দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যায় কম বেশি অনেকেই ভুগে থাকেন। বিশেষ করে দাঁত ব্রাশ করার সময় এবং শক্ত ধরণের কোনো ফল বা অন্য কিছু খাওয়ার সময় অনেকেই মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার বিষয়টি লক্ষ্য করেন। অনেক ভাবেন মাড়ি থেকে একটু আধটু রক্ত পড়লে সমস্যার কিছু নেই বা চিন্তার কোনো বিষয় নয়। এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার বিষয়টি অবহেলা করা উচিত নয়। কিছু কাজে আপনি ঘরে বসেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে।
মধুর অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া সমস্যার সমাধান করতে পারে। দাঁত ব্রাশ করার পর আঙুলের ডগায় একটু মধু নিয়ে তা দিয়ে দাঁতের মাড়ি অল্প ম্যাসেজ করে নিন। তবে লক্ষ্য রাখবেন, দাঁতের মাড়িতেই মধু ম্যাসেজ করুন। দাঁতে মধু লাগাবেন না। এতে দাঁতে ক্যাভিটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সামান্য গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। এরবার এই পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজুন। বেকিং সোডা মুখের ভেতরের অ্যাসিড নিষ্ক্রিয় করে দেয় ফলে দাঁত ক্ষয় হওয়ার সমস্যা দূর হয় এবং সেই সাথে মাড়ির সমস্যাও।
প্রথমে একটি টী ব্যাগ গরম পানিতে খানিকক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর তা তুলে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসতে দিন। টী ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে তা মাড়ির যে অংশ হতে রক্ত পড়ছে সে অংশে ৫ মিনিট ধরে রাখুন। টী ব্যাগের ট্যানিক অ্যাসিড মাড়ির রক্ত পড়ার সমস্যা সমাধান করে।
লেবুর রস ও লবণ মিশিয়ে নিন। এরপর তা আঙুলের মাথায় লাগিয়ে তা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করুন এবং রেখে দিন ৫ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানিতে কুলি করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সমস্যা নিমেষেই সমাধান।
১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ নিয়ে তা দিয়ে কুলকুচা করে মুখ পরিষ্কার করুন। দিনে ৩/৪ বার বিশেষ করে খাওয়ার পর এই কাজটি করলে দাঁত এবং দাঁতের মাড়ি সংক্রান্ত নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আপনার সমস্যাটি দাঁতে বা মাড়িতে ইনফেকশন থেকে হবার সম্ভাবনা প্রবল। এছাড়া স্কার্ভি, ভিটামিন সি-এর ঘাটতি এর কারণেও হতে পারে। আপনাকে বলবো আপনি দন্ত চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন,নইলে সমস্যাটি আরো বাড়তে থাকবে। প্রাথমিকভাবে যা করবেনঃ দাঁত এবং মাড়িতে রসুনের রস / রসুন ঘষবেন প্রতিদিন দুইবেলা করে। লবণ গরম পানি দিয়ে দিনে তিনবার কুলকুচি করুন। সব থেকে ভাল ফল পাবেন যদি গ্রিন টি ব্যাগ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি দিয়ে কুলি করতে পারেন। ৫মিনিট ধরে কুলকুচি করবেন।নিয়মিত কাঁচা শসা খাওয়ার অভ্যাস করুন।