শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

১) ঘুমানোর আগে ব্যায়ামঃ ঘুমাতে যাবার আগে হাল্কা কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। এটা আপনার শরীরকে ক্লান্ত করবে। ২) গরম দুধঃ রাতে ঘুমাবার আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেয়ে নিন। এটি আপনার শরীরকে রিলাক্স করবে ও ঘুমাতে সহায়তা করবে। ৩) দুশ্চিন্তা নয়ঃঘুমাবার সময় রাজ্যের দুশ্চিন্তা নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না। ব্যাপারটা সহজ নয়। তবু নিজেকে বলুন যে আপনি আগামীকাল ঘুম থেকে উঠে বিষয়গুলো নিয়ে ভাববেন। ঘুমাবার সময় ভালো কিছু, ইতিবাচক কিছু নিয়ে চিন্তা ভাবনা করুন। নয়তো আপনার মস্তিস্ক উত্তেজিত থাকবে বলে আপনি ঘুমোতে পারবেন না। ৪) ভালো কিছু ভাবুনঃ ইতিবাচক কিছু ভাবুন। ভাবুন কোনো স্বপ্ন নিয়ে, ভাবুন প্রিয় মানুষ বা বন্ধুটিকে নিয়ে। গঠনমূলক আর ইতিবাচক ভাবনা আপনাকে ভালোভাবে আরামে ঘুমাতে সাহায্য করবে। ৫) উষ্ণ পানিতে গোসলঃখুব ভালো হয় ঘুমাতে যাবার আগে উষ্ণ পানিতে গোসল করে নিতে পারলে। গোসলের পানিতে দিতে পারেন খানিকটা লেবুর রস অথবা গোলাপজল। অনেক স্নিগ্ধ লাগবে। ৬) ঘুমাবার আগে টিভি/ ফোন নয়ঃ ঘুমাবার আগে টিভি, মুভি, ফোনে কথা বলা বা অন্য এমন কিছু করতে যাবেন না ৭) ধীরলয়ের সঙ্গীতঃঘুমাবার আগে ধীরলয়ের গান শুনুন। এটা আপনার মনে প্রশান্তি আনবে আর ঘুমোতে সাহায্য করবে। ৮) ঘুমানোর নির্ধারিত সময়ঃ একটা রুটিন মেনে চলুন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ম করে ঘুমাতে যান, নিয়ম করে উঠুন। কিছুদিন এটা করলে দেখবেন, আপনার শরীর এই নতুন অভ্যাসের সাথে মানিয়ে নিয়েছে। ৯) চা/ কফি নয়ঃ এ দুটো কিছুদিন বন্ধ রাখুন। ক্যাফেইন আপনার ঘুমকে কমিয়ে দেবার জন্যে দায়ী। এর বদলে পান করুন প্রচুর ফলের রস। ১০) আরামদায়ক বিছানাঃ খেয়াল রাখুন আপনার বিছানাটা যাতে বেশী শক্ত, অতি নরম বা উঁচু নিচু না হয়। বিছানা আরামদায়ক হলে ঘুম আসবে এমনিতেই। ১১) ঘরের ভালো আবহাওয়াঃ ঘরের আবহাওয়ার দিকে খেয়াল রাখুন। যাতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস খেলে। জানালার দিকে মুখ করে ঘুমান। ১২) বিছানা শুধু ঘুমাবার জন্যেইঃ চেষ্টা করুন বিছানা কেবল ঘুমাবার কাজেই ব্যবহার করার। ১৪) ঘড়ির শব্দ নয়ঃ দেয়াল বা টেবিল ঘড়ির কাঁটা যদি খুব শব্দ করে তবে কিছুদিনের জন্যে রাতে সেটা বন্ধ করে রাখুন। ভালো ঘুম হবে। ১৫) অল্প সময়ের ঘুম নয়ঃ ক্লাস, অফিস বা বাইরে থেকে ফিরে দুপুরে, বিকেলে বা সন্ধ্যায় ন্যাপ নেয়া বা অল্প সময়ের ঘুম এর অভ্যাস থাকলে তা দয়া করে বাদ দিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

অনিদ্রা দূর করার উপায়

নির্দিষ্ট সময়ে রোজ ঘুমাতে যাওয়া
প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময় ঘুম থেকে উঠা প্রয়োজন। যদি আপনার মনে হয় আপনি ক্লান্ত নন, তবুও নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান। নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করলে ইনসমনিয়ার সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায় অনেকখানি। প্রথম কয়েক দিন কষ্ট হলেও আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে যাবে।

আরামদায়ক বিছানায় ঘুমান
বেছে নিন আরামদায়ক বিছানা। খুব বেশি নরম বা খুব বেশি শক্ত না হওয়াই ভালো। ডান দিকে কাত হয়ে শোবার চেষ্টা করুন। এতে শরীর রিলাক্স হয়, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশ্রাম পায়। বাঁ দিকে কাত হয়ে ঘুমালে পাকস্থলী, লিভার, ফুসফুস সবগুলো হার্টের ওপরে চাপ সৃষ্টি করে। বিছানায় অযথা শুয়ে থাকবেন না। আপনার বিছানাটা শুধু ঘুমের জন্যই ব্যবহার করুন।

শোবার ঘরের আবহাওয়া
আলো-বাতাস চলাচল করে এমন ঘরে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। হালকা তাজা বাতাস ও ঘরের তাপমাত্রা ২০ ও ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ঘুমের জন্য আরামদায়ক। শোবার ঘর ধুলোবালিমুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।

প্রতিদিন একটু ব্যায়াম
প্রতিদিন একটু হালকা ব্যায়াম করুন। যাঁরা মানসিক কাজ বেশি করেন তাঁদের ঘুমের সমস্যা বেশি। যাঁরা শারীরিক কাজ করেন তাঁদের মধ্যে ঘুমের সমস্যা কম। প্রতিদিন ১৫ মিনিট হালকা ব্যায়াম আপনার শরীরে যথেষ্ট অক্সিজেন সরবরাহ করবে,শরীরকে রিলাক্স করতে সাহায্য করবে। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে ব্যায়াম করা যেতে পারে। ওই ৩০ মিনিটে শরীর রিলাক্স হবে এবং ঘুমও ভালো হবে।

ঘুমানোর আগে গোসল
সারা দিনের কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন ঘুমানোর আগে। এতে শরীর রিলাক্স হবে। শরীরের মাংসপেশি শিথিল হবে। গোসলের পানিতে এক চামচ বাথ সল্ট বা ইপসাম লবণ নিতে পারেন। শরীর থেকে জীবাণু ও দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে।

রাতের খাবার
ঘুমানোর কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন। ভরাপেটে বিছানায় গেলে অস্বস্তির কারণে ঘুম নাও আসতে পারে। রাতে গুরুপাক খাবার বাদ দিন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধ পান করুন। ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে থেকে ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত চা-কফি এবং কোমলপানীয় পান করবেন না। ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে এসব পানীয় পান সম্পূর্ণ বাদ দিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ