অন্ধকার আছে বলে আলো আছে একইরকমভাবে অসফলতা আছে তাই তো সফলতার এতো মূল্য,রাতের পর দিন আসে হ্যা দিনের পরও রাত আসে,জীবনে এগুলো থাকবেই,আপনার কাজ হলো লক্ষ্যে Focused থাকা। আমিও অসফল,কিন্তু আমি তাতেও খুশি কারণ আমি যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে জানি,আপনি ১০০ টাকা রুজি করলে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুন সেভাবেই চলুন,যে সুখে থাকতে চায় সে যেকোনো পরিস্থিতিতেই সুখ পায়।চাইলে মেডিটেশন করতে পারেন ১০-১৫ মিনিট তাহলে মন শান্ত হবে সঠিক সিদ্বান্ত নিতে পারবেন,তাছাড়া আল্লাহ তো আছেন তিনি দেখছেনই, যদি লাইফ চেন্জ করার ইচ্ছা থাকে মোটিভেট হতে চান Sandeep Maheswari এর ভিডিও গুলো ইউটিউবে দেখতে পারেন,দুঃখ কমবে,আর না হয় একটা ঘুম দিন ঘুম থেলে উঠে নতুনভাবে সব শুরু করুন। শুভ কামনা।
ভাই জীবনে চলতে গেলে অনেক দুঃখ কষ্ট হতাশায় পড়তে হয় এটি জীবন আর বড় হতে গেলে হতাশ নিয়ে বাঁচতে হবে আশা সপ্ন বাঁচিয়ে রাখবেন যে বড় হবেন ভেঙে পড়বে না নিজের প্রতি আতবিশ্বাস রাখুন আপনি আপনার মত করে চলোন খেলা ধুলা করতে পারেন সবার সাথে মিশুন প্রকৃতি মাঝে গোড়ে আসুন দেখবেন ভাল লাগবে ধৈর্য ধরে আল্লাহ কাছে দোয়া করুন দেখবেন আপনি আপনার লক্ষে পৌঁছে যাবেন
প্রথমে আমি আপনাকে গল্প শোনাতে চাই!জনৈক একব্যাক্তি শুনলো যে,শুক্রবার আছরের পর আল্লাহ অবশ্যই দোয়া কবুল করে।তিনি একথা শুনার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বাস করে ফেললো এবং আমল শুরু করে দিলো৷ এক-শুক্রবার আছরের পর তিনি তার ছাগলটা একটা গাছে বেঁধে রেখে আল্লাহর নিকট মোনাজাতে বসলো,আর দোয়া করছে, হে আল্লাহ! তুমি আমার ছাগলটিকে স্বর্ণ বানিয়ে দাও!এভাবে দোয়া করতে থাকলো!কিন্তু সে এসে দেখে ছাগল ছাগলই(চামরার),স্বর্ণের নয়৷ তখন সে যে মওলানার ওয়াজ শুনেছে তার কাছে গেলো এবং জিজ্ঞেস করলো,কেন আমার দোয়া কবুল হলো না!তাহলে কি তুমি মিথ্যাবাদী?মাওলানা সাহেব বললো-দেখো তুমি দোয়া করতে থাকো,নিশ্চয় আল্লাহ কবুল করবেন,এটা রাসুলের বাণী,মিথ্যা নয়৷ তখন সে আবারো দোয়া করলো এবং আবারো ব্যার্থ হলো!আবারো গেলো মওলানার কাছে,মওলানা আবারো উত্তর দিলো সেই! এভাবে সে কয়েকবার ব্যার্থ হওয়ার পর হতাশ হয়ে এক শুক্রবার দোয়া করছে,হে আল্লাহ! তুমি আমার ছাগলটিকে স্বর্ণ না বানালেও মাটি" হলে বানিয়ে দাও।তারপর সে এসে দেখে,আশ্চর্য! ছাগলটি সত্যি সত্যি মাটি হয়ে গেলো৷ তারপর সে আবারো মওলানার কাছে গেলো এবং এর ব্যাখ্যা চাইলো৷ মওলানা বললো-দেখো তুমি দোয়া করছিলে আর অপেক্ষা করছিলে কবুলের,আর আল্লাহ পাকও অপেক্ষা পরীক্ষা করছিলো তোমার ধৈর্যের। অতএব-আল্লাহ তায়ালা এই সময়ে তোমার দোয়া কবুলের সিদ্ধান্ত নিলো কিন্তু তুমি হেরে গেলে!ধৈর্য্য ও আল্লাহর পরীক্ষায়৷
এটা একটা ইসলামিক মাইন্ডের উদাহরণ।এমন হাজারো উদাহরণ, সফলতা আর ধৈর্য্য হারিয়ে অসফল হওয়ার অসংখ্য৷
আমার এই উদাহরণে দুটি দিকই রয়েছে৷ এক-আল্লাহর কাছ থেকে নৈরাশ না হওয়া।দুই-কোন কাজে ধৈর্য্য না হারানো এবং লাগাতার চেষ্টা করা৷
পরামর্শ --★আপনি টেনশন মুক্ত থাকার জন্য নামাজকে বেঁচে নিন এবং দোয়া করুন৷
★হতাশা কাটিয়ে যারা সফল হয়েছেন,এমন ব্যাক্তিদের গল্প পড়ুন৷
★নিজের উপর আত্মবিশ্বাসী হোন৷
★এমন ভাবুন যে,আপনার জন্য অনেক বড় কিছু অপেক্ষা করছে৷
★পূর্ণ বিশ্বাস এর সাথে দেয়া করুন৷দোয়া কবুল সম্পর্কে কয়েকটি শর্ত আছে,আসুন তাও একবার দেখে নি!
দোয়া কবুল হওয়ার বেশকিছু শর্ত রয়েছে। যেমন:
১. আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কাউকে না ডাকা।
এটাই হচ্ছে আল্লাহ্র বাণীর মর্মার্থ “আর নিশ্চয় মসজিদসমূহ আল্লাহ্রই জন্য। কাজেই তোমরা আল্লাহ্র সাথে অন্য কাউকে ডেকো না।”[সূরা জিন্, আয়াত: ১৮] দোয়ার শর্তগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। এ শর্ত পূরণ না হলে কোন দোয়া কবুল হবে না, কোন আমল গৃহীত হবে না।
২. শরিয়ত অনুমোদিত কোন একটি মাধ্যম দিয়ে আল্লাহ্ তাআলার কাছে ওসিলা দেয়া।
৩. দোয়ার ফলাফল প্রাপ্তিতে তাড়াহুড়া না করা। তাড়াহুড়া করা দোয়া কবুলের ক্ষেত্রে বড় বাধা। হাদিসে এসেছে, “তোমাদের কারো দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তাড়াহুড়া করে বলে যে: ‘আমি দোয়া করেছি; কিন্তু, আমার দোয়া কবুল হয়নি”[সহিহ বুখারী (৬৩৪০) ও সহিহ মুসলিম (২৭৩৫)