শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপেক্ষিকতা:  চিরায়ত বলবিদ্যা অণুযায়ী স্থান,কাল এবং ভরকে পরম বলে ধরা হয়। কিন্তু আলবার্ট আইনস্টাইনসর্বপ্রথম দাবী করেন যে পরমস্থান, পরমকাল এবং পরমভর বলতে কিছুই নেই। স্থান,কাল এবং ভর তিনটিকেই আপেক্ষিক ধরে তিনি তার বিখ্যাত আপেক্ষিকতা তত্ত্ব প্রস্তাব করেন । এর দুইটি রূপ আছে: বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এবং সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব। অনেক সময় আপেক্ষিকতা বলতে গ্যালিলিওর আপেক্ষিকতা ও বুঝানো হয়।


আপেক্ষিকতা ২ প্রকার।যথা:১।বিশেষ আপেক্ষিকতা 

                                             ২।সাধারণ আপেক্ষিকতা


বিশেষ আপেক্ষিকতা:  আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন 

বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব


বিশেষ আপেক্ষিকতা স্থানকালের কাঠামোর একটি তত্ত্ব। এটি আলবার্ট আইনস্টাইন প্রথম ১৯০৫ সালে On the Electrodynamics of Moving Bodiesনামক গবেষণা পত্রে প্রকাশ করেন। বিশেষ আপেক্ষিকতাবাদ দুইটি উপপাদ্যর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত, যার সাথে সনাতন বলবিজ্ঞানের বৈপরিত্য আছে। 


১) সমবেগে চলমান সকল পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মাবলী অভিন্ন (আপেক্ষিকতাবাদের মূলনীতি)। 


২) শূন্য মাধ্যমে আলোর গতিবেগ সমস্ত পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে একই এবং তা আলোর উৎসের ও পর্যবেক্ষকের গতির সাথে নিরপেক্ষ । 


সামগ্রিকভাবে এই তত্ত্ব ব্যবহারিক পরীক্ষার ফলাফল সনাতন বলবিজ্ঞানের চেয়ে ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। মাইকেলসন-মোরলী পরীক্ষাটি বিশেষ আপেক্ষিকতাবাদের দ্বিতীয় উপপাদ্য সমর্থন করে, তাছাড়া এই তত্ত্ব অনেক বিস্ময়কর ফলাফলেরও ব্যাখ্যা দেয়। 


যেমন একজন পর্যবেক্ষকের পরিমাপে দুইটি ঘটনা তাৎক্ষনিক ঘটলেও অন্য একজন পর্যবেক্ষকের পরিমাপে তা নাও হতে পারে, যদি তারা একজন অপর জনের সাপেক্ষে গতিশীল হয়। 


সময় প্রসারণ : একজন চলন্ত পর্যবেক্ষকেরের ঘড়ি, স্থীর পর্যবেক্ষকেরের ঘড়ির চেয়ে ধীরেধীরে টিক্ পরিমাপ করে। 


দৈর্ঘ্য সঙ্কোচন: বস্তুর গতির দিকে তার দৈর্ঘ্য সঙ্কোচন ঘটে বলে পর্যবেক্ষকের কাছে পরিমিত হয়। 


ভর-শক্তির সাম্যতা: E = mc2 (শক্তির পরিমাণ = বস্তুর ভর × আলোর বেগের বর্গ), শক্তি এবং ভর সমতুল্য এবং পারস্পরিক পরিবতনযোগ্য। 


সাধারণ আপেক্ষিকতা:  আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন 

সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব


সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ মূলতঃ মহাকর্ষের একটি তত্ত্ব যা আইনস্টাইন ১৯০৭–১৯১৫ সালে বিকশিত করে। সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদের কিছু ফলাফল: 


সময় উচ্চতর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে আরও বেশি ধীরেলয়ের হয়। 


মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের উপস্থিতিতে আলোর গতিপথ বেকে যায়। 


মহাবিশ্ব সম্প্রসারণ করছে, এবং তার দূরবতী অংশ আলোর গতির চেয়ে দ্রুততর গতিতে দূরে সরে যাচ্ছে। ইহা জটিল বিষয়। আসলে নিউটনের সূত্র মতে ভর সময় এগুলো স্থির। কিন্তু আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুযায়ী মহাবিশ্বের সবকিছু আপেক্ষিক অথবা পরিবর্তনশীল।



ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ