আমার বদ হজমের সমস্যা, প্রচুর পরিমাণে গ্যাস হয়, পায়খানা ক্লিয়ার না।
Share with your friends
Call

আমাদের দেশে লিভার সেন্টারের গবেষণা হতে দেখা গেছে যেসব রোগীর দীর্ঘমেয়াদি লিভার প্রদাহ থাকে এবং ফ্যাটি লিভার থাকে তাদের অধিকাংশই কোন না কোন সময় আই বি এসে আক্রান্ত হয়। আবার যেসব রোগীর পায়খানার অভ্যাসের পরিবর্তন, পেট ফোলা, পেটে ব্যাথা, পেটে শব্দ, খাদ্য হজমে সমস্যা নিয়ে আসে তাদের অধিকাংশই পরবর্তীতে লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। বলা বাহুল্য যে, বমিভাব, বমি, ঢেকুর ওঠা, ক্ষুধামন্দা, ঘাম হওয়া, মাথাব্যাথা, অনিদ্রা, জ্ঞান হারানো, রক্ত মিশ্রিত পায়খানা এগুলো আই বি এসের উপসর্গ হিসেবে সুনির্দিষ্ট নয়। উপসর্গগুলো কয়েক দিন, কয়েক সপ্তাহ, কয়েক মাসও থাকতে পারে। যদিও উপসর্গগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ঘটে থাকে। আই বি এস সাধারণত উপসর্গভিত্তিক রোগ আর এর চিকিৎসাও উপসর্গানুসারে প্রদান করা হয়। আই বি এস এর উপসর্গগুলো কমানোর জন্য বাজারে নানা রকম ঔষধ আছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোন ঔষধ খাওয়া উচিৎ নয়। ঔষধ খাওয়ার আগে আপনার রোগ সম্পর্কে চিকিৎসকের নিকট বিস্তারিত বলুন। খাদ্যাভ্যাসঃ আঁশযুক্ত খাবার আই বি এসকে প্রতিহত করে। ধীরে ধীরে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শাকজাতীয় যে সব খাবার গ্যাস উদ্রেক করে তা বর্জন করতে হবে। দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার রোগীর উপসর্গ বাড়িয়ে দেয়। তাই এগুলো পরিহার করতে হবে। চর্বিযুক্ত খাবার, তৈলাক্ত খাবার ও ভাজাপোড়া খাবার বর্জন করতে হবে। অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ও গুরুপাক খাবার বর্জন করতে হবে। ইসবগুলের ভূষি ও অন্য আঁশযুক্ত খাবার গ্রহন করতে হবে।

Talk Doctor Online in Bissoy App