Tsar Bomba.এটা hydrogen bomb.এখন পর্যন্ত মানুষের বানানো সবচেয়ে powerful nuclear weapon. Hiroshima ও Nagasaki তে ফেলা পারমানবিক বোমাদুটির সম্মিলিত শক্তির চেয়েও কমপক্ষে ১৩০০-১৪০০গুন শক্তিশালি এই Tsar Bomba.

..............................................................................

একটি হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণে নিমেষে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে কয়েকটি বড় শহর। এর চেয়ে শক্তিশালী বোমা বিশ্বে আর দ্বিতীয়টি নেই। অবশ্য ধ্বংস ক্ষমতা নির্ভর করে শুধু ছোট বা বড়র ওপর। 

 

বিধ্বংসী ক্ষমতার দিক থেকে হাইড্রোজেন বোমার তুলনা হয় শুধু পারমাণবিক বোমার সঙ্গে। তবে পারমাণবিক বোমার চেয়ে অনেক গুণ বেশি শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা। এ ধরনের বোমা তৈরি করা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু উত্তর কোরিয়া গোপনে এই বোমা তৈরি করে পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা গেছে।

 ১৯৫২ সালে বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটায় যুক্তরাষ্ট্র। যার বিধ্বংসী ক্ষমতা ছিল ১ কোটি টন ট্রাইনাইট্রো টলুইনের (টিএনটি) সমান। ট্রাইনাইট্রো টলুইন রাসায়নিক বিস্ফোরক দ্রব্য।

এখন হাইড্রোজেন বোমার ক্ষমতা বোঝার জন্য আমরা জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বিস্ফোরিত পারমাণবিক বোমা যথাক্রমে ‘লিটল বয়’ ও ‘ফ্যাটম্যান’-এর শক্তির উল্লেখ করতে পারি। লিটল বয়ের বিধ্বংসী ক্ষমতা ছিল ১৫ হাজার টন টিএনটির সমান। আর ফ্যাটম্যানের বিধ্বংসী ক্ষমতা ছিল ২০ হাজার টন টিএনটির সমান। তুলনা করলে ১ কোটি টন টিএনটির সমান ক্ষমতার হাইড্রোজেন বোমা নাগাসাকির মতো ৫০০টি শহর মুহূর্তে তছনছ করে দিতে পারে। হাইড্রোজেন বোমার ভয়ংকর শক্তি সম্পর্কে জানতে এর চেয়ে বেশি কিছু লাগে কি?

বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি হাইড্রোজেন বোমা ৬ থেকে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের সমান শক্তিশালী। ভূপৃষ্ঠের ১ কিলোমিটার গভীরেও ২ কোটি টন টিএনটির সমান বিস্ফোরণ হলে নেপালের মতো একটি দেশ চোখের পলকে বিলিন হয়ে যাবে। অবশ্য একটি কথা না বললেই নয়। হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণের প্রতিক্রিয়ায় ভূমিকম্প ও জলোচ্ছ্বাস হওয়াটা স্বাভাবিক।

 হাইড্রোজেন বোমা আছে জাতিসংঘের স্থায়ী পাঁচ সদস্য দেশের কাছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন এই বোমার মালিক। তবে সবচেয়ে শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা আছে রাশিয়ার কাছে। তাদের কাছে থাকা সর্বোচ্চ শক্তির বোমাটি ৫ কোটি টন টিএনটির সমান ক্ষমতার। যা বিস্ফোরিত হলে জাপানের নাগাসাকির মতো আড়াই হাজার শহর বা তার সমান আয়তনের অঞ্চল ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করা খুবই জটিল বিষয়। তবে মোটা দাগে বলতে গেলে এই বোমা তৈরির মূল ভিত্তি পরমাণুর ফিউশন প্রক্রিয়া। ফিউশন হলো- দুটি পরমাণু একীভূত হয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি শক্তি সঞ্চয় করা। তবে হাইড্রোজেন বোমা তৈরির বর্তমান ধারণায় ফিউশন ও ফিশন দুই প্রক্রিয়াই কাজে লাগানো হয়। ফিশন হলো- একটি অনু থেকে দুই বা ততোধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় পারমাণবিক বোমা তৈরি করা হয়। আর ফিউশন ও ফিশন প্রক্রিয়া কাজে লাগিয়ে যে বোমা তৈরি করা হয়, তাকে বলা হয় থারমোনিউক্লিয়ার বোমা বা হাইড্রোজেন বোমা।

::-উইকিপিডিয়া ও অনলাইন পোর্টাল অবলম্বনে-::

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call


বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্রের নাম 

R-36

image image

এই পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক রাশিয়া ।

রাশিয়ার মুল ICBM হচ্ছে R-36।

 এটা মুলত ডিজাইন করা হয় সোভিয়েত 

আমলে Soviet industry designation 

নামক কোম্পনি দ্বারা। এই আইসিবিএম 

তৈরি করা হয়েছিল আমেরিকাকে

 কাউন্টার করার জন্য। কারণ কোল্ড 

ওয়ারের সময় আমেরিকা একের পর

 এক লংরেঞ্জ বোম্বার তৈরি করতে

 থাকে যারা পারমাণবিক বোমা বহন

 হামলা করার মত শক্তিশালি ছিল। 

এছারা যার মধ্যে বি৫২ এবং এর পরের

 ভার্সন গুলো অন্যতম। তো এই

 সময়ে রাশিয়া এমন কিছু একটা

 বানানো সিদ্ধান্ত নেয় যা তাদেরকে

 আমেরিকা থেকে একটু এগিয়ে নেবে।

 ঠিক তখনই তারা তৈরি করে R-36। 

ভর : ২,০৯,৬০০ কেজি (২০০ টন) 

উচ্চতা : ১০৬ ফিট ( একটা দশতলা 

বাড়িরর সমান) 

ব্যাস: ১০ ফিট 

অপারেশনাল রেন্জ : ১০,২০০ - ১৬,০০০ 

কি.মি গতি: সেকেন্ডে ৭.৯ কি.মি 

ব্যাবহারকারী: Russian Strategic

 Rocket Forces 

  R-36 মূলত একটা সাইলো বেজ 

আইসিবিএম। সাইলো হচ্ছে মাটির 

নিচে থাকা গর্তের মত একধরনের স্ট্রাকচার 

যার মধ্যথেকে বিশাকার মিসাইল 

উৎক্ষেপন করা হয়। এটি একটি ২০ মেগাটন

 অথবা ১০ টা ৮০০ কিলোটনের MIRV 

(Multiple independently

 target-able reentry vehicle)

 নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড (বোমা) বহন করতে

 পারে। এর ক্ষমতা অনেক । হিরোশিমায় 

ব্যবহৃত আনবিক বোমার ওয়ারহেড

 ছিলো মাত্র ৮ কিলোটনের। আর এই

 বোমাটা বহন করতে পারবে 

৮০০০ কিলোটন পারমানবিক বোমা।

 এইটার ক্ষমতার ব্যাপারে বলা হয় যে

 আমেরিকার নিউয়র্ক শহর ধংস করে

 একেবারে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে

(মানে একটা সিঙ্গেল বিল্ডিং দারিয়ে

 থাকবে না) সময় লাগবে মাত্র ৫ মিনিটের 

মত। এটা হিসাব বলে তবে বাস্তবে 

আরো কম সময় লাগতে পারে 

বলে বিজ্ঞানীদের ধারনা।

R-36 এর মতো ভয়ংকর মিসাইল 

বর্তমানে পৃথিবীতে নাই । আমেরিকা 

নিজেও এই মিসাইলকে যথেষ্ট ভয় করে।

 ১৯৯০ পরবর্তি সময়ে আমেরিকা রাশিয়ার 

তৎকালিন প্রেসিডেন্ট গর্বভেচ 

সাথে START II চুক্তি করেছিলো।

 চুক্তির মুল বিষয় ছিল এই মিসাইল

 গুলো ধ্বংসের জন্য। পরে চুক্তিটা বিল 

আকারে রাশিয়ার সংসদে পেশ করা 

হয়। কিন্তু রাশিয়ার দুমা 

(সংসদের নিন্ম কক্ষ) পাশ না করে

 দীর্ঘদিন ঝুলাইয়া রাখছিল। পরে 

পুতিন এসে তা প্রত্যাক্ষান করে এবং 

কমপক্ষে ১৫৪ টা R-36 আইসিবিএম

 আ্যাকটিভ রাখার জন্য নির্দেশ দেয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ