আসসালামু আলাইকুম হুজুর, ধরেন, আমি আল কুরআনের শেষের ১০টি সূরা পারি, এক্ষেত্রে নামাজে আমি কিভাবে সুরা তিলাওয়াত করবো? আর যদি আমি ১০ এর অধিক অর্থাৎ অনেক গুলো সূরা পারি বিচ্ছিন্নভাবে এক্ষেত্রে কিভাবে তিলাওয়াত করবো???
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Habib96

Call

সূরাসমূহের তারতিব রক্ষা সুন্নাত৷ অবশ্য সূরাসমূহের তারতিব লঙ্ঘন করা হারাম নয় কিন্তু সাহাবায়ে কেরামের অনুসৃত-পদ্ধতি পরিপন্থী। কেননা এটা সত্য যে, সূরাসমূহের তারতিবের ব্যাপারে কিছু সূরার ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সরাসরি দিক-নির্দেশনা পাওয়া যায়। আবার কিছু সূরার  ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না। যার ফলে সাহাবায়ে কেরামের কাছে বিদ্যমান লিখিত-কোরআনের ‘সূরাসমূহের তারতিবে’ (শব্দ ও আয়াতসমূহের নয়) ভিন্নতা ছিল। যেমন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. এর তারতিব (ধারাক্রম), উবাই ইবনে কাব রাযি. এর তারতিব উসমান রাযি. এর কর্তৃক সংকলিত কোরআনের তারতিব থেকে আলাদা ছিল। তবে উসমান রাযি. কর্তৃক সংকলিত কোরআন মাজীদের তারতিবই সাহাবায়ে কেরামের কাছে সর্বশেষ সবচেয়ে বেশি সমাদৃত হয়েছিল। যে তারতিবের বিরোধিতা ওই সব সাহাবাও করেন নি, যাদের কাছে ভিন্ন তারতিব ছিল। আর এই তারতিবই বর্তমান মুসলিম উম্মাহর কাছে বিদ্যমান। এ কারণেই ওলামায়েকেরাম বলেন, সূরাসমূহের বর্তমান এই তারতিব রক্ষা না করা করা হারাম নয় তবে সাহাবায়ে কেরামের অনুসৃত-পদ্ধতি পরিপন্থী বিধায় মাকরূহ। (আল মাদখাল ফী দিরাসাতিল কোরআন ৩২৬,৩২৭) তবে সূরাসমূহের এই তারতিব রক্ষা করার  প্রয়োজনীয়তা  নফল নামাজের ক্ষেত্রে নেই। কেননা হাদিসে আমরা পাই, হুযাইফা রাযি. একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পিছে তাহাজ্জুদ আদায় করেছিলেন তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রথম সূরা বাকারা , তারপর সূরা নিসা , তারপর সূরা আলে ইমরান তিলাওয়াত করেছিলেন । (মুসলিম, কিতাবুস সালাত ১৬৯৭) সূত্র: কোরআনের জ্যোতি

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ