RushaIslam

Call

এই ব্যাটারির দুই’টি প্রান্ত আছে।একটি পজেটিভ এবং অপরটি নেগেটিভ।পজেটিভ প্রান্ত বা টার্মিনালটি ক্যাথোডের সাথে সংযোগত ঘটায় এবং নেগেটিভ প্রান্ত টি অ্যানোড সাথে সংযোগ ঘটায়। ক্যাথোড এবং অ্যানোড উভয় কে ইলেক্ট্রন বলা হয়। এরা ব্যাটারি অধিকাংশ ব্যাপৃত, এবং এটি এখানে সেখানে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে থাকে। এই ইলেক্ট্রোনিয় বা তাড়িত প্রতিক্রিয়া তে আপনার ডিভাইসের বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। একটি বিভাজক ক্যাথোড এবং অ্যানোড কে স্পর্শ থেকে বাধা দেয়। কারন এখানে বিপরিত কিছু ঘতে পারে।যার ফলে,যদি এই টার্মিনাল বর্তনী সম্পূর্ণ হয় তবে বিভাজকের বিদ্যুৎ প্রবাহ থামবে না। অনবরত চলতেই থাকবে।ব্যাটারি অক্সিডেশন এবং রিডাকশন বা হ্রাস সংমিশ্রণ মাধ্যমে কাজ করে। অ্যানোড জারিত হয় ইলেক্ট্রন হারায়, একই সময়ে, ক্যাথোড রিডাকশন বা হ্রাস সংমিশ্রণ প্রক্রিয়াইয় ইলেকট্রন শোষণ করে। এমনটি শুধুমাত্র তখনই ঘটে যখন দুটি টার্মিনাল বা প্রান্তর মধ্যে একটি বর্তনী সমাপ্ত হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Waruf

Call

ড্রাইসেলে যেমন বিক্রিয়া থেকেই ইলেক্ট্রন মুক্ত হয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহের সৃষ্টি,  রিচার্জেবল ব্যাটারী তেও একই প্রক্রিয়া, বিক্রিয়া থেকে ইলেক্ট্রন আসে। 
কিন্তু ড্রাইসেলে বিক্রিয়া ঘটানোর যে উপাদান গুলো ব্যবহার হয় যেমন এমোনিয়াম ক্লোরাইড তা জিংকের সাথে বিক্রিয়া করতে করতে একসময় শেষ হয়ে যায় তখন ড্রাইসেল আর ব্যবহার করা যায়না। কিন্তু রিচার্জেবল ব্যাটারী তে বিক্রিয়া করার উপাদান যেমন লেড এসিড ব্যাটারী ক্ষেত্রে মূল বিক্রিয়া হয় সালফিউরিক এসিড এবং ট্রাইলেড টেট্রাক্সাইড এর সাথে, এখান থেকে একটি সালফেট আয়ন মুক্ত হয়ে নেগেটিভ প্লেট থেকে একটি লেড পরমানূর সাথে বিক্রিয়া করে লেড সালফেট তৈরি করে। এভাবে এসিড এবং ট্রাইলেড টেট্রাক্সাইড শেষ হয়ে গেলে সেটি আর চলেনা। তখন চার্জ দিতে হয়।
এখানে চার্জ দেবার অর্থ হচ্ছে ব্যাটারীর ভেতর উৎপন্ন লেড সালফেট দ্রবনে মাইকেল ফ্যারাডের তড়িৎবিশ্লেষন পদ্ধতিতে তড়িৎবিশ্লেষন করা।
আমরা জানি  কপার সালফেটে তড়িৎবিশ্লেষন করলে এক প্লেটে কপার জমা হয়, অন্য প্রান্তে গ্যাস বা অন্য কিছু হয়( কি হবে তা নির্ভর করে তড়িৎদ্বার হিসাবে কি পদার্থ ব্যবহার হচ্ছে তার উপর) 
যদি আপনি ফ্যারাডের তড়িৎবিশ্লেষন ভাল জানেন তবে বুঝবেন। যখন ব্যাটারী তে চার্জের জন্য বিদ্যুৎ দেয়া হয় তখন নেগেটিভ প্রান্তদ্বার  ধনাত্মক লেড আয়ন আকর্ষন করে এবং লেডে পরিণত হয়ে জমা হয়। অপর দিকে ধনাত্মক প্রান্তে ট্রাইলেড টেট্রাক্সাইড ব্যবহার করাই এই প্রান্তে সালফট ও হাইড্রোক্সিল আয়ন এসে সালফেট আয়ন দ্রবনে থেকে যায়(কারন সালফেট আয়ন জারিত হয়না, এটি সহজে ভাংগেনা) তাই হাইড্রোক্সিল দুটি আয়ন একসাথে ভেংগে পানি তৈরি করে এবং অক্সিজেন আয়ন তৈরি করে।  এই অক্সিজেন ৪টি আয়ন একসাথে ৩টা লেড পরমানুর সাথে ক্রিয়া করে ট্রাইলেড টেট্রাক্সাইড তৈরি করে।অপর দিকে নেগেটিভ প্রান্তে লেড আয়নের সাথে পানির পজিটিভ হাইড্রোজেন আয়নও যায় কিন্তু লেড জারিত হয়ে লেড জমা হয়েছিল যা আগেই বলেছি, আর হাইড্রোজেন পজিটিভ আয়ন দ্রবনে থেকে যায়। ফলে দ্রবনে হাইড্রোজেন ও সালফেট আয়ন থেকে যায় যা সালফিউরিক এসিড তৈরি করে। বিক্রিয়া শেষে মানে চার্জ শেষে দেখা যায় ব্যাটারী তে পুর্বের মতই এসিড ও লেড, লেড টেট্রাক্সাইড আছে। তাই এগুলো পুনরায় বিক্রিয়া সাইকেল শুরু করে। যা থেকে আবারও বিদ্যুৎ পাই।
উল্লেখ্য যে ড্রাইসেলে একই নিয়মে চার্জ হবেনা কারন। এমোনিয়াম ক্লোরাইড জিংকের সাথে ক্রিয়া করে জিংক ক্লোরাইড তৈরি করে। আর এমোনিয়াম আয়ন জারিত হয়ে এমোনিয়া গ্যাস ও হাইড্রোজেন আয়ন তৈরি করে, এই হাইড্রোজেন আয়ন ম্যাংগানিজ ডাই অক্সাইডের সাথে বিক্রিয়া করে পানি তৈরি করে। ফলে এখানে তড়িৎবিশ্লেষন করলে পুনরায় এমোনিয়াম ক্লোরাইড উৎপন্ন হয়না। তাই রিচার্জ হয়না। শুধু মাত্র যে উপাদান গুলো তড়িৎবিশ্লেষন দ্বারা পুনরায় উৎপন্ন করা যায় সেই উপাদানের ব্যাটারী চার্জ করা যায়।
জানিনা কতটুকু বোঝাতে পারলাম কারন বিক্রিয়া সমীকরন, ইলেক্ট্রন হিসাব ও জারন বিজারন দেখাতে না পারলে শুধু লিখে বোঝানো যায়না। তবে তড়িৎবিশ্লেষন সূত্র বুঝে থাকলে এটি বুঝতে পারবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ