আমার প্রায় 3বছর ধরে মাথার চুল ঝরছে বর্তমানে এখন আমার মাথায় টাক পড়েছে আমি মনে করছি এটা সেক্স এর কারণে হতে পারে? আর যদি সেক্স এর কারণে হয় তাহলে আমি কি করব? আর যদি না হয় তাহলে কি করব? দয় করে উত্তর চাই
প্রতিদিন ৫০ থেকে একশর ওপরে চুল পড়তে থাকে। অর্থাৎ যদি গোনা যায় সারা দিনে দেখা যাবে, একশটার বেশি চুল পড়ে যাচ্ছে। তখনই এটি রোগের পর্যায়ে চলে গেল। তা ছাড়া ছেলেদের জন্য বিশেষ একটি পর্যায় আছে, বয়স। এই বয়সটা হলো, সাধারণত বিশের কয়েক বছর আগে বা কিছু পরে। এই সময় চুল পড়া বেশি দেখা দেয়। যেটাকে বলে টাক পড়া, এটি আমরা সাধারণত এই সময়ে দেখি। এটি যখন হতে থাকে, তখন একশটার বেশি চুল পড়ে। বিশেষ জায়গা আছে চুল পড়ার। সামনের দিকে বেশি পড়ে। দুই পাশ থেকে প্রথমে পড়তে থাকে এবং মাথার উপরিভাগে সেটি হয়।
যখন মাথায় চুল অতিরিক্ত পড়তে থাকে ছেলেদের। এর পরিমাণ হচ্ছে ৫০ থেকে একশটার বেশি যখন পড়া আরম্ভ করে তখনই ধরে নিতে হবে, এটা রোগের পর্যায়ে চলে গেছে। সাধারণত ছেলেদের দিকে সামনের দিকে চুল পড়তে থাকে। দুই পাশ থেকে পড়ে যায় এবং মাথার উপরিভাগেও চুল পড়তে থাকে।
প্রশ্ন : চুল পড়ার পেছনের কারণগুলো কী?
উত্তর : চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে এন্ড্রোজেনেটিক এলোপেশিয়া। এন্ড্রো মানে হলো হরমোন। আর জেনেটিক মানে হলো বংশগত। সুতরাং অনেক সময় হরমোনের কারণেই হয়ে থাকে। আর বংশগত কারণে হয়। যাদের টাক পড়ে, প্রায়ই দেখা যায়, তার বংশের কারো না কারো টাক আছে। আবার যে বয়সটা বললাম, সেই বয়সে হরমোন এন্ড্রোজেন বেশি মাত্রায় প্রকাশ পায়। যার জন্য এই টাক পড়া শুরু হয়। মূলত হরমোন ও বংশগত কারণের জন্য চুল পড়ে। তা ছাড়া এই দুটো কারণ ছাড়াও অজ্ঞাত কারণেও টাক পড়ে থাকে।
শতকরা ৯৫ ভাগ চুল পড়ার কারণ জিনগত/বংশগত। এ ছাড়াও নানা কারণে আমাদের মাথার চুল পড়ে থাকে। যেমন-
চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন না হলে
অ্যানিমিয়া/রক্তসল্পতা থাকলে, স্ট্রেচ-টেনশনে থাকলে, চুলে খুশকি হলে, অতিরিক্ত শ্যাম্পু করা, স্টাইল করা ও রঙ করা চুল পড়ার কারণ
থাইরয়েড হরমোনজনিত বালিভারের সমস্যাজনিত কারণেও চুল পড়তে পারে।
মহিলাদের মেনোপজ হলে অর্থাৎ মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে চুল পড়ে।
নিম্ন মানের তেল কেমিক্যাল ব্যবহারেও চুল পড়ে।
ডায়াবেটিস, অটোইমিউন রোগ যেমন- লুপাস, মূত্রনালীর প্রদাহ, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম ইত্যাদি চুল পড়ার কারণ।
হঠাৎ করে ওজন কমে যাচ্ছে ? চুলও কমে যেতে পারে। প্রয়োজন মতো না ঘুমালে, ভিটামিন ই কম খেলেও চুল কমতে পারে
অতি কর্মব্যস্ততা চুল পড়ার অন্যতম কারণ।
চুল পড়ার চিকিৎসা আছে, অবশ্যই আছে
তবে চিকিৎসার আগে কারণটা নির্ণয় করতে
হবে। নির্দিষ্ট কারণ শনাক্ত করা গেলে সে অনুযায়ী
চিকিৎসা করাতেহবে। মনে রাখতে হবে যে, চুল পড়া প্রতিরোধে চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী হয়ে থাকে।
ত্বক হেয়ার চর্ম এ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
অনুযায়ী ভিটামিন ঔষধ খাওয়া ও ব্যবহার
করতে হবে।
টিপসঃ আমলকী ও আম গাছের কচিপাতা একসঙ্গে পিষে মাথায় মাখলে চুল ওঠা বন্ধ হয় ও চুলের গোড়া শক্ত হয়।
চুল পড়া বন্ধ করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খান অথবা ই ক্যাপ নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে চুলে লাগান।
সবুজ সাকসবজি ফলমূল বেশি খান।
বেশি করে প্রোটিনযুক্ত খাবার ও প্রচুর পানি পান করুন।