আপনি হাঁটবেন কোন দিকে বেশী হেলে অথবা খুব বেশী দুলে দুলে না হেঁটে সোজা হয়ে হাঁটুন। পিঠ ও ঘাড় টান টান রেখে দৃষ্টি সামনে প্রসারিত করুন। আপনার হাঁটার ধরণ আপনার আত্মবিশ্বাস ও আপনার স্মার্টনেস প্রকাশ করবে।

• কখনোই এমন কোন পোশাক পরবেন না যেটাতে আপনি নিজে স্বস্তি অনুভব করেন না। পোশাক সেটা যেমনই হোক সেটা যেন আপনাকে স্বস্তি প্রদান করে, তাছাড়া আপনি অস্বস্তিদায়ক পোশাক পরে কখনোই নিজেকে স্মার্টলি তুলে ধরতে পারবেন না।

• পোশাক সেটা নতুন বা পুরাতন যেমনই হোক কথা হল সেটা অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে। আপনার বহুল ব্যবহৃত শার্টটিও স্মার্ট দেখাতে সাহায্য করবে যদি সেটি পরিষ্কার আর পরিপাটি হয়। আর আপনার হাল ফ্যাশনের নতুন শার্টটিও আপনাকে স্মার্ট হিসেবে প্রকাশ করতে পারবেনা যদি সেটি অপরিষ্কার আর এলোমেলো হয়।

• নিজের পোশাক আশাকের সাথে সাথে নিজের শরীরের পরিচ্ছন্নতার দিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। যতোটা সম্ভব নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও গুছিয়ে রাখুন। খেয়াল রাখুন আপনার হাতের নখগুলো যেন খুব বেশী বড় না হতে পারে, চুলগুলো পরিষ্কার রাখুন আর বাইরে বের হওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যেন আপনার চেহারা ও সার্বিক দিক একদম গোছানো অবস্থায় আছে কিনা।

• নিজেকে স্মার্ট হিসেবে তুলে ধরার আরো একটি ভালো মাধ্যম হলো আপনার বাচনভঙ্গী। কথা বলার সময় জড়িয়ে কথা বলা বর্জন করুন, খুব দ্রুত কথা না বলে প্রতিটি কথার মাঝখানে কিছুটা সময়ের ব্যবধান রাখুন, শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করুন, কথায় কথায় ইংরেজি না বলে সীমিত কিছু ইংরেজি শব্দ ব্যবহারের চেষ্টা করুন।

• স্মার্ট হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে গিয়ে সব কথার মধ্যে কথা বলতে যাবেন না। বিশেষ করে যে বিষয়ে আপনার কোন ধারণা নেই সেসব আলোচনায় সরাসরি অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে অজানা বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারেন।

• মুখটা খুব বেশী গম্ভীর বা ভাব গাম্ভীর্যে ভরপুর না রেখে মুখে আলতো একটি হাসি রাখুন, এটি আপনার বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের প্রকাশ ঘটাবে। যদি কখনো অপ্রীতিকর অবস্থার সম্মুখীন হন তাহলে কিম্ভূতকিমাকার না হয়ে মৃদু হেসে পরিস্থিতি সামাল দিন। আপনার স্মার্টনেস প্রকাশের এইটি আরো একটি মাধ্যম।

• নিজেকে স্মার্ট করতে গিয়ে আপনি যা নন তা করবেন না। নিজের আসল সত্ত্বাকে উপেক্ষা করবেন না, মনে রাখবেন মেকি কোন কিছুই দীর্ঘস্থায়ী হয়না। তাই আপনি যা সেভাবেই নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে স্মার্ট করে উপস্থাপন করুন।

নিজেকে স্মার্ট করে তুলতে যতবেশি পারেন স্মার্ট লোকজনের সাথে মেলামেশা করুন। স্মার্টনেস (smartnes) মানে এই নয় আপনি স্বয়ংসম্পূর্ণ, প্রয়োজনে অন্যের সাহায্য নিন আর অন্যের প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

নিজেকে আরও স্মার্ট বানাতে চান? জেনে নিন এই টিপসগুলো

রাতারাতি স্মার্টনেস বাড়ানো যায় না। তার জন্য নিজেকে সেইভাবে তৈরি করতে হয়। কিছু শিখতে হয়।যদি আপনি নিজেকে ততটা স্মার্ট মনে না করেন, তাহলে জেনে নিন এই টিপসগুলো.. 

অনেকেই সিগারেট বা চুরুটকে স্মার্টনেসের প্রতীক ভাবেন। অনেকে মদ্যপান দ্বারাও নিজেকে স্মার্ট প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এটা একেবারেই ভুল। কোনও কিছুর প্রতি আসক্তি পুরুষ অথবা নারীর স্মার্টনেসে ধাক্কা দেয়। কোনও কিছুর উপরে নির্ভরতা কমায় আত্মবিশ্বাস। আর আত্মবিশ্বাসই তো আসল স্মার্টনেস।

এই শেখাটা মন থেকে শিখতে হবে। নতুন কোনও শব্দ, নতুন কোনও তথ্য আপনাকে প্রতিদিন জানতে হবে। শুধু জানলেই হবে না, সেগুলো ব্যবহারিক জীবনে কাজে লাগাতে হবে। কোনও শব্দ শিখলে দিন কমপক্ষে তিনবার তিন জনের সঙ্গে কথাবার্তায় সেটা ব্যবহার করুন।

আপনার কি কোনও বিশেষ শখ আছে? যদি না থাকে, তবে এখনই কোনও শখে মেতে পরুন। ফুলের বাগান থেকে ডাকটিকিট জমানো— যা খুশি করুন। এটা কোনও একটা বিশেষ পছন্দের জগৎ তৈরি করে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। আত্মবিশ্বাসী মানুষই স্মার্ট।

কোনও কিছুই একদিনে হয় না। আপাতত শুরু করুন ছোটদের ক্রসওয়ার্ড বা শব্দের খেলা দিয়ে। পাজল ভিডিও গেমসও উপকারে আসবে।

সব সময় পজিটিভ ভাবুন। নেগেটিভ ভাবনা, অপরের সম্পর্কে নেগেটিভ আলোচনা, এমনকী নেগেটিভ আলোচনার মধ্যে থাকাও স্মার্টনেস কমিয়ে দেয়। আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। নিয়মিতভাবে একটা পজিটিভ আবহে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।


তবে মনে রাখবেন, ‘স্মার্টনেস’ একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। অতএব, স্থান ও কাল বুঝেই করবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ