হস্তমৈথুন থেকে বাচার উপায় বলুন। যেন আর ভুল করেও এটা করার ইচ্ছা না জাগে।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
AbdulHalim

Call

ইসলামের আলোকে এই নেশা থেকে মুক্তি পাবার কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করব--- ১) তাক্বওয়া: অন্তরে আল্লাহ্ তাআলার ভয় থাকতে হবে। আল্লাহ্ তাআলা আমাদের সর্বদা আমাদের দেখছেন , তাই যখনই Sexual Urge অনুভব করবেন তখনই মনে রাখবেন যে আল্লাহ্ তাআলা আপনাকে দেখছেন। তাঁর দৃষ্টিকে এড়িয়ে আপনি কখনোই কোন কাজ করতে পারবেন না। আপনার কাজের জবাবদিহি আল্লাহ্ তাআলার কাছে করতে হবে।যদি তিনি অসন্তুষ্ট হন তাহলে আপনার পরিণাম হবে জাহান্নাম । -- এই কথাগুলো মাথায় রাখবেন। আর তাক্বওয়া বৃদ্ধি পায় এমন আমল নিয়মিত করতে হবে। তাক্বওয়া আপনাকে সকল প্রকার হারাম থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম । ২)বিয়ে : বিয়ে ব্যতীত হস্তমৈথুনের অন্য কোন 'Quick Cure' নেই। বলা যায় বিয়েই একমাত্র উপায় যা কিনা একজন পুরুষকে হস্তমৈথুনের নেশা থেকে পুরোপুরি মুক্তি দিতে সক্ষম। ইসলাম আমাদের বিয়ে করার উৎসাহ দিয়েছে এবং হস্তমৈথুনসহ সকল বিকৃত যৌনাচারের বিরুদ্ধে দমনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। ইসলামী সমাজ বিয়েকে সহজ করে তুলে আর পুঁজিবাদী সমাজ বিয়েকে করে তুলে কঠিন যা আমরা আমাদের সমাজে দেখতে পাচ্ছি। বিয়ে কঠিন হয়ে যাওয়ায় সমাজে অশ্লীলতা বৃদ্ধি পায় ও হস্তমৈথুনসহ বিকৃত যৌনাচারের প্রসার ঘটে। বিয়েই পারে মানুষকে অশ্লীলতার ফিতনা থেকে পুরোপুরি মুক্তি দিতে কারণ নারী- পুরুষের ভালবাসার জন্য বিয়েই হল সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা। রসূলুল্লাহ্ (সঃ ) বলেন-- " দু'জনের পারস্পারিক ভালবাসার জন্য বিবাহের মত আর কিছু নেই। " [সিলসিলাহ সহীহাহ -৬২৪] তাই আপনি কখনোই হস্তমৈথুন দ্বারা তৃপ্ত হতে পারবেন না বরং এটা আপনার তৃষ্ণাকে আরো বাড়িয়ে দিবে। ৩) সাওম পালন : যারা বিয়ে করতে পারছেন না তাদের জন্য উত্তম হল সাওম পালন করা । কারণ সাওম পালন করলে মানুষের ' Will Power ' বাড়ে এবং মানুষ নিজেকে আধ্মাতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে ।আর এই দুটি গুণ দিয়ে সহজেই একজন তার Sexual Desire ' কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। রসূলুল্লাহ্ (সঃ ) বলেন --- " হে যুবক সমাজ! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ে করার সামর্থ রাখে সে যেন বিয়ে করে । কেননা বিয়ে দৃষ্টি ও লজ্জাস্থান হিফাযাতের জন্য সবচেয়ে বেশি সহায়ক । আর যে সামর্থ রাখে না সে যেন সাওম পালন করে ,কেননা সাওম যৌন উত্তেজনা প্রশমনকারী । " [সহীহ মুসলিম] আর এই কারণে রমাদান মাসে অনেকেই পুরো এক মাসই হস্তমৈথুন করা থেকে বিরত থাকতে পারে। ৪)নিয়মিত স্বলাত আদায়: ইসলাম প্রাকটিস করা ছাড়া এই নেশা থেকে মুক্তি পাবার পসিভিলিটি খুবই কম । ইসলাম প্রাকটিস করতে হলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত স্বলাত আদায় করতে হবে। আর স্বলাতের ফাযীলতগুলোর মধ্য একটি হল যে স্বলাত অশ্লীল কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখে। মহান আল্লাহ্ বলেন-- " নিশ্চয়ই স্বলাত অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। " [সূরা আনকাবূত, আয়াত-৪৫ ] হস্তমৈথুন অবশ্যই একটা Erotic Act তাই নিয়মিত যত্নের সাথে স্বলাত আদায় করলে অবশ্যই আপনি এই অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকতে সক্ষম হবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jamiar

Call

হস্তমৈথুন এর নেশা থেকে মুক্তি পেতে নিচের নিয়ম গুলো ফলো করুন।

  • ২কোনো কারনে লিঙ্গ উত্তেজিত হলে হাত বা অন্য কোনো বস্তু দ্বারা স্পর্শ করা যাবে না। 
  • ৩বাজে চিন্তা-ভাবনা, মন্তব্য, কথা-বার্তা বা সঙ্গ পরিত্যাগ করতে হবে।
  •  ৪'বাংলা চটি গল্প' পড়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 
  • ৫অশ্লীল ইমেজ, মুভি বা ভিডিও দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  •  ৬ফেইসবুক, টুইটার বা অন্য কোথাও অশ্লীল কিছু চোখে পড়লে নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করতে হবে। 
  • ৭বেগানা পুরুষ বা বেগানা নারীর দিকে তাকানো যাবে না। 
  • ৮অশ্লীলতার ধারে কাছেও যাওয়া যাবে না।
  •  ৯উলঙ্গ হয়ে গোসল করা যাবে না।
  •  ১০শরীর ও মন পবিত্র রাখা প্রয়োজন।
  •  ১১চিত্‍ হয়ে শোয়া যাবে না, ডান দিকে কাত হয়ে শুতে হবে। 
  • ১২সর্বদা আল্লাহ্'র প্রতি ভয় রাখতে হবে।
  •  ১৩নাচ-গান বা রঙ-তামাশা থেকে বিরত থাকতে হবে। 
  • ১৫সর্বোপরি যেহেতু এটি একটি হারাম কাজ, তাই এটি থেকে বাঁচার ইচ্ছাশক্তি দৃঢ় করতে হবে। 
  • সেক্সুয়াল ব্যাপারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। এধরনের কোন শব্দ বা মন্তব্য শুনবেন না।
  • ছোট ছোট টার্গেট সেট করুন। ধরুন প্রথম টার্গেট টানা ৬/৭দিন হস্তমৈথুন করবেন না। ৬/৭দিন না করে পারলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন।
  • বাথরুম এর ভিতরে হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করুন।
  • যখনি মনে সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হবে, তখনই অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন।
▬►বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সবার সাথে বেশি সময় কাটান।

ধন্যবাদ। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ