সিয়াম, সালাত, ওজুর মত ঈমান ভঙ্গর কারন আছে কি? 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

অবশ্যই আছে আর তা হচ্ছে সালাত ত্যাগ করা,শিরক করা,মিথ্যা কথা বলা,যেনা করা ইত্যাদি করলে ইমান ভঙ্গ হয়ে যায়

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মিথ্যা বলা, যিনা করা কবীরা গুনাহ। অাল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা, তার কুদরত,সামর্থ্য, ক্ষমতা, বুদ্ধি, জ্ঞানন নিয়ে সন্দেহ করা তা অস্ববীকার করা বা তিনি ছাড়া কোন মাখলুকের এসব ক্ষমতা থাকার কথা বিশ্বাস কারা বা বলা অথবা কোন মাখলুক গায়েব জানে বিশ্বাস করা,গণকের কথা বিশ্বাস করা, কাউকে সেজদা করার কারণে ঈমান চলে যায় ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ঈমান ভঙ্গের কারন সমূহ নিম্নরুপ:: ০১) আল্লার সাথে শরীক করা। দলিল: তুমি আল্লার সাথে শরীক করলে তোমার আমল নিষ্ফল হয়ে যাবে--সুরা যুমার,১৮১* একই ভাবে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের উপর ভরসা করা, মানত করা ইত্যাদি ----- ০২) আল্লাহ এবং বান্দার মাঝখানে এমন মাধ্যম স্থির করা যার কাছে বান্দা সুপারিশ কামনা করে এবং তার উপর তায়াক্কুল করে। দলিল: -----যারা আল্লাহ ছাড়া অপরকে উপস্যরুপে গ্রহন করে রেখেছে এবং বলে যে, আমরা তাদের ইবাদত এ জন্যই করি , যেন তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়--সুরা যুমার-০৩* এখন যারা পীর সাহেবদের উসিলা হিসাবে মনে করে তাদের ----?? ০৩) মুশরিকদের কাফের মনে না করা অথবা তাদের কুফরীর ব্যাপারে সন্দেহ পোষন করা অথবা তাদের কুফরী মতবাদকে সহীহ মনে করা। দলিল:-কেউ যদি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন চায় তা কখনো গ্রহন যোগ্য নহে-সুরা আল ইমরান-৮৫* ০৪) দ্বীনের যে কোন বিষয় নিয়ে বিদ্রুপ করা হাসি তামশা করা। দলিল:-আর তুমি যদি তাদেরকে প্রশ্ন কর অবশ্যই তারা বলবে, আমরা আলাপচারিত এবং খেল তামাশা করছিলাম। বল, আল্লাহ তার আয়াতসমূহ এবং তার রাসুলের সাথে তোমরা বিদ্রুপ করেছিল? সুতরাং কোন অজুহাত পেশ করো না। ঈমান আনার পর তোমরা পূনরায় কাফের হয়ে গিয়েছো।-সুরা তোয়াবা-৬৫-৬৬। ০৫) যাদু করা। দলিল:-তারা উভয়ই একথা না বলে কাউকে(যাদু) শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষায় পতিত হয়েছি, কাজেই তুমি কাফির হয়ো না-সুরা বাকারা-১০২-১০৩* ০৬) মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের পক্ষ নেয়া এবং সহযোগিতা করা। দলিল:- তোমাদের ভিতর যে কেউ কাফিরদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহন করবে সে তাদেরই একজন বলে গন্য হবে। আর নিশ্চয় আল্লাহ সতপথে পরিচালনা করেন না----সুরা মায়িদা-৫১* ০৭) মুর্তি, প্রতিমা এবং সকল তাগুতকে সম্মান, ভক্তি এবং শ্রদ্ধা করা। ০৮) মুহাব্বত এবং ভালবাসার ক্ষেত্রে আল্লার সাথে কাউকে শরীক করা বা কাউকে আল্লার সমকক্ষ মনে করা। দলিল: আর মানুষের ভিতর এমন লোক আছে যারা আল্রার সাথে সমকক্ষ দাড় করায় এবং তাদের প্রতি তেমনি মুহব্বত বা ভালবাসা পোষন করে, যেমন ভালবাসা উচিত একমাত্র আল্লাহকে। কিন্তু যার ইমানদার আল্লার প্রতি তাদের ভালবাসা সবচেয়ে বেশি।--সুরা বাকারা-১৬৫* ০৯) নবী স: এর নিয়ে আসা বিধানের চেয়ে অন্য বিধান পরিপূর্ন বা উত্তম মনে করা। দলিল:- আজ আমি তোমাদের জন্য দ্বীনকে পরিপূর্ন করে দিলাম------সুরা মায়িদা--০৩ ১০) আল্লার দ্বিন হতে বিমুখ হোয়া। দলিল:- তার চেয়ে বড় জালেম কে হতে পারে, যাকে তার রবের আয়াতসমূহ স্মরন করিয়ে দেয়া হয়েছে, অতপর সে তা থেকে বিমুখ হয়েছে এবং সে ভূলে গিয়েছে যা তার দু হাত পেশ করেছ (তার কর্মের কথা)---সুরা কাহাফ--৫৭

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ