শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

আজকাল আমরা বাস্তব জিবন থেকে কল্পনার জগতে বেশি বিচরন করতেছি। বিশেষ করে এযুগের তরুণরা। তাই ঘাটতি হয়ে যাচ্ছে অনেক কিছুই। ইন্টারনেট আধুনিক যুগের এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। ইন্টারনেট যতটা উপকারী,ঠিক ততটাই অপকারী,যদিনা আমরা সঠিকভাবে ব্যাবহার করি। ইন্টারনেট আসক্তি থেকে একমাত্র বাচার উপায় হচ্ছে কাজে ব্যাস্ত থাকা। আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যাস্ত থাকুন। আর বাস্তব জিবন নিয়ে ভাবুন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইন্টারনেট থেকে মুক্তি পেতে হলেঃ প্রথমেই মনস্থির করুন যে আপনি ইন্টারনেট চালানো পুরোপুরি ছাড়বেন। এটা অনেক জরুরী। নিজের সাথে প্রমিজ করুন এবং চ্যালেঞ্জ তৈরি করুন যে আর নেট চালাবেন না। কেবল মাত্র মন কে স্থির করতে পারলেই আপনি অর্ধেক এগিয়ে যাবেন নিঃসন্দেহে।আর যে সময় একটানা ইন্টারনেট ব্যাবহার করেন তার মধ্য বিরতি নিন বা অন্য কোন কাজে ঐ সময় নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে ব্যস্ততা বাড়াতে থাকুন এবং মনকে দৃঢ় রাখুন।তাহলে আশা করা যায় আসক্তি কমতে থাকবে।আর যে হ্যান্ডসেটে জাবা/ইন্টারনেট নেই সেই সেটটি ব্যবহার করুন।তা হলে আর ইন্টারনেট use করতে পারবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Yakub Ali

Call

১। যখনই আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন, একটি নির্দিষ্ট সময় ব্যবহার করুনঃ কখনই আজ ২ ঘণ্টা কাল ৩ ঘণ্টা আর পরশু ১ ঘণ্টা করলে চলবে না। অন্য ভাবে বলতে গেলে, এমনটি বলবেন না যে,”আজকে আমি কেবল ১ ঘণ্টা ইন্টারনেটে কাটাব।“ তারপর একটানা ৪-৫ ঘণ্টা কম্পিউটার এর সামনে বসে মনে মনে বলবেন যে আমি আজকে মোটামুটি ভাল করেছি। প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য ১ ঘণ্টা যথেষ্ট, খুব প্রয়োজনে ২ ঘণ্টা ব্যবহার করা যেতে পারে। মনে রাখবেন, এই বিষয়ে সতর্ক না হলে আবারও ইন্টারনেট আসক্তির দাসে পরিণত হতে পারেন।

২। যদি আপনার ঘড়ি আপনাকে সময়ের মাঝে বেধে রাখতে না পারে, তবে একটি Parental control সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে পারেনঃ কিছু সফটওয়্যার সময় বেধে দেয়া (time lock) সমর্থন করে। আপনার বাসার অন্য কাউকে পাসওয়ার্ডটি সেট করতে বলুন যাতে করে শুধুমাত্র জরুরী ক্ষেত্রেই (emergency) আপনি এইটিকে আনলক করতে পারেন, যখন ইচ্ছা তখন নয়।

৩। অপ্রয়োজনিয় অ্যাকাউন্ট সমূহ মুছে (Delete) ফেলুনঃ কতগুলো এমন ওয়েবসাইট আছে যাতে আপনার অ্যাকাউন্ট রাখার কোন দরকারই নেই? ফেসবুক, মাইস্পেস, টুইটার, ইউটিউব… কখনও কখনও ফেসবুক বা টুইটার অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হতে পারে এমন বন্ধু বা আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ রাখতে যারা আমাদের কাছে নেই। তবে ইউটিউব, মাইস্পেস, গুগল প্লাস ইত্যাদি অ্যাকাউন্ট কেবলমাত্র সময়ের অপচয়ই নয় বরং আসক্তিকরও বটে। এই অ্যাকাউন্টগুলোতে এমন অনেক আলাপ হয়ে থাকে অপরিচিত লোকজনের সাথে। তারপরও, যদি অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে না চান তবে পেজগুলো ব্লক করে দিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে যা করতে হবে # চিত্ত বিনোদনের অন্য উপায়গুলোর মাঝে নিজেকে পরিব্যপ্ত করা। # পরিবারের সাথে দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে আরো বেশী সময় দেয়া। # নিজের প্রকৃত দুঃখ-কষ্ট-সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করা এবং তা দুর করার জন্য সচেষ্ট হওয়া। # নিজের সমস্যাগুলো নিজের মাঝে গুটিয়ে না রেখে আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুবান্ধবের সাথে আলোচনা করা। # ইন্টারনেট প্রযুক্তিকে নিজের সহায়ক কাজেই একমাত্র ব্যবহার করা, নির্ভরতা যেন পারিবারিক বা সামাজিক গন্ডিকে অতিক্রম না করে। # ড্রাগ, এলকোহল বা অন্য কোন মানসিক সমস্যা থাকলে তার চিকিৎসা করা। # বাস্তব জীবনে বেশি মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা। তখন ইন্টারনেটের সাথে সম্পর্ক কম থাকলেও চলবে। # অসামাজিক, লাজুক বা ঘরকুনো স্বভাব থাকলে তা পরিবর্তন করা। # প্রয়োজনে মানসিক বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হয়ে চিকিৎসা নেয়া।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ