শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

নিচের আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পাঠ করার অনুরোধ রইল। আশাকরি সমস্যা নিরসনে যথেষ্ট কাজ করবে। ইনশাল্লাহ।  পরিবারে খুবিই অশান্তি। নানান জটিলতা। তাহলে সাকিনাহ প্রয়োজন। সাকিনাহ অর্থ প্রশান্তি। সুস্থিরতা। প্রশমন। কোরআনে শব্দটা মোট ছয়বার এসেছে। আল্লামা ইবনে তাইমিয়া ও ইবনুল কাইয়িম (রহ.) একটা আমল করতেন। যখনই জটিলতা তৈরি হতো, মনটা অশান্ত হয়ে উঠত, দুইজনই ‘সাকিনাহযুক্ত’ আয়াতগুলো তেলাওয়াত করতে শুরু করতেন। একিনের সঙ্গে। গভীর আস্থা ও বিশ্বাসের সঙ্গে। মনোযোগের সঙ্গে। বুঝে বুঝে। আয়াতের বরকতে, তাদের মনের যাবতীয় যাতনা দূর হয়ে যেত। কলবে একটা আরাম আরাম ভাব বিরাজ করতে শুরু করত। এবার দেখে নিন আয়াতগুলো: ১. ‘তাদেরকে তাদের নবী আরও বলল, তালুতের বাদশাহির আলামত এই যে, তোমাদের কাছে সেই সিন্দুক (ফিরে) আসবে, যার ভেতর তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রশান্তির উপকরণ এবং মুসা ও হারুন যা কিছু রেখে গেছে, তার কিছু অবশেষ রয়েছে। ফেরেশতারা সেটি বয়ে আনবে। তোমরা মোমিন হয়ে থাকলে তার মধ্যে তোমাদের জন্য অনেক বড় নিদর্শন রয়েছে।’ (সূরা বাকারা : ২৪৮)। ২. ‘অতঃপর আল্লাহ নিজের পক্ষ থেকে তাঁর রাসুল ও মোমিনদের প্রতি প্রশান্তি নাজিল করলেন এবং এমন এক বাহিনী অবতীর্ণ করলেন, যা তোমরা দেখতে পাওনি। আর যারা কুফর অবলম্বন করেছিল, আল্লাহ তাদের শাস্তি দিলেন। আর এটাই কাফেরদের কর্মফল।’ (সূরা তওবা : ২৬)। ৩. ‘তোমরা যদি তাঁর (নবীর) সাহায্য না করো, তবে (তাতে তাঁর কোনো ক্ষতি নেই। কেননা আল্লাহ তো সেই সময়ও তাঁর সাহায্য করেছিলেন, যখন তারা কাফেররা তাঁকে (মক্কা থেকে) বরে করে দিয়েছিল এবং তখন সে ছিল দুইজনের দ্বিতীয়জন, যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল, তখন সে তাঁর সঙ্গীকে বলেছিল, চিন্তা করো না, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন। সুতরাং আল্লাহ তাঁর প্রতি নিজের পক্ষ থেকে প্রশান্তি বর্ষণ করলেন এবং এমন বাহিনী দ্বারা তাঁকে সাহায্য করলেন, যা তোমরা দেখনি এবং কাফেরদের কথাকে হেয় করে দিলেন। বস্তুত আল্লাহর কথাই সমুচ্চ। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সূরা তওবা : ৪০)। ৪. ‘তিনিই মোমিনদের অন্তরে প্রশান্তি অবতীর্ণ করেছেন, যাতে তাদের ঈমানে অধিকতর ঈমান যুক্ত হয়। আকাশম-লী ও পৃথিবীর বাহিনীগুলো আল্লাহরই এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময়।’ (সূরা ফাতহ : ৪)। ৫. নিশ্চয়ই আল্লাহ মোমিনদের প্রতি খুশি হয়েছেন, যখন তারা গাছের নিচে তোমার কাছে বায়াত গ্রহণ করেছিল। তাদের অন্তরে যা কিছু ছিল, সে সম্পর্কেও তিনি অবগত ছিলেন। তাই তিনি তাদের ওপর অবতীর্ণ করলেন প্রশান্তি এবং পুরস্কারস্বরূপ তাদের দান করলেন আসন্ন বিজয়।’ (সূরা ফাতহ : ১৮)। ৬. ‘কাফেররা যখন তাদের অহমিকাকে স্থান দিল, যা ছিল জাহেলি যুগের অহমিকা, তখন আল্লাহ তাঁর রাসুল ও মুসলিমদের ওপর নিজ প্রশান্তি বর্ষণ করলেন এবং তাদের তাকওয়ার বিষয়ে স্থিত করে রাখলেন আর তারা তো এরই বেশি হকদার ও এর উপযুক্ত ছিল। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।’ (সূরা ফাতহ : ২৬)। পড়তে ইচ্ছা না হলে, জোর করে পড়তে হবে। ওষুধের মতো। মন সুস্থির হওয়া পর্যন্ত পড়ে যেতে হবে। পড়েই যেতে হবে। ইনশাআল্লাহ মন ঠিক হবেই হবে। (সংগৃহিত)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ