গর্ভাবস্থায় কৃমি হলে করণিয় কি ? 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

সবচেয়ে ভালো হয় গর্ভধারণের আগে কৃমির ঔষধ সেবন করা। এটা অবশ্যই করা উচিত। তাহলে অন্তত গর্ভাবস্থার প্রথম ৫-৬ মাস কৃমি সমস্যা হবে না।তবে   গর্ভাবস্থায় কৃমির উপদ্রব দেখা দিলে তা আর বন্ধ করা যায় না। প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এতে যন্ত্রণা কম হয়। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে সন্তান জন্ম না নেয়া পর্যন্ত।

যেকোনো সমস্যা হওয়ার পরে তা সমাধানের চেয়ে সমস্যা কিভাবে না হয় সেই দিকে নজর দেয়া বেশি সুবিধাজনক। তাই কৃমি হওয়ার পরে তা কমানোর চেয়ে কৃমি না হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়াই বেশি ভাল। গর্ভাবস্থায় কৃমি সমস্যা থেকে বাঁচতে নিম্মোক্ত ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

# গর্ভাবস্থায় কৃমি হওয়ার আগেই করলা, উচ্ছে বা তিতা জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে।

# খাবার খাওয়া ও তৈরি করার আগে, খাবার পরিবেশনের সময় হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধৌত করতে হবে। রান্নার সময় ভালোভাবে শাক সবজি, মাছ, মাংস ধুয়ে রান্না করতে হবে।

# বাড়ির অন্য কারোর কৃমি সমস্যা দেখা দিলেই ঔষুদের মাধ্যমে কমাতে হবে। আর কৃমিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থেকে (মুখের লালা, এঁটো খাবার খেলে) গর্ভবতী নারীর কৃমি হতে পারে।সেদিকে লক্ষ রাখবেন।

# পায়খানা ব্যবহারের পর ভালভাবে হাত সাবান দিয়ে ধৌত করতে হবে, পায়খানা সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

# হাতের নখ সব সময় ছোট এবং পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে বের হওয়ার সময় জুতা বা স্যান্ডেল পড়তে হবে।

নারীদের গর্ভকালীন সমস্যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কৃমি। গর্ভাবস্থায় কৃমির উপদ্রব দেখা দিলে তা আর বন্ধ করা যায় না। তবে প্রাকৃতিক কিছু উপায়ে কৃমি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সবচেয়ে ভালো কৃমি হওয়ার আগেই, যেনো  না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ