ব্লগ শব্দটি এসেছে ওয়েব লগ থেকে এর অর্থ আলোচনা বা তথ্য সম্ব্রিদ্ধ সাইট। বর্তমান বিশ্বে তথ্যের চাহিদা খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। বই বা লাইব্রেরিতে হাজার হাজার বই ঘেটে প্রয়োজনীয় তথ্য খোজা খুবই সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টকর একটি ব্যাপার আর এই প্রয়োজনীয়তার ফলে অনলাইন ভিত্তিক ওয়েব লগ এর যাত্রা শুরু হয় যা পরবর্তীতে ব্লগ হিসেবে প্রচলিত হয়। মানুষের তথ্য চাহিদা পুরনের লক্ষ্যে ব্লগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে । প্রতিদিন মানুষ অনলাইনে ব্লগের কল্যানে চাহিদার উপরে ভিত্তি করে তথ্য অনুসন্ধান করছেন এমনকি গবেষণা সহ বিভিন্ন জরিপ পরিচালনা করছেন ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন নতুন ব্লগের জন্ম হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে অনলাইনে লক্ষ লক্ষ নিবন্ধ । ব্লগকে আমরা আমাদের “অনলাইন ডাইরি” ও বলতে পারি । যারা ব্লগিং করেন তাদেরকে ব্লগার বলা হয়ে থাকে আর ব্লগাররা বিভিন্ন বিষয়ে ব্লগ লিখে থাকেন যেখানে উক্ত বিষয়ের উপর ভিত্তিকরে বিভিন্ন আলোচনা, সমালোচনা, মন্তব্য ইত্যাদি যুক্ত হতে থাকে । ফলে ব্লগের মাধ্যমে আমরা সহজেই সমস্যাগুলোকে উপস্থাপন করতে পারি। ব্লগকে আমরা গণমাধ্যম হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারি। অনলাইনে ব্লগ জনপ্রিয় হওয়ার সাথে সাথে নতুন নতুন অসংখ্য বৈশিষ্ট যুক্ত হতে থাকে বর্তমানে ব্লগের পরিধি অনেক বিস্তৃত হয়েছে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ বিভিন্ন ব্লগকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান । কেউ কেউ ব্যাক্তিগত ভাবে ব্লগ পরিচালনা করছেন। কেউ আবার প্রফেশনালি ব্লগিং করছেন। বর্তমানে সামাজিক ব্লগিং এর নতুন নতুন বেশ কিছু প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে তার মধ্যে টুইটার খুব জনপ্রিয় টুইটারকে সামাজিক মাইক্রোব্লগিং সাইট বলা হয়ে থাকে কারন এখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারে ব্লগ প্রকাশ করা যায় যা ফলোয়ার বা বন্ধুদের কল্যানে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিরা যুক্ত হয়েছেন এই প্লাটফর্মে ।