বেশি খেয়ে খেয়ে শরিরে বেশ মেদ জমিয়েছি..;-) এখন এগুলো থেকে মুক্তি পেতে চাই।এমন কোন খাবার আছে কি যা খেলে তারাতারি মেদ কমে যাবে।জানা থাকলে প্লিজ সাজেষ্ট করুন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

পুষ্টিবিজ্ঞানীরা ৭ ধরনের খাদ্যোপাদানকে ‘ম্যাজিক ফুড’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে, এ ৭ ধরনের খাবার পরিমিত পরিমাণে নিয়মিত খেলে অবশ্যই মেদ কমবে: ফল ও সবজি এ খাবারগুলোতে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও ফাইবার বেশি থাকার কারণে তা কোলেস্টেরল ও পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। খাবারের আঁশ চর্বিকণাকে বেঁধে ফেলে এবং মলমূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ফল ও সবজিতে আঁশজাতীয় উপাদান বেশি থাকার কারণে ক্ষুধার অনুভূতি হ্রাস করে। প্রতিদিন অন্তত চার-পাঁচ ধরনের ফল ও সবজি খেলে তা অন্যান্য খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমায়। এ বিশেষ কয়েকটি কারণেই পেটের মেদ কমাতে ফল ও সবজি কাজ করে থাকে। সবুজ চা হালকা এ পানীয় কেবল শরীরকে সতেজই রাখে না, সঙ্গে ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। সবুজ চায়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের প্রাচুর্য পরোক্ষভাবে অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে। বাদাম ও অলিভ অয়েল প্রতিদিনের খাবার তালিকায় প্রোটিন থাকা যেমন অত্যাবশ্যক, ঠিক তেমনি জরুরি ‘ফ্যাট’-জাতীয় খাবারের উপস্থিতি। আঁতকে উঠলেন? কিন্তু এটাই সত্যি। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, সব ‘ফ্যাট’ই শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়। শরীরকে সব ধরনের খাদ্য উপাদানের সুষম বণ্টনই সুস্থতাকে নির্দেশ করে। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ও মিনারেলের মতো দেহে ফ্যাটেরও প্রয়োজন। বিশেষ করে কিছু ভিটামিন শোষণের জন্য প্রয়োজন ফ্যাট। এ, ডি, কে এবং ই ভিটামিনের অভাব দেখা দিতে পারে, যদি শরীর তার প্রয়োজনমতো ফ্যাটের সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হয়। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখুন কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, কুমড়ার বিচি, শিমের বিচি, কিডনি বিন ও জলপাইয়ের তেল। বাদাম ও দানাজাতীয় খাবার থেকে যে ফ্যাট পাওয়া যায় তাকে পুষ্টিবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট’। এই ফ্যাট রক্ত থেকে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ত্বক ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দেখভাল করে, চামড়ার মসৃণতা বাড়াতে সাহায্য করে পাশাপাশি মেটাবলিক রেট বাড়ায়, যা ওজন হ্রাসে ভূমিকা রাখে। সামুদ্রিক মাছ সামুদ্রিক মাছে থাকে ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই অ্যাসিড মেদ বৃদ্ধিতে দায়ী চর্বিকে পোড়াতে এবং শরীরে ভালো চর্বির পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছ থেকে যে ফ্যাট পাওয়া যায় তার নাম ‘পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট’। বাদাম ও জলপাই তেলের মতো সামুদ্রিক মাছের ফ্যাটও ওজন হ্রাসে ভূমিকা রাখে। মসলা রান্নায় যেসব মসলা ব্যবহার করা হয়, যেমন রসুন, হলুদ, দারুচিনি, আদা— এগুলো বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মসলার নিজস্ব গুণাগুণের কারণে তা শরীরকে আয়ুর্বেদিক কিছু উপকারিতা দিয়ে থাকে। আবার মসলা খাবারকে সহজপাচ্য করে, যা খাবারকে সুস্বাদু করার সঙ্গে সঙ্গে হজমেও সাহায্য করে। আদা, দারুচিনি ও হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে থাকে। পানি শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দিতে পানির ভূমিকা অসাধারণ। বলা হয়, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি ওজন হ্রাসে সরাসরি ভূমিকা রাখে। পানি শরীরকে সতেজ রাখে, অযথা ক্ষুধাভাবকে দূর করে। বারবার পানি পান করার ফলে শরীর চাঙাবোধ করে। মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়। তাই ওজন কমানোর অন্যতম আরেকটি জরুরি পদক্ষেপ পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া। আঁশজাতীয় খাবার এই ধরনের খাবার রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আঁশজাতীয় খাবারে ভিটামিন-বি বেশি থাকে, যা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি আমাদের বেসাল মেটাবলিক রেট (বিএমআর) সচল রাখার মাধ্যমে শরীরকে তার খাবার পরিপূর্ণভাবে সদ্ব্যবহার করতে সাহায্য করে। শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা রাখার প্রবণতা কমাতে আঁশজাতীয় খাবারের জুড়ি মেলা ভার।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

2 লিটার পানি
1 চা চামচ অাদা কুচি
1টি শশা ছোট টুকরা করে কাটা
1টি মাঝারি লেবু
12টি পুদিনা পাতা টুকরা করে কাটা
সব একসাথে কাচের পাত্রে সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিন।
সকালে উঠে খালি পেটে 1গ্লাস তারপর সারাদিন পানি মত পান করে যান, এক মাসের মধ্যে ফলাফল বুঝতে পারবেন।
বিঃদ্রঃ গরুর মাংস, ভাত ও অন্যান্য চর্বি জাতীয় খাবার একটু কমিয়ে দিয়ে প্রচুর ফল, সব্জি ও সালাদ খেলে ভাল ফল পাবেন।
ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মেদভুঁড়ি নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য যে আপনাকে রাতদিন দৌড়াতে হবে বা খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে ডায়েট করা শুরু করে দিতে হবে এমন কিন্তু নয়। যা করতে হবে তা হলো সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পরিমিত ঘুম, শরীরচর্চা ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ।পর্যাপ্ত ও সুষম খাবারঃমেদ কমানোর উপায়পর্যাপ্ত খাবার মানে ঠিকযতটুকু খাবার বা ক্যালোরি আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজন সেইমতো খাবার খাওয়া। এটা আপনারবয়স বুঝে খাবারের পরিমাণটা ঠিক করতে হবে। আর খাবার গ্রহণের সময় অবশ্যই চর্বি ও তেল জাতীয় খাবার তুলনামূলকভাবে কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং সুষম খাবার যেমন অঙ্কুরিত ছোলা, আঁশ জাতীয় খাবার, সবুজ ফল ও শাক-সবজি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখবেন। বাইরের ভাজা-পোড়া খাবারবা ফাস্টফুড এড়িয়ে চলবেন। একসাথে বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে দিনে কয়েকবার খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। খাবারের শুরুতে এবং খাবারের শেষে অন্তত দুই গ্লাস পানি পান করবেন, এতে করে পানি দিয়ে পেট ভর্তি থাকলে আপনার খাবারের পরিমাণ ঠিক থাকবে এবং বেশি খাবার খেয়ে ক্যালোরি জমার ভয়ও থাকবে না।নিয়মিত ব্যায়ামবা শরীরচর্চাঃআমাদের শরীরে মেদ জমার অন্যতম কারন হলো আমরা যতটুকু ক্যালোরি প্রতিদিন গ্রহন করি সেই পরিমাণ ক্যালোরি প্রতিদিন বার্ন হয়না বাক্ষয় হয় না। এতে করে ক্যালোরি জমতে জমতে একসময় বেঢপ সাইজের একটামেদভুঁড়ি হয় বা শরীরে মেদ জমে যায়। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে নিয়মিতব্যায়াম তাই অপরিহার্য।আমরা সবাই জানি হাঁটা সর্বোৎকৃষ্ট ব্যায়াম তাই আপনি যদি প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট হাঁটেন (জোরেহাঁটতে পারলে ভালো) তাহলে আপনার বাড়তি ক্যালোরি বার্ন হবে এবং সাথে সাথে মাংসপেশিও মজবুত হবে।হাঁটার পাশাপাশি দৌড়ানো, বাগানকরা, লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করা, ইয়োগা করা অর্থাৎ কায়িক পরিশ্রম হয় এমন কাজ করলেও শরীর ফিট থাকবে এবং বাড়তি মেদ ঝরে পড়বে। পাশাপাশিসাইক্লিং বা সাঁতার কাটতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।অতিনিদ্রা বা অনিদ্রা নয়ঃমেদ জমার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঘুম বা কম ঘুম দুটিই খুব ক্ষতিকর। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা গড়ে ৪-৫ ঘন্টা ঘুমান বা যাদের পর্যাপ্তঘুম হয়না তাদের রয়েছে মেদ জমার আশংকা আবার যারা ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঘুমান তাদেরও স্থূল আকৃতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মেদ নিয়ন্ত্রনে রাখতে হলে ৮ ঘণ্টার কম বা বেশি ঘুমানো যাবে না। যাদের দিনে ঘুমানোর অভ্যাস আছেতারা এই অভ্যাস পরিত্যাগকরে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণঃআমাদের দেহ ও মন একে অপরের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। তাই মনের চাপ অনেক সময় শরীরের উপরও পরে। অনেক ক্ষেত্রে মানিসিক চাপ বাউদ্বেগ বৃদ্ধির সাথে সাথে ওজনও যেন পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। কারণটা আর কিছু নয় মানসিক অবসাদ বা নিয়ম মেনে চলার প্রতি অনীহা। যখন মানুষের মন বিষাদগ্রস্ত থাকে তখন দেখা যায় অনেকের ক্ষুধাবেড়ে যায় এবং মাত্রাতিরিক্ত খাবার খেতে থাকে, অনেকে ব্যায়াম করা ছেড়ে দেয়, অনিদ্রায় ভোগে- এরপ্রতিটিই মেদ জমতে সাহায্য করে। তাই যখন আপনি মানসিক চাপের মধ্যেথাকবেন তখন বাসায় বসে কিছু ছোটখাটো ইয়োগা প্র্যাকটিস করতে পারেন অথবা হালকা মিউজিক ছেড়েঅ্যারোবিক্সও করতে পারেন। সর্বোপরি মন খুলেহাঁসার চেষ্টা করবেন এবংভালো চিন্তা করবেন তাহলেমানসিক চাপ অনেকটাই কমে যাবে ও শরীরের উপরও এর প্রভাব পড়বে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রাকৃতিক উপায়ে মেদ কমান ! • দিন শুরু হোক লেবুর শরবতে: পেটের মেদ কমানোর সবচেয়ে কার্যকর প্রকৃতিক পদ্ধতি। গ্লাসে একটু লেবুর রস নিয়ে তাতে গরম পানি এবং সামান্য লবন যোগ করুন। প্রতিদিন সকালে এই শরবত আপনার হজম শক্তি বাড়াবে এবং মেদ ঝরাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। • সাদা চাল থেকে দূরে থাকুন: সাদা চালের জায়গায় লাল আটা বা লাল চালের তৈরি খাবার খেতে শুরু করুন। • মিষ্টিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন: মিষ্টি খাবার, পানীয় এবং তৈলাক্ত খাবার থেকে একদম দূরে থাকুন। এই খাবারগুলো দেহের বিভিন্ন জায়গা বিশেষ করে পেট এবং উরুর মেদ বাড়িয়ে দেয় খুব দ্রুত। • পর্যাপ্ত পানি পান করুন: মেদ মুক্ত দেহ পেতে চাইলে নিয়মিত বিরতিতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এই পানি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি সহ দেহের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করবে। • কাঁচা রসুন খান: প্রতিদিন সকালে ছোট দুই তিন টুকরা রসুন চিবিয়ে খান। রসুনের পরই উপরে বর্ণিত লেবুর শরবত খেলে মেদ কমার গতি দ্বিগুন বেড়ে যাবে। • আমিষ এড়িয়ে চলুন: পেটের মেদ কমানোর জন্য মাংস জাতীয় খাবারের বদলে নিরামিশ জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত হোন। • ফল এবং সবজির কদর করুন: প্রতিদিন সকাল ও বিকালে এক বাটি করে মৌসুমী ফল ও কাঁচা খাওয়া যায় এমন সবজি নিয়ম করে খাবেন। এই ফল এবং সবজি আপনার দেহের জন্য প্রয়োজনীয় এন্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ভিটামিনের অভাব পূরণ করবে। • রান্নার কৌশল বদলান: যতোটা কম তেলে রান্না করা যায় তার কৌশল রপ্ত করুন। তৈলাক্ত খাবারের ধারে কাছেই ঘেষবেন না। রান্নায় বিভিন্ন মসলা যোগ করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call

আমার জানা মতে পেটের মেদ কমানোর জন্য সবচেয়ে দ্রুত উপায় হচ্ছে ব্যায়াম ।আপনি নিয়মিত বুক ডাউন করেন আর অন্যান্য ব্যায়াম গুলো করেন তাহলে মেদ কমে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ