**স্ত্রীকে শারীরিকভাবে কখনও লাঞ্ছিত করবেন না। এতে আপনার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও ভয় কমে যাবে। **আপনি আপনার স্ত্রীর সমস্যার কথাগুলো মন দিয়ে শুনুন। দেখুন তিনি কি বলতে চান,তার সমস্যাগুলি গুরুত্ব দিন এবং তা সমাধান করার চেষ্টা করুন। দেখবেন তিনি আপনার উপর সন্তুষ্ট হবেন এবং আপনার কথা মেনে চলবে। **আপনি আপনার স্ত্রীর সৌন্দর্য এবং কাজের প্রশংসা করুন। **মেয়েরা মুখে প্রশংশা বেশি পছন্দ করে। তাকে বলুন আপনি তাকে কেন এত ভালোবাসেন। আপনার জীবনে তার অবস্থান তার মুল্য তাকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে বলুন। **কখনোই তার উপর জোর করবেন না,খারাপ ব্যবহার বা ভয় দেখাবেন না। **অফিস থেকে বাসায়ে ফিরে প্যান্ট থেকে মানিব্যাগ বের করে তার হাতে ধরিয়ে দিতে পারেন,এতে দেখবেন তিনি আপনার উপর একটু বেশি ই সন্তুষ্ট হবেন...!! **তার মতামতকে প্রাধান্য দিন। মনে রাখবেন আপনার স্ত্রী আপনার উপর সন্তুষ্ট হলেই সে আপনার কন্ট্রোলে আসবে বা আপনাকে প্রাধান্য দিবে।
আপনি যেটার সমাধান চাচ্ছেন সেটা সম্ভব হবে না সঠিক পথ অবলম্বন না করলে। যদি ভেবে থাকেন তাকে শ্বাসন করে আপনার কথায় উঠাবে আর বসাবেন। তাহলে সেটা একদম ভুল রাস্তা। কি যে বলি ভাই এমন কিছু মানুষ আছে যারা এই ধরণের ভুল পরামর্শ দিতে আগে আগে থাকে। সব সময় আমি যেটা বলে থাকি সেটা হলো- "ভালোবাসা যেখানে থাকে সেখানে অসম্ভব কাজ অতি সহজ হয়ে যায়। শ্বাসন করে যা হয়। ভালোবাসা দিয়ে তা হয়ে যায়" আপনি যদি আপনার ভালোবাসা দিয়ে তাকে নিজের কাছে রাখতে পারেন। তবে সেটাই হবে আপনার জন্য বড় একটা বিজয়। একটু দেখুন - কারো মনের উপর আজ পর্যন্ত কেউ জোরজুলুম করে জয়ী হতে পারেননি। জেনে রাখুন মনের উপর জোরজুলুম করে কাউকে বেঁধে রাখার সামর্থ্য এই পৃথিবীর কারো নেই। কেবল মাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখুন। এই বিশ্বাস রেখে কাজ করুন - আপনি তার মন জয় করতে পারবেন আপনার ভালোবাসা দিয়ে।ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করা খুবই সহজ হলেও ভালোবাসা খুবই কঠিন একটা জিনিস।ভালো বাসতে হলে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়। ত্যাগের মধ্যে আছে- আপনার অহংকার, আপনার নিজের মতামত বেশি গুরুত্ব দেওয়া, তার মতামত কম গুরুত্ব দেওয়া, তার সাথে একসাথে কাজ না করলে কাজ করা, নিজেকে বুঝিয়ে তার সাথে হাত লাগিয়ে কাজ করা।
ভাই, এ কি বলছেন আপনি আপনার স্ত্রীকে কন্ট্রোলে রাখবেন। আচ্ছা আপনার স্ত্রী কি এমন কাজ করেছে যে তাকে কন্ট্রোলে রাখতে হবে । সে কি রকমন কাজ করেছে যা আপনার কথার বাহিরে যাচ্ছে। তবে ভাই আপনার স্ত্রী আপনার কথার বাহিরে যাওয়া মূল কারন হলো আপনি নিজেই তাই আগে আপনি নিজেই সচেতন হোন। ↓
কেনো না আপনি কি জানেন যে একজন স্ত্রী কি চায় বা তার চাওয়া পাওয়া কি।
একজন স্ত্রী চায় তার স্বামী সব সময় কাছে থাকে তাকে আদর সম্মান, মর্যাদা, ও অনেক অনেক ভালোবাসা চায় যা একজন স্ত্রী তার স্বামীর কাছে দুর্বল হয়ে যায় তার স্বামীকেও অনেক ভালোবাসে।
আপনি বলছেন যে আপনার স্ত্রীকে কন্ট্রোলে রাখতে হবে আচ্ছা আমি মেনে নিলাম যে আপনি তাকে কন্ট্রোলে রাখেন । তবে এতে করে আরো সমস্যা বেরে যাওয়া আশঙ্কা বেশি থাকবে । হয়তো এমন এক কাজ করলেন যা আপনার চোখে পানি আশার মত ।
হয়তো আপনার স্ত্রী আপনার কোন কথাই শুনে না আপনার কোন কাজে সে প্রাধান্য দেয় না, আপনার কোন চাওয়া পাওয়াকে উৎসাহিত করে না, সামান্য কথায় আপনার সাথে ঝগড়া করে,আপনার প্রতি তার বিশ্বাস থাকে না বা সে আপনার প্রতি কোন যত্নশীল হোন না। ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে তার ও আপনার মাঝে ।
তবে এই সকল সমস্যা সমাধানের উপায় যা হলো আপনার প্রতি তার বিশ্বাস, আশা, সম্মান,ভালোবাসা জাগিয় তুলতে হবে।
তার জন্য আপনার স্ত্রীকে মানুসিক ও শারীরিক সুখ দিতে হবে, তার প্রতি আপনার আদর,ভালোবাসা, সম্মান, ও তার প্রতি আপনার বিশ্বাস রাখতে হবে ।
মনে রাখবেন স্ত্রীদের অবিশ্বাস করলে তারা খুবেই কষ্ট পায় যে সে মনে করে তার আপন জনেই তাকে অবিশ্বাস করে অন্যরা কি বলবেন।
তাই বলছি ভাই আপনার স্ত্রীকে আদর করুন, আপনার স্ত্রীকে ভালোবাসুন,আপনার স্ত্রীকে সম্মান করুন, আপনার স্ত্রীকে বিশ্বাস করুন, আপনার স্ত্রীর প্রতি যত্নশীল হোন, আপনার স্ত্রীর পছন্দের জিনিস গুলো এনে দিন, আপনার স্ত্রীর পছন্দের খাবার খাওয়ান, ভাই সারা দিনে যতই আপনারা ঝগরা করেন না কেনো মনে রাখবেন রাতে কিন্তু এক ঘরে ,এক খাটে, এক ,বালিশে মাথা রেখেই ঘুমান তাহলে স্ত্রীকে কন্ট্রোল করতে কোন কিছুর প্রয়োজন হয় না ভাই। প্রিয় মানুষ্টির সাথে যতই দিনের বেলায় ঝগরা বা কথা কাটাকাটি করেন না কেনো যখন এক ঘরে ,এক খাটে, এক ,বালিশে মাথা রেখে তাকে জরিয়ে ধরে ঘুমাবেন দেখবেন সকালে সে সব কিছুই ভুলে গেছে এতে কন্ট্রোল করার কোন প্রয়োজন পরে না । ভাই মেয়েদের অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয় আপনি কি জানেন → তারা সব কিছুই ত্যাগ করে, বাবা, মা, আদরের ভাই, বোন, ছোট বেলার খেলার সাথি, এমন কি সব আপনজনকে ছেড়ে শুধু তার স্বামীর হাত ধরে চলে আসে এটা ভেবে যে তার নতুন জীবনে তার স্বামী সব আর সেই স্বামীই যদি ঐ মেয়েটির সাথে এমন আচরন করে যা অসহনীয়। শশুর বাসার আপন জন বলতে তার এক মাত্র স্বামী আর সেই স্বামী যদি তার স্ত্রীকে কন্ট্রোল রাখার জন্য অন্যান্য পদ্ধতি অবলম্বন করে তাহলে ঐ স্ত্রীর আপন জন বলতে কেউই থাকলো না। তাই ভালো হবে স্ত্রীকে আপন করে নিন, তাকে ভালোবাসুন তাকে সব সময় হাসি খুসিতে রাখুন, তার সাথে মজা করুন, দেখবেন তাকে কন্ট্রোল করতে লাগবে না। তাই বর্তমান আপনার নিজের মন , ও তার প্রতি অবিশ্বাস করা থেকে নিজেকে কন্ট্রোলে রাখুন দেখবেন সব ঠিক হয়েছে।
,আশা করি কথা আমার গুলো বুঝতে পারছেন