ফাঙ্গাসজনিত সংক্রমণের ঘটনা অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে প্রায় ১০ গুণ বেশি। এ জাতীয় সব রোগেরই একটা সাধারণ উপসর্গ হচ্ছে শরীরে চুলকানির উদ্রেক। এই চুলকানির প্রবণতা বেশ তীব্র হয়ে থাকে যখন না চুলকালে আর ভালো লাগে না। বর্ষার ফাঙ্গাল ইনফেকশন সাধারণত শুরু হয় পায়ের আঙুল থেকে। ছোট্ট ফুসকুড়ি দিয়ে শুরু হয় উৎপত্তি, তারপর লাল হয়ে সেটা ছড়াতে থাকে।গোলাকার আংটির মতো আকৃতির এক ধরনের ফাঙ্গাস রয়েছে। এগুলো শরীরের যেকোনো স্থানের ত্বকে রিংয়ের আকার নিয়ে আবির্ভূত হয়। আক্রান্ত স্থানটি খুব চুলকায় ও পরে সেখান থেকে কষ ঝরে। এ ধরনের ফাঙ্গাস কুঁচকিতে (জক ইচ) খুব বেশি দেখা যায়। যারা সিনথেটিক ও টাইট অন্তর্বাস পরেন, বর্ষার সময় তাদের ক্ষেত্রে কুঁচকিতে ফাঙ্গাস ইনফেকশন বেশি হয়। সাধারণের কাছে এই ফাঙ্গাস ইনফেকশন ‘দাদ’ বলে পরিচিত।ফাঙ্গাস এড়াতে হলে শরীর শুষ্ক রাখতে হবে। কাপড় পুরোপুরি শুকনো হতে হবে। কুঁচকির ত্বক যাতে ভেজা না থাকে, সেখানে যেন আর্দ্রতা আটকে না যায় সে জন্য সিনথেটিকের অন্তর্বাস এড়িয়ে সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে।সংক্রমণের ব্যাপ্তি ও ধরনের ওপর নির্ভর করে ফাঙ্গাসের চিকিৎসাপদ্ধতি। তবে সঠিক চিকিৎসায় যেকোনো ফাঙ্গাসই সারিয়ে তোলা সম্ভব। ফাঙ্গাস সংক্রমণ ঘটে গেলে সে ক্ষেত্রে ত্বকের উপরিভাগে অ্যান্টিফাঙ্গাল মলম ব্যবহার করতে হয়
যেমন Econazole nitrate.