স্বাস্থ্য ভালো রাখার
আছে কিছু
বিশেষ উপায়ঃ
১. পুষ্টিকর খাবার খাওয়া:
সুস্থ স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি
উপাদান। কিছু বিশেষ খাবার আছে
যেগুলো স্বাস্থ্য ভালো রাখার
ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। তাই পালং
শাক, ব্রকলি, লেটুস, ফুলকপি,
বাঁধাকপি, চিনি ছাড়া চা, রঙিন ফল,
ডিম, বাদাম ও বিভিন্ন বীজ,
তৈলাক্ত মাছ ও ডার্ক চকলেট
নিয়মিত খাবার তালিকায় রাখুন।
২. ব্যায়াম করা:
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য
নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট এক টানা
হাঁটার চেষ্টা করুন। এছাড়াও
দৌড়ানো, সাইকেল চালানো,
সাঁতার ও অন্য যে কোনো ব্যায়াম
যেগুলো ক্যালোরি ক্ষয় করে
সেগুলো সবই
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নিয়মিত
ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত চলাচল
স্বাভাবিক থাকে এবং লিবিডো
বৃদ্ধি পায় যা স্বাস্থ্যের জন্য জরুরী।
৩. পরিচ্ছন্নতা:
সুস্থ্য স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন
পরিচ্ছন্নতা।
৪. প্রচুর পানি খাওয়া:
স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য
প্রয়োজন প্রচুর পানি পান। শরীরে
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি উপস্থিত না
থাকলে নানান রকমের সমস্যা দেখা
দেয় শরীরে। তার মধ্যে একটি হলো
লিবিডো কমে যাওয়া। তাই সুস্থ্য
স্বাস্থ্যের জন্য দিনে অন্তত ৮ গ্লাস
পানি পান করুন।
৫. ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন:
ধূমপান ও মদ্যপান লিবিডো কমিয়ে
দেয়। ফলে স্বাস্থ্য মারাত্মক
ক্ষতির সম্মুখীন হয়। নিকোটিন রক্ত
জমাট বাধিয়ে ফেলে এবং
রক্তচলাচল কমিয়ে দেয়
০যদি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান এবং রাতের ঘুম ঠিক রাখেন তাহলে আপনি তাড়াতাড়ি আপনার স্বাস্থ্য ভালো করতে পারবেন। না ঘুমাতে পারলে আপনার শরীর ক্যালরী ধরে রাখতে পারে না। রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করুন এবং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন। ০একটা নিদিষ্ট সময় ধরে খাবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক ঘন্টার মধ্যে সকালের নাস্তা শেষ করুন। সকালে প্রচুর পরিমাণে খেয়ে নিতে পারেন। হ্যাম বার্গার, ভাজা খাবার, চিকেন ব্রেস্ট খেলেও ক্ষতি নেই। ০সফ্ট ড্রিংকস্ এবং ফ্যাটি খাবার খেলে স্বাস্থ্য ভালো হয়। এতে হাই- ইন্সুলিন থাকে। ইন্সুলিন হরমোন তৈরি করে। যার সাহায্যে শরীরে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট জমে। যখন ফ্যাটি ফুডস্ খাবেন তখন পানি পান করুন; সফ্ট ড্রিংকস্ নয়। এমনকি ডায়েট সফ্ট ড্রিংকস্ও নয়। এটা খেলে আপনি ফ্যাটি ফুড খেতে পারবেন না। ০এনার্জি ফুড খেলেও আপনার স্বাস্থ্য ভালো হবে। শরীরে যদি এনার্জি ফুড না থাকে তাহলে শরীরে শক্তিই থাকে না স্বাস্থ্য ভালো হওয়া তো দূরের কথা। আপনি কখনো ব্যাটারিতে ল্যাপটপ কম্পিউটার চালাতে পারবেন না যদি প্লাগ না দেন। শরীরও তার ব্যতিক্রম নয়। ০টেনশনমুক্ত থাকুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে ক্ষুধা বেড়ে যায় টেনশন দূরে করে। ০প্রচুর ফল খান। ফল পুষ্টিকর খাবার এতে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়। প্রতিদিন ফল এবং ফলের রস খান। ফলের তৈরি বিভিন্ন সিরাপ, কুবিথ, গাম, জ্যাম, জ্যালি খান এতে ফ্যাট আছে যা আপনার স্বাস্থ্য ভালো করবে। ০এ্যালকোহল পান করলে শরীর মোটা হয়। এটা আপনার মাংশপেশীতে হরমোন তৈরি করে। আপনার শরীরে যখন অতিরিক্ত ক্যালরির প্রয়োজন হয় দিনের শেষে সন্ধ্যার দিকে তখন এ্যালকোহল পান করুন। এ্যালকোহলে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়। রাতে এ্যালকোহল পান করে তাড়াতাড়ি রাতের খাবার সেরে ঘুমিয়ে পড়ুন। ০আপনি খুব দ্রুত স্বাস্থ্যবান হয়ে যাবেন। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না কিভাবে এত দ্রুত সুস্বাস্থে্যর অধিকারী হওয়া সম্ভব।
আপনি বেশি বেশি করে ক্যালোরিযুক্ত খাবার খান। ভাতের বদলে ডাল এবং সবজিসহ রান্না করা খিচুড়ি খান । ভাত খেতে হলে বসা ভাত রান্না করুন কিংবা রাইস কুকারে রান্না করা ভাত খান । ফ্যান বা মাড় ঝরানো ভাত খেতে পারেন। রুটি খাবেন না । পাউরুটি খেলে জেলি/জ্যাম অথবা মাখন সহ খান । প্রতিদিন ১০০ গ্রাম বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন।প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম দুধ খান । দিনে ২ টি ডিম খান । অতিরিক্ত চা কফি খাবেন না । কখনই খাবার বাদ দেবেন না । দ্রুত কোথাও যেতে হলে বা কাজ থাকলে পথে খাবারটা খেয়ে নিন । খাবার বাদ দিলে শরীরের ক্ষতি হয় । তিনবেলা খাওয়ার সাথে সাথে বিকালে নাস্তা করুন । আস্তে আস্তে স্বাহ্য বালো হয়ে উঠবে।
পুষ্টিকর খাবার খান নিয়মিত ঘুমান যতটুকু সম্ভব চিন্তামুক্ত থাকুন, এবং যথেষ্ট পরিমান পানি পান করুন নিয়মিত ব্যায়াম করুন শরীর এর গঠন ঠিক রাখতে সকাল বিকেল মুখের রুচি বৃদ্ধির জন্য, 'সিরাপ 'পিউটন অথবা সিনকারা খেতে পারেন, এর পাশাপাশি প্রচুর ভিটামিন যুক্তখাবার খাবেন তাহলে আপনি ভাল সাস্থ্যর অধিকারী হতে পারবেন, ঠিক মত খাওয়া দাওয়া ছাড়া কখনোই তা সম্ভব নয়....
১. স্বাস্থ্যকর খাবার খান : আপনি হয়ত প্রচুর পরিমাণে খাচ্ছেন তারপরও আপনার স্বাস্থ্য ঠিকমত বাড়ছে না। তার কারণ হল আপনি খাচ্ছেন, কিন্তু ঠিক নিয়ম করে সঠিক খাবারটি খাচ্ছেন না। খালি পেট ভরে এটা সেটা খেলেই হবে না। খেটে হবে উপযুক্ত খাবারটি। আপনার শরীরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রোটিন, কার্বন এবং ফ্যাট এর প্রয়োজন হয় প্রতিদিন। এর জন্য প্রতিদিন বাদাম এবং দুগ্ধজাত খাবার খান। প্রোটিনযুক্ত খাবার পেশী গঠনে সহায়তা করে। এটি শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে থাকে। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে মাংস গ্রহণ করুন। রোজ খান ডিম, পনির ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ভাত-রুটি-আলু। ওজন বাড়াতে চাইলে বসা ভাত খেলেই উপকার পাবেন। কেননা এটা থাকে প্রচুর ক্যালোরি। মিষ্টি খান রোজ। ২. বেশি পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন : একটু পর পর তরল জাতীয় খাবারে ক্ষুধা দ্রুত তৈরি করে। এজন্য আপনি ক্ষুধা তৈরি করার জন্য একটু পর পর তরল জাতীয় যেকোনো খাবার খেতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন ভারী খাবার খাওয়ার আগে এবং খাবারের মাঝখানে কখনই পানি খাওয়া ভালো না। এতে করে খাবার মাঝখানে পানি ক্ষুধাটাকে নিবারণ করে। ফলে ভারী খাবার খাওয়ার রুচি থাকে না। ৩. ঘন ঘন খান : আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে দিনে ৫ থেকে ৭ বার পরিমিত পরিমাণে খাবার খান। অামরা সচরাচর ৩ বার খেয়ে থাকি। আপনি দিনে ৬ বার খান কিন্তু পরিমাণটি নির্দিষ্ট করে। এতে করে আপনার খেতে কোনো সমস্যা হবে না। কলা, আম ইত্যাদি ফল বেশি পরিমাণে খাবেন। পাশাপাশি অন্যান্য ক্যালরিযুক্ত খাবারও গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন আপনি যত পরিমাণে জাঙ্ক ফুড খাবেন আপনার দেহ থেকে তার চেয়েও বেশি পরিমাণে প্রোটিন বেরিয়ে যাবে। তাই ভাজা বাদ দিয়ে বাদাম, পরিমিত মিষ্টি, ঘরে তৈরি নানান খাবার খান। ৪. সঠিক নিয়মে খান : আপনি খাবার খাচ্ছেন কিন্তু কোনো নিয়ম মেনে খাচ্ছেন না এতে করে আপনার কোনো কাজই হবে না। আপনার ওজন কোনোভাবেই বাড়বে না। আপনি যদি নিয়ম করে খাবার তালিকা তৈরি করে খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ওজন বাড়তে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। দিনের একটি বড় তালিকা তৈরি করুন ও সেটি পালন করুন ঘড়ি ধরে। মোটামুটিভাবে ৪ সপ্তাহের মধ্যে একটি ইতিবাচক ফলাফল পাবেন। ওজন বাড়ে সহায়ক খাবার গুলো রোজ খাবেন ও পর্যাপ্ত ঘুমাবেন। ৫. শারীরিক ব্যায়াম : অবাক হচ্ছেন? ভাবছনে আপনি রোগা মানুষ আপনার আবার ব্যায়াম কি? তাহলে জেনে রাখুন, কিছু বিশেষ ব্যায়াম শরীরের পেশী তৈরি করে ও ওজন বাড়ায়। তাছাড়া ক্ষুধার উদ্রেকও করে। জিমে যাওয়া শুরু করুন নিয়মিত, ট্রেইনারের কথা মেনে চলুন। চমৎকার শরীর তৈরি হবে।আবার আপনি যদি শুধু ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়েই যান আর কোনো ধরনের ব্যায়াম না করেন তাহলে আপনার শরীরের কিছু অংশে অতিরিক্ত মেদ দেখা দেবে যেমন তলপেটসহ অন্যান্য অংশে কিন্তু আপনার ওজন বাড়াতে খুব একটা সহায়ক ভূমিকা রাখবে না। এজন্য যতটা সম্ভব শারীরিক ব্যায়াম করুন। এতে করে দেহের অতিরিক্ত মেদ নিঃসরণ করে একটা ভালো ওজন পেতে পারেন। ৬. ধূমপান থেকে বিরত থাকুন : ধূমপান একজন মানুষকে শারীরিকভাবে অসুস্থ করে তোলে। স্বাস্থ্যের ক্ষতিসাধন করে থাকে। এজন্য দেখা গেল যে স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য আপনি যতটা প্রয়োজন নিয়ম করে খাবার গ্রহণ করলেন কিন্তু পাশাপাশি ধূমপান চালিয়ে গেলেন। এতে করে আপনার কোনো ধরনের ইতিবাচক ফলাফল আসবে না। এর জন্য আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন আর ওজন বাড়াতে চান তাহলে আজই ধূমপান ত্যাগ করুন।
সাস্থ্য এ সকল সুখের মূল... সাস্থ্য ভালো থাকলে মন এমনিতে ই ভালো থাকে যদি অন্য কোনো পারিপার্শিক কারণ মনের উপর হানা না দেয়... সাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত পরিমান মত খেতে হবে,সুষম খাবার এর একটি তালিকা তৈরী করে নিয়মিত খান,পরিমিত ঘুমান,প্রতিদিন সময় করে হাটাহাটির অভ্ভাস করুন এবং হালকা বেয়াম করুন... প্রচুর পরিমানে পানি খান, প্রাণ খুলে হাসুন...চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন... মাঝে মাঝে প্রিয় কোনো মানুষ কে নিয়ে কথাও থেকে বেরিয়ে আসুন... মনে হচ্ছে অনেক কাজ?? শরীর আর মন ভালো থাকার সাথে নো কম্প্রমায়স... তাই একটু সচেতন তো হতে ই হব
১.সকালে সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠা উচিত।মুখ ধুয়েই এক থেকে দুই গ্লাস পানি খাওয়া ভাল।এতে সহজে কোন পেটের রোগ হয় না।
২.পানি খাবার পর কিছুক্ষন খোলা জায়গায় হাটা উচিত।সকালের বিশুদ্ধ বাতাস শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী।
৩.খালি পেটে চা বা কফি খাওয়া ঠিক না ।খাবার আগে অবশ্যই কিছু খাওয়া প্রয়োজন।
৪.খাবার যতদূর সম্ভব নিয়মিত খাওয়া উচিত।খিদে না পেলে কখনই খাওয়া উচিত নয়,আবার খু্ব বেশী বা খুব কম খাওয়াও উচিত নয়।
৫.সপ্তাহে বা ১৫ দিনে একদিন উপবাস করলে পাকস্থলির কর্মক্ষমতা ঠিক থাকে।আমাবশ্যা বা পূর্ণিমাতে উপবাস করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
৬.খাবার সময় বেশি পানি খাওয়া ঠিক না।খাবার শেষ করার অন্তত ১ ঘন্টা পরে পানি খাওয়া উচিত তবে দিনে যত বেশি পানি পান করা যায় ততই ভাল।বেশি পানি পান করলে কোন ক্ষতি নেই।
৭.তাড়াতাড়ি বা অন্যমনস্ক হয়ে খাবার খাওয়া ঠিক না।খাবার সময় কথা বলা ঠিক না।
৮.খাবার ভালমত চিবিয়ে খাওয়া উচিত।খাবার যত চিবিয়ে খাওয়া যায় তত তাড়াতাড়ি হজম হয়।
৯.দুপুরে খাবার সময় ১২ টা এবং রাতে খাবার সময় ৯ টার আগে হওয়া উচিত।কেননা বেশি রাতে খেলে খাবার ঠিকমত হজম হয় না,তাই রাতে হালকা খাওয়া উচিত।অধিক রাতে দুধ ছাড়া কিছু খাওয়া ঠিক না।
১০.রাতে খাওয়ার অনন্ত আধ ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পরে ঘুমাতে যওয়া উচিত।
১১.অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর বিশ্রাম না নিয়ে খাওয়া ঠিক নয়, তেমনি খাবার পর অবশ্যই কিছুক্ষন বিশ্রাম নেওয়া দরকার।
১২.রোদ থেকে এসে বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি খাওয়া ঠিক না।