শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কিডনি সুস্থ রাখার উপায়ঃ 1) শিশুদের গলাব্যাথা, খোস পাঁচড়ার দ্রুত চিকিৎসা করানো উচিত। কারণ এগুলো থেকে কিডনি প্রাদাহ বা নেফ্রাইটিস রোগ দেখা দিতে পারে। 2) ডাইরিয়া, বমি, রক্তআমাশয়, পানিশূন্যতায় অতিদ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এগুলোর মাধ্যমে কিডনি বিকল হতে পারে। 3) প্রাসাবের ইনফেকশন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 4) পর্যাপ্ত পানি পান করুন। 5) ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুন। 6) ধুমপান বর্জন করুন। 7) ডায়াবেটিক আক্রান্তরা নিয়মিত শর্করা ও রক্তের অ্যালবুমিন পরীক্ষা করুন। 8) উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের ক্ষেত্রে রোগ নিয়ন্ত্রনে রাখুন। 9) মাঝে মাঝে কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করুন। 10) চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যাতীত এন্টিবায়েটিক, ব্যাথানাশকসহ যেকোন ওষুদ গ্রহনে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
কিভাবে কিডনি সুস্থ রাখা সম্ভব সে সম্পর্কে নিচে আলোকপাত করা হলো :

কর্মঠ থাকুন :-
আপনার শরীরকে কর্মঠ ও সতেজ রাখুন। এজন্য নিয়মিত হাঁটা, দৌড়ানো, সাইক্লিং করা বা সাঁতার কাটার মতো হাল্কা ব্যায়াম করুন। কর্মঠ ও সতেজ শরীরে কিডনি রোগ হবার ঝুঁকি খুব কম থাকে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন :-
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর শতকরা ৫০ জনেরই কিডনি রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা থাকে। রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনি নষ্ট হবার ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন, নিয়মিত আপনার রক্তের সুগার পরীক্ষা করিয়ে দেখুন তা স্বাভাবিক মাত্রায় আছে কিনা।
image
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন :-
 অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ কিডনি ফেইলুর হবার প্রধান কারণ। তাই এ রোগ থেকে বাঁচতে অবশ্যই আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। কোন কারণে তা ১২৯/৮৯ মি. মি. এর বেশি হলে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং তদসংক্রান্ত উপদেশ মেনে চললেই সহজেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
পরিমিত আহার এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন :-
পরিমিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে কিডনি রোগ হবার ঝুঁকি কমে যায়। হোটেলের তেল-মশলা যুক্ত খাবার, ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে বিরত থাকুন। খাবারে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করুন। অতিরিক্ত ওজন কিডনির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, তাই সুস্থ থাকতে ওজন কমিয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসুন।
ধূমপান পরিহার করুন :-
 ধ‍ূমপায়ীদের কিডনিতে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা অধূমপায়ীদের তুলনায় শতকরা ৫০ গুণ বেশি। ধূমপানের কারণে কিডনিতে রক্তপ্রবাহ কমে যেতে থাকে। ফলে কিডনির কর্মক্ষমতাও হ্রাস পেতে শুরু করে।
অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন :-
 অনেকেই অপ্রয়োজনে দোকান থেকে নানা ধরনের ওষুুধ কিনে সেবন করেন। এদের মধ্যে ব্যথার ওষুধ শীর্ষ তালিকায় রয়েছে। সব ওষুধই কিডনির জন্য কমবেশি ক্ষতিকর, আর এর মধ্যে ব্যথার ওষুধ সবার চেয়ে এগিয়ে। তাই যে কোন ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই নিবন্ধিত চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিন।
নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করান :-
কারো যদি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বেশি এবং পরিবারের কেউ কিডনি রোগে আক্রান্ত থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে তার কিডনি রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই এসব কারণ থাকলে অবশ্যই নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করাতে হবে।

কিডনি ফেইলুর হয়ে গেলে ভাল করার কোন সুযোগ নেই অ্যালোপ্যাথি চিকিত্সায়। ডায়ালাইসিস কিংবা প্রতিস্থাপন করা সম্ভব যদিও, সেটাও ততটা কার্যকরী না। কিন্তু হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সকরা খুব সফল ভাবেই এর ট্রিটমেন্ট দিয়ে ভালো করতে পারেন। তবে যে কোন রোগ এড়িয়ে যাবার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াটাই হবে প্রতিটি সুস্থ মানুষের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ আমরা চাই না কেউ অসস্থ হয়ে ডাক্তারের কাছে যাক। ভাল থাকবেন।
********   আধুনিক হোমিওপ্যাথি    *********
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কিডনি রোগের চিকিৎসাও বেশ ব্যয়বহুল। তাই আগে থেকেই কিডনির যত্ন নেয়া উচিত। কিডনি ভালো রাখার কয়েকটি উপায় জেনে নিন-

১. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে

কিডনি ভালো রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি বা তরল খাবার খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত ঘাম ঝরলে পানি খাওয়ার পরিমাণ আরো বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে কিডনিতে পাথর হয়না এবং এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে।

২. লবণ কম খেতে হবে

 খাবারে অতিরিক্ত লবন খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর। মানুষের শরীরে প্রতিদিন মাত্র ১ চা চামচ লবণের চাহিদা থাকে। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত লবন খাওয়া পরিহার করার অভ্যাস করতে হবে।

৩. অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে

 গরুর মাংস বা এই ধরনের প্রাণিজ আমিষ খেলে কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এমনকি চিপস, ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ইন্সট্যান্ট নুডলস এবং লবণ দিয়ে ভাজা বাদামও কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। খাবার তালিকায় অতিরিক্ত প্রোটিন থাকলে কিডনির উপর চাপ পড়ে এবং কিডনির দূর্বল কোষগুলোর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রাণিজ প্রোটিন এড়িয়ে খাবার তালিকায় ডাল জাতীয় প্রোটিন রাখতে হবে। এছাড়া মাছ খাওয়া যেতে পারে।

৪. রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখার চেষ্টা করতে হবে

 রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর উপরে থাকলে কিডনিতে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিডনি ভালো রাখতে রক্তচাপ সবসময় ১৩০/৮০ অথবা এর কম রাখার চেষ্টা করতে হবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা ও লবণ কম খাওয়া জরুরী।

৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে

 ডায়াবেটিসনিয়ন্ত্রণে না রাখলে কিডনির রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত রক্তের সুগারের পরিমাণ পরীক্ষা করান। সুগার বেশি থাকলে মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

৬. ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে

 কম বেশি প্রায় সব ওষুধই কিডনির জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধগুলো কিডনির জন্য সব সময়ই হুমকিস্বরূপ। নিয়ম না জেনে বা নিজে নিজে ওষুধ কিনে খেলে অজান্তেই কিডনির বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই যেকোন ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে।

৭. প্রয়োজনের বেশি ভিটামিন সি খাওয়া যাবে না

 মানুষের শরীরে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি-এর প্রয়োজন নেই। নিয়মিত প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম বা এর কম ভিটামিন সি গ্রহণ করুন।

৮. কোমল পানীয় ত্যাগ করতে হবে

 অনেকেই পানির বদলে কোমল পানীয় বা বিভিন্ন রকমের এনার্জি ড্রিংকস খেয়ে থাকেন। এ ধরনের পানীয়গুলো কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন এবং যখনই তৃষ্ণা পায় পানি খেয়ে নিন।

৯. ধূমপান ও মদপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে

 ধূমপান ও মদপানের কারণে ধীরে ধীরে কিডনিতে রক্ত চলাচল কমে যেতে থাকে। ফলে কিডনির কর্মক্ষমতাও হ্রাস পায়। তাই এগুলোর অভ্যাস পরিহার করতে হবে।

১০. নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করাতে হবে

 উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন অথবা পরিবারের কারো কিডনি সমস্যা থাকলে কিডনি রোগ হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। যাদের কিডনি রোগের ঝুঁকি আছে তাদের অবশ্যই নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Yakub Ali

Call

কিডনি সুস্থ রাখার উপায়

১. ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

২. বিনা কারণে ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়া। বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত গ্রহণ করলে কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

৩. পরিমিত পরিমাণে (ছয়-আট গ্লাস) পানি পান করুন। কিছুতেই শরীরে পানি কম পড়তে দেওয়া ঠিক নয়। আবার বেশি বেশি পানি খেলে কিডনি ভালো থাকবে, এমন কথা ঠিক নয়। শীতকালে পানির প্রয়োজন কম হলেও গ্রীষ্মে অধিক পরিমাণে পানি গ্রহণ করতে হবে।

৪. শিশুদের গলাব্যথা, খোস-পাঁচড়া বা স্ক্যাবিস হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। এসব  রোগের জটিলতা হিসেবে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

৫. ডায়রিয়া হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন। কেননা সঠিকভাবে ডায়রিয়ার চিকিৎসা না হলে হঠাৎ কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।

৬. পরিবারে কিডনি রোগের ইতিহাস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করা উচিত।

৭. হাত-পা ফুলে গেলে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত গেলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কেননা এসব সমস্যা কিডনি রোগের লক্ষণ প্রকাশ করে।

৮. ধূমপান পরিহার করুন। ধূমপানের কারণে দেহের অন্যান্য অঙ্গের মতো কিডনিও আক্রান্ত হতে পারে।

source:RMCH

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ