আমি আল্লাহ্‌র কাছে তওবা করে কথা দিয়েছিলাম যে, একটি কাজ আর করব না। কিন্তু কিছুদিন পরে কাজটি আমি আবার করে ফেলি এবং তাতক্ষনিক কাজটি করার পর আল্লাহ্‌র কাছে তওবা করে মাফ চাই আর বলি যে,আল্লাহ্‌ আপনাকে দেয়া কথা রাখতে পারি নাই আপনি আমাকে মাফ করে দেন আমি এমন ভুল আর কখনো করব না। এখন তারপরেও আমার দুশ্চিন্তা হচ্ছে, আল্লাহ্‌ কে দেয়া কথা রাখতে পারি নি বলে এখন কিভাবে তওবা করব আর মাফ চাইব আল্লাহ্‌র কাছে? অনেক দুশ্চিন্তায় আছি ,প্লিজ যারা পরামর্শ দেন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আপনি এভাবে তওবা করলে কখনো  আপনার তওবা কবুল হবেনা।আপনার তওবা করার নিয়মটি ঠিক আছে, তবে আপনাকে এরপর থেকে আরো সাবধান থাকতে হবে। ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

হে ইমানদার বান্দাগন তোমরা আল্লাহর নিকট এমন ভাবে তওবা কর। যার দ্বারা আর পাপ কাজের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। গুনাহ হয়ে যাওয়ার পর তওবা করা, লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া, পরবর্তীতে আর এই পাপ কাজ করবেনা বলে দৃঢ় সংকল্প করাই হল খাটি বা বিশুদ্ধ তওবা। রাসুল (সাঃ) বলেন, ভুলক্রমে গুনাহ হয়ে গেছে তার জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হওয়া, আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া এবং ঐ গুনাহের প্রতি আর ঝুকে না পড়া। হাসান (রাঃ) বলেন, বিশুদ্ধ তাওবা হল, যে পাপের প্রতি আকর্ষণ ছিল, তার প্রতি ঘৃনা জন্ম নেওয়া, যখন ঐ পাপের কথা মনে হয়, তখন আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা। বিশুদ্ধ তওবার শর্ত হল, তওবাকারী মৃত্যু পর্যন্ত আর এই পাপ কাজ করবে না। আপনি আবার খাস দিলে তওবা করুন তাহলেই আল্লাহ কবুল করবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আল্লাহ তায়ালা প্রতি রাতে বান্দাদের অপেক্ষায় থাকে কখন তার বান্দা তার কাছে কিছু চাইবে । আপনি যদি রাত্রে নির্জনে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনাকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন***

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলছেন, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করে দিতে পারেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল এবং পরম করুণাময়। সূরা যুমার ২৩। সুতরাং বান্দা পাহাড় পরিমাণ পাপ করলেও আল্লাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন। তবে তার জন্য শর্ত হলো তাওবার যাবতীয় শর্তগুলো মেনে তাওবা করতে হবে। কায়মনোবাক্যে তাওবা করতে হবে। গুনাহের জন্য অনুশোচিত হতে হবে। ভবিষ্যতে আর গুনাহ না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হবে। উপার্জন তথা দৈনন্দিন পানাহার ও পোষাক আষাক হালাল হতে হবে। এরপর শেষ রজনীতে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে দু চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আশা করা যায় আল্লাহ আপনার গুনাহ ক্ষমা করবেন। গুনাহের পুনরাবৃত্তি হলেও সে গুনাহ তাওবা দ্বারা মাফ হয়ে যায়। তাই আপনি আবার তাওবা করুন। আল্লাহর রহমতের ব্যাপারে কখনো নিরাশ হবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ