আমি HSC পরিক্ষার্থী।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

একাধিক পদকে বিশেষ কৌশলে ব্যাকারণের রীতি অনুসারে একপদে নিয়ে আসার পদ্ধতিকে সমাস বলে৷ (বিভিন্ন ভাবে সমাসের সঙ্গা দেওয়া সম্ভব)



সমাস সাধারণত সংস্কৃত ব্যাকারণ অনুসারে ছয় প্রকার যথা : 

১. দ্বন্দ্ব সমাস: যে সমাসে দুই বা তার বেশি পদের মিলন হয় এবং সমস্যমান পদগুলোর প্রতিটিতেই অর্থের প্রাধান্য থাকে তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। দ্বন্দ্ব সমাসে প্রত্যেকটিতে সংযোজক অব্যয় (ও, আর) থাকবে। যেমন: ভালো মন্দ = ভালোমন্দ। 

 ২. দ্বিগু সমাস: যে তৎপুরুষ জাতীয় সমাসের পূর্বপদ সংখ্যাবাচক বিশেষণের সঙ্গে বিশেষ্য জাতীয় উত্তরপদের সমাস হয় তাকে দ্বিগু সমাস বলে। দ্বিগু সমাসে সমস্ত পদটি বিশেষ্য হয়। যেমন: তিন ভুজের সমাহার = ত্রিভুজ। 

 ৩. কর্মধারয় সমাস : বিশেষণ ও বিশেষণ পদে কিংবা বিশেষ ও বিশেষণ পদে যে সমাস হয় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে কর্মধারয় সমাস বলা হয়। যেমন: মহান যে নবী = মহানবী। 

 ৪. তৎপুরুষ সমাস : যে সমাস নিষ্পন্ন হওয়ার পর পূর্বপদে বিদ্যমান দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী,পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী প্রভৃতি বিভক্তি লোপ পায় এবং সমস্তপদে পরপদের অর্থ প্রধান্য লাভ করে তাকে তৎপুরুষ সমাস বলা হয়। যেমন: ছায়া দ্বারা শীতল = ছায়াশীতল। 

 ৫. অব্যয়ীভাব সমাস : অব্যয় পদ পূর্ব বসে যে সমাস হয় এবং যাতে অব্যয় পদের বা পূর্বপদের অর্থের প্রাধান্য থাকে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। যেমন: শহরের সদৃশ = উপশহর। 

 ৬. বহুব্রীহি সমাস: যে সমাস সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থ প্রধানভাবে না বুঝিয়ে অন্য কোনো কিছুর অর্থ বুঝিয়ে থাকে তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন: দশ হাত যার = দশহাতি (এখানে দশহাতি হলো একজন দেবী)।

বি.দ্র. সমাস বাংলা ব্যাকারণের একটা বড় অধ্যায় তাই এটা এখানে লিখে বিস্তারিত আলোচনা অনেকটা অসম্ভব তাউ যথাসম্ভব এখানে সংক্ষেপে লিখেছি৷ এখানে প্রতিটি সমাসের আবার প্রকার আছে এবং নির্ণয় করার বিভিন্ন উপায় আছে। 

আর আপনি দয়া করে পড়ার সময় বোল্ড লেখাগুলো লক্ষ্য করবেন তাহলে উদাহরণগুলো বুঝতে শুবিধা হবে।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ