অন্য নবী রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম থেকে নিছে কেনো?
দুরুদ ইব্রাহিম পড়ার সময় আমরা দোয়া করি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যেন ইব্রাহিম ও তার বংশধরের মত সম্মানিত হোক।
মোহাম্মাদ (সাঃ) কে কোথাও শ্রেষ্ঠ ঘোষনা করা হয়েছে কিনা তা আমার জানা নাই। তাই আমার উত্তরটি হয়তবা ব্যর্থ।
কিন্তু কেন তাকে শ্রেষ্ঠ বলা হচ্ছে তার কিছুটা ধারণা দেই।
হযরত আদম বাদে(কারন তিনি প্রথম মানুষ) এবং মোহাম্মাদ (সাঃ) বাদে অন্য সকল নবী রাসুল এসেছেন বিশেষ সময়ে বিশেষ গোত্রের প্রতিনিধি রুপে। কিন্তু মোহাম্মাদ (সাঃ) এসেছিলেন বিশ্বের সকল মানুষের জন্য। কোন গোত্র বিশেষের জন্য নয়।
একারণে মোহাম্মাদ (সাঃ) কে শ্রেষ্ঠ মনে করা হয়। আবার তিনি হলেন সর্বশেষ নবী। তাহার মাধ্যমেই ইসলামের পূর্ণতা পায়। কোরআনে মোহাম্মাদ (সাঃ) কে সর্বশেষ বা খতমে নবুয়াত ঘোষনা করা হয়েছে। ফলে মোহাম্মাদ (সাঃ) এর মর্যাদা অনেক বেশি। এবং তাহার উম্মতের মর্যাদাও অনেক বেশি। যেকারনে হযরত ঈসা (আঃ) মোহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মত হতে চেয়েছিলেন। এবং আল্লাহ তা পূরন করবেন। একারনে তিনি মানুষ হিসাবে আবার জন্ম নিবেন। এ থেকে বোঝা যায় যে তিনি শ্রেষ্ঠ। কিন্তু তার মানে এই নয় যে অন্য নবীগণ কম শ্রদ্ধার পাত্র। সকল নবী রাসুল গণ সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী। মোহাম্মাদ (সাঃ) কে সকলের নেতা মনে করা হয় (আমার ভূল থাকলে এডিট করে দিবেন)
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দ্বীনি দাওয়াত । তাঁর অমায়িক চারিত্রিক গুণাবলী । সৃষ্টিকূলের প্রতি সীমাহীন ভালোবাসা ই তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ।
আপনি যদি কুরআনে কারিম পড়ে থাকেন তাহলে এর অসংখ্য দৃষ্টান্ত দেখতে পাবেন । এবং ওখানেই এসবের উত্তর পাবেন ।
আর তিনি শ্রেষ্ঠ বলেই অন্যান্য নবী রাসুলগণের ইমাম তিনি । মেরাজ রজনীতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাঁকে সকল আম্বিয়াদের ইমাম বানিয়ে সেকথার প্রমাণ দিয়েছেন ।
আর সবচেয়ে বড় কথা , তাঁর জীবনি আর কুরআন অধ্যয়ন করলেই এসবের পুঙ্খানুপুখান উত্তর পাবেন । এই সল্প কথাই আমরা আর কিইবা বুঝানো । আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আপনার কলবে সাক্বিনা নাযিল করুন ।
নবীগণের মধ্যে পারস্পরিক মান ও স্তরের ব্যবধান আছে। এক নবী অন্য নবীর ওপর অধিকতর মর্যাদার অধিকারী। তবে, সকলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলেন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) তিনি সকল নবীর শিরোমণি।
কোরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআলা বলেন, তারা হলেন রাসূল সম্প্রদায়, তাদের কাউকে কারো ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কারো সাথে আল্লাহ পাক কথা বলেছেন, আর কাউকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। (সূরা আল বাকারাহ : আয়াত ২৫৩)।
অনুরূপভাবে আল্লাহর প্রেরিত ও বার্তাবাহক হিসেবে সব নবী-রাসুলই সমান হলেও দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে, মর্যাদা ও সম্মানে সবাই সমান নন। নবুয়ত ও রিসালাতের প্রাথমিক পর্যায়ে যদিও সবাই সমান কিন্তু চূড়ান্ত শ্রেষ্ঠত্বে সবাই সমান নন।
আল্লাহ তাআলা কতক রাসূলকে কতক রাসূলের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, সকল রাসূল মর্যাদার দিক দিয়ে সমান নয়। যেমন মূসা (আঃ)-এর সাথে সরাসরি কথা বলে কালিমুল্লাহর মর্যাদা দিয়েছেন, অন্য কোন রাসূলের সাথে এরূপ সরাসরি কথা বলেননি। ঈসা (আঃ) কে জিবরীল দ্বারা সহযোগিতা করেছেন এবং পিতা ছাড়া শুধু মায়ের মাধ্যমে দুনিয়াতে প্রেরণ করে রূহুল্লাহর মর্যাদা দিয়েছেন, অন্য কোন রাসূল পিতা ছাড়া জন্ম লাভ করেনি।
আল্লাহ তাআলা বলেন: আমি নবীগণের কতককে কতকের ওপর মর্যাদা দিয়েছি; দাঊদকে আমি যাবূর দিয়েছি। (সূরা বানী ইসরাঈলঃ ১৭:৫৫)।
নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সকল নাবীর শেষ নবী এবং সারা জাহানের জন্য প্রেরণ করে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন, অন্য কোন নাবীকে সারা জাহানের জন্য প্রেরণ করেননি। এছাড়াও তাকে অনেক দিক থেকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: আমাকে ছয়টি জিনিস দ্বারা অন্যান্য নাবীদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে।
১. আমাকে অল্প কথায় অনেক কিছু প্রকাশ করার ক্ষমতা দান করা হয়েছে।
২. শত্রুরা আমাকে ভয় করবে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করা হয়েছে।
৩. আমার জন্য গনীমত হালাল করা হয়েছে।
৪. সমস্ত জমিনকে আমার জন্য পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম ও সিজদার স্থানস্বরূপ করে দেয়া হয়েছে।
৫. আমি সকল সৃষ্টির জন্য রাসূলরূপে প্রেরিত হয়েছি।
৬. আমার দ্বারা নবুওয়াত সমাপ্ত হয়েছে। (সহীহ মুসলিম হা: ৫২৩)।
আল্লাহ তাআলা কতক রাসূলকে কতক রাসূলের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন তা আমাদের বিশ্বাস করতে হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট করে কোন নবী বা রাসূলকে অন্য কোন নির্দিষ্ট নবী বা রাসূলের ওপর প্রাধান্য দিয়ে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা যাবেনা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
কোন ব্যক্তির উচিত নয় এ কথা বলা যে, আমি ইউনুস বিন মাত্তা (আঃ) থেকে উত্তম। (সহীহ বুখারী হা: ২৩৯৬)।
অন্য বর্ণনায় রয়েছে: তোমরা আমাকে মূসা (আঃ)-এর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিওনা। (সহীহ বুখারী হা: ২৪১১)
যে কারণে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, সর্বশেষ নবী ও রাসুল হলেন আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ)। তিনি বিশ্বের সব মানুষের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ মহামানব।
আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর মাঝে তোমাদের জন্য রয়েছে সর্বোত্তম অনুকরণীয় আদর্শ। (৩৩: ২১)।
হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) হলেন বিশ্বজগতের জন্য রহমত। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে নবী! আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগৎসমূহের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি। (২১: ১০৭)।
সুতরাং আমাদের প্রিয় রাসুল (সা.) সবার সেরা হয়েছেন সেরা গুণাবলির জন্য। ধৈর্য, সহিষ্ণুতা, ক্ষমা, উদারতা, প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা, দয়া-মায়া, মানবিকতা, ত্যাগ-তিতিক্ষা, পরোপকার ইত্যাদি সব মানবীয় সদ্গুণের অনন্য সমাহার ছিল তার মধ্যে। তিনি ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী।
অতএব আমরা বিশ্বাস করব কতক রাসূল কতকজনের ওপর শ্রেষ্ঠ কিন্তু কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করব না।
একক ব্যক্তি হিসেবে সবচেয়ে বেশি জীবনীগ্রন্থ লেখা হয়েছে কার, এ–বিষয়ক কোনো জরিপ কখনো হয়েছে কি? হলে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর নাম ওপরেই থাকবে। গত দেড় হাজার বছরে দেশ–বর্ণ–ধর্মনির্বিশেষে অজস্র সাহিত্যিক, সমাজনেতা, শিক্ষাবিদ, সমরবিদ, গবেষক, রাষ্ট্রনায়ক, এমনকি তাঁর বিরুদ্ধবাদীরাও তাঁকে নিয়ে বিপুল প্রশস্তি বর্ণনা করেছেন। তাঁর প্রচারিত ধর্ম গ্রহণ না করেও তাঁকে মহামানবের স্বীকৃতি দিয়েছেন। বিশ্বের ঘোর দুর্দিনে তাঁর মতো নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। একেবারে আটপৌরে জীবনীগ্রন্থ থেকে বিশেষায়িত গবেষণাগ্রন্থ লিখেছেন তাঁরা অসংখ্য। একটিই মানুষ, একটিই তাঁর জীবন, একটিই কাহিনি—সেই মক্কার কুরাইশ পরিবারে জন্ম, আল-আমিন উপাধি, সিরিয়ায় বাণিজ্য, হেরা পর্বতের ধ্যানমগ্নতা, মক্কার দাওয়াত, তায়েফের ক্ষত, মদিনায় হিজরত, বদরের যুদ্ধ, বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে ঊর্ধ্বগমন, আবার মক্কায় ফেরা, বিদায় হজ। একই কথা বহুমুখে বহুজনে বহুশতাব্দী ধরে বাতাসে বাতাসে ফিরছে, তবু যেন অফুরান, যেন কিছু লেখা হলো আর অলিখিত রয়ে গেল ঢের, কিছু বলা হলো আর অনেক কিছুই হয়নি বলা।
আল্লাহ তাআলার ঘোষণা: ‘(হে নবী! সা.) আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগৎসমূহের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।’ (২১: ১০৭)।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর মাঝে তোমাদের জন্য রয়েছে সর্বোত্তম অনুকরণীয় আদর্শ।’ (৩৩: ২১)।
আমাদের প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মহান আল্লাহতায়ালা অসংখ্যা কর্মগত মুজেযার পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক মুজেযাও দান করেছিলেন। যা পূর্ববর্তী কোনো নবীকে তিনি প্রদান করেননি। এ মুজযার নাম কোরআনে কারিম।
পূর্ববর্তী নবীদের মুজেযাসমূহ ছিলো তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আজ তারা নেই। তাদের মুজেযাও নেই। পূর্ববর্তী কোনো নবীকে আজকের কেউ যদি অস্বীকার করে তবে সে নবীর কোনো মুজেযা প্রমাণস্বরূপ পেশ করা যাবে না। কিন্তু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আজ দুনিয়াতে না থাকলেও তার শ্রেষ্ঠ মুজেযা কোরআনে কারিম দুনিয়াতে আছে। আজ ও আগামীতে কেউ যদি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহকে অস্বীকার করে; তবে তার মুজেযা কোরআনকে তার নবী হওয়ার প্রমাণস্বরূপ পেশ করা যাবে। পবিত্র কোরআন নিজেই অস্বীকারকারীকে বলবে, আমার যে কোনো একটি বাক্যের সমমানের বাক্য রচনা করো।
মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর একটি উপাধি সাইয়্যিদুল আম্বিয়া বা নবীদের সর্দার। আল্লাহ তাআলা তাঁকে সব নবী-রাসুলের ওপর নেতৃত্বের মর্যাদা দান করেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার সাহাবায়ে কেরাম পরস্পর বসে নবীদের সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। এমন সময় রাসুল (সা.) ঘর থেকে বাইরে এলেন এবং তাঁদের এই আলোচনা শুনতে পেলেন। একজন বললেন, আল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-কে তাঁর বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করছেন। অন্যজন বললেন, মুসা (আ.)-এর সঙ্গে আল্লাহ কোনো মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি কথা বলেন। আরেকজন বললেন, ঈসা (আ.) তো আল্লাহর ‘কালিমা’ অর্থাৎ তিনি বাহ্যিক কোনো উপকরণ ছাড়াই আল্লাহর নির্দেশ ‘হয়ে যাও’-এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছেন। শৈশবে দোলনা থেকেই তিনি মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁকে আল্লাহ নিজের ‘রুহ’ বলে অভিহিত করেছেন। আরেকজন বললেন, আদম (আ.)-কে আল্লাহ বিশেষভাবে সম্মানিত করেছেন। অতঃপর রাসুল (সা.) তাঁদের সামনে উপস্থিত হলেন এবং বললেন, আমি তোমাদের কথা এবং নবীদের সম্মানের ব্যাপারে বিস্মিত হতে দেখেছি। তোমরা বলছিলে, ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর বন্ধু। তিনি এ রকমই। মুসা (আ.) আল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছেন। নিঃসন্দেহে তিনি এ রকমই। ঈসা (আ.) আল্লাহর বাণী ও তাঁর রুহ। নিশ্চয়ই তিনি তা-ই। আদম (আ.)-কে আল্লাহ সম্মানিত করেছেন। তিনিও বাস্তবে তা-ই ছিলেন। কিন্তু শুনে রাখো, আমি হলাম আল্লাহর হাবিব, অর্থাৎ প্রিয়তম। এটা আমার অহংকার নয়। কিয়ামতের দিন আমিই প্রশংসার ঝাণ্ডা উড্ডীন করব, যার নিচে থাকবেন আদম (আ.)-সহ অন্যরাও। কিয়ামতের দিন আমিই প্রথম সুপারিশকারী হব এবং আমার সুপারিশই সর্বপ্রথম কবুল হবে। এতে কোনো অহংকার নেই। আমিই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বেহেশতের দরজায় কড়া নাড়ব। অতঃপর আল্লাহ বেহেশতের দরজা খুলে আমাকে প্রবেশ করাবেন। সে সময় আমার সঙ্গে থাকবে দরিদ্র মুসলিমরা। এটাও আমি অহংকার করে বলছি না। পূর্বাপর সব মানুষের মধ্যে আল্লাহর কাছে আমিই সর্বাধিক সম্মানিত। এতেও অহংকার নেই। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ৫২৩)।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, মহান আল্লাহপাক আকাশবাসী (ফিরিশতামন্ডলী) ও নবীগণের ওপর হযরত মোহাম্মাদ সা.-কে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, জামে তিরমিজী)।
রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, আমি কিয়ামতের দিন নবীদের ইমাম ও খতিব হব। (শরহু ফিকহে আকবার : পৃষ্ঠা ২৮৬)
কোরআনের পাশাপাশি আপনি হাদিস বিশ্বাস না করলে কিভাবে ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবেন?
এতো আয়াত ও হাদিসের পরও কি প্রমানিত হয় না যে রাসুলুল্লাহ(সঃ) সর্বশ্রেষ্ঠ নবি?