শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Nabilahaque

Call

#9 নাক ডাকার সমস্যা আপাত দৃষ্টিতে খুব বেশি ক্ষতিকর মনে না হলেও এটি আসলে বেশ খারাপ একটি সমস্যা। এটিকে হৃদরোগের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এছাড়া এই নাক ডাকার সমস্যা যে বেশ বিরক্তিকর ও বিব্রতকর, তা নতুন করে বলে দিতে হয় না। যিনি নাক ডাকেন তিনি না বুঝলেও পাশে থাকা মানুষটির ঘুম হারাম হয়ে যায়। তাই নাক ডাকা সমস্যাকে অবহেলা নয় মোটেই। সমস্যাটি কীভাবে দূর করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। ঘরোয়া ভাবে খুব সহজে এবং বেশ সুস্বাদু উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জানতে চান কীভাবে? চলুন তবে দেখে নেয়া যাক। গাজর-আপেলের জুস :- শুনতে সাধারণ মনে হলেও এই জুসের রয়েছে শ্বাসনালী কিছুটা চওড়া ও শ্বাসনালীর মিউকাস দ্রুত নিঃসরণের ক্ষমতা যা নাক ডাকা থেকে মুক্তি দিতে বেশ কার্যকর। – ২ টি আপেল ছোটো ছোটো খণ্ডে কেটে নিন এবং ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। – এবার ২ টি গাজর কেটে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। – এরপর একটি লেবুর ১/৪ অংশ কেটে রস চিপে এতে দিয়ে দিন এবং ১ চা চামচ আদা কুচি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। – কিছুটা পানি দিয়ে বেশ ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়ে ছেঁকে নিন। – এই পানীয়টি প্রতিদিন পান করুন। নাক ডাকার সমস্যা দূরে পালাবে। হলুদের চা :- হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এটিও বেশ কার্যকর নাক ডাকা সমস্যার সমাধানে। – ২ কাপ পরিমাণ পানি চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। – এতে ১ চা চামচ পরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটা দিয়ে দিন (গুঁড়ো হলেও চলবে)। এবার আবার জ্বাল করতে থাকুন। – যখন পানি ফুটে ১ কাপ পরিমাণে চলে আসবে তখন তা নামিয়ে ছেঁকে ফেলুন। – এবার ১/২ চা চামচ মধু ও ২/৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। – প্রতিদিন ঘুমুতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পান করে নেবেন। দেখবেন নাক ডাকার সমস্যা দূর হয়ে যাবে। ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা নিশ্চয়ই খুবই বাজে ব্যাপার ও বিব্রতকর। যিনি নাক ডাকেন, তাঁর জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে। আর অবশ্যই পাশের মানুষটির জন্য এটি বিরক্তির উদ্রেক করে। সাধারণ কতগুলো নিয়ম মেনে চললে নাক ডাকার এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। নাক ডাকা নিয়ে দারুণ অস্বস্তিকর অবস্থায় আছেন? তাহলে আজ জেনে নিন ১০টি বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি, যেগুলো নিঃসন্দেহে আপনার নাক ডাকা সমস্যার সমাধান করবে। ১) কাত হয়ে ঘুমানো চিত হয়ে ঘুমালে গলার পেশি থাকে শিথিল। ফলে নাক ডাকার আশঙ্কা থাকে বেশি। তাই যাদের নাক ডাকার সমস্যা আছে তারা কাত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করে দেখতে পারেন। ২) ওজন কমানো যাদের ওজন বেশি, শরীরের আকার স্থূল। তাঁরা স্থূলতার কারণে নাক ডাকতে পারেন। বেশি ওজনের কারণে গলার পথ সরু হয়ে যায়। ফলে শ্বাস নেয়ার সময় টিস্যুগুলোর ঘর্ষণে শ্বাস নেয়ার সময় শব্দ হয়। তাই ওজন কমানোর চেষ্টা করা উচিত। ৩) নেশাজাতীয় দ্রব্য ও ঘুমের ওষুধ পরিহার অ্যালকোহল বা নেশা জাতীয় দ্রব্য মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলার সাথে সাথে অন্যান্য শারিরীক সমস্যার সৃষ্টি করে। অ্যালকোহল বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনের কারণে অনেকে নাক ডাকেন। তাই নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিহার করা উচিত। ৪) বেশি বালিশ নেওয়া বুকের চেয়ে মাথা উপরে থাকলে নাক ডাকার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। তাই মাথার নিচে কয়েকটি দিয়েও নাক ডাকা কমানো যেতে পারে। ৫) ধূমপান ছেড়ে দেওয়া ধূমপানে শরীরের অক্সিজেন ব্যবহারের ক্ষমতা কমে যায়। ফলে বাতাস বের হওয়ার পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ কারণেও অনেকে নাক ডাকতে পারেন। তাই উচিত ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা। ৬) নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম শরীরের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার অনেক কিছুই অভ্যাস নিয়ন্ত্রিত। তাই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা উচিত। ফলে ঘুমের সাথে শরীরের একধরনের সামঞ্জস্য তৈরি হয়। আর অভ্যাসেরও পরিবর্তন হয়। এতে কমে যেতে পারে আপনার নাক ডাকার প্রবনতা। ৭) শরীরচর্চা শরীরচর্চা পেশি, রক্তের চলাচল ও হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন বাড়ায় এবং ঘুমও ভালো হয়। এ কারণে নাক ডাকা কমাতে হলে প্রতিদিন ৩০ মিনিট শরীরচর্চার অভ্যাস করা জরুরি। ৮) প্রচুর পানি পান করা প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে নাসারন্ধ্রে লেগে থাকা আঠার মতো দ্রব্যগুলো দূর হবে। নাক ডাকাও কমবে। ৯) নাসারন্ধ্রের পথ পরিষ্কার রাখা নাসারন্ধ্র পরিষ্কার রাখাটা খুবই জরুরি। এতে একজন ব্যক্তি সহজভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারেন। এ কারণে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে নাক পরিষ্কার করতে হবে। এমনকি এ ক্ষেত্রে ইনহেলারও ব্যবহার করা যেতে পারে। ১০) ঘুমাতে যাওয়ার দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে জেগে থাকা অবস্থায়ই খাবার হজম হয়ে যাবে। পরিপাক তন্ত্র ঝামেলা করবে না। ফলে রাতে ভালো ঘুম হবে। নাক ডাকাও কমবে। এতোসব করেও যদি আপনার নাক ডাকার প্রকোপ কোন মতেই না কমাতে পারেন। তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। দূর করে নিন স্বাস্থ্যঝুঁকি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ