শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
HMMOBAROKBD

Call

নিশ্চয় আমাদের প্রিয় নবী সাঃ এর শিক্ষায় উত্তম শিক্ষা!খারাপ অভ্যাস/অশ্লীল কাজ থেকে বাচার উপায় সম্পর্কে আল্লাহর নবী সাঃ বলেছেন-এর সর্বোত্তম উপায় হলো "নামাজ"         

সালাত/নামাজ এমন এক নিয়ন্ত্রক শক্তিতে পূর্ণ যে, খাঁটি মুসল্লি নামাযের বাইরের পরিবেশেও এমন কোনো কাজ করতে পারে না, যা মানুষের দৃষ্টিতে সালাতের ভাব-মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে। অদৃশ্য থেকে মূলত সালাতই নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে তার রাত-দিনের সকল গতিবিধি। শয়তানের ধোঁকায় যদি মুসল্লি কখনো কোনো অন্যায় বা অশোভনীয় কাজে লিপ্ত হতে চায় তখন নামাযের শিকায় দীক্ষিত বিবেক তাকে বলে, তুমিই বল, একটু পরে যখন তুমি সালাতে তোমার মহান প্রভুর সামনে দাঁড়াবে তখন কি তোমার এই ভেবে লজ্জাবোধ হবে না যে, কেমন কালো মুখ ও কলুষিত হৃদয় নিয়ে তুমি আপন মালিকের সামনে দাঁড়াচ্ছ? যিনি অন্তর্যামী, তোমার গোপন-প্রকাশ্য সকল বিষয়ে সম্যক অবগত। যিনি ছাড়া তোমার আর কোনো ইলাহ নেই। যিনি তোমার একমাত্র আশ্রয়দাতা, যাঁর সামনে তোমাকে বার বার দাঁড়াতে হবে। যার কাছে তোমার সকল চাওয়া-পাওয়া। প্রতিটি মুহূর্তে তুমি যাঁর মুখাপেক্ষী। এগুলো জানার পরও কি তুমি তাঁর নাফরমানিতে লিপ্ত হবে? সালাত এভাবে মুসল্লিকে উপদেশ দিতে থাকে এবং পাপাচারে লিপ্ত হওয়া থেকে বাধা দেয়। আল্লাহ তাআলার ঘোষণা-

اِنَّ الصَّلٰوةَ تَنْهٰی عَنِ الْفَحْشَآءِ وَ الْمُنْكَرِ.

নিশ্চয়ই সালাত অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে। -সূরা আনকাবূত (২৯) : ৪৫

ইমাম তবারী, ইবনে কাসীর, কুরতুবী, আলূসীসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ তাফসীরকারের মত অনুসারে আয়াতের মর্ম হল, তাকবীর, তাসবীহ, কেরাত, আল্লাহর সামনে কিয়াম ও রুকু-সিজদাহসহ অনেক আমলের সমষ্টি হচ্ছে সালাত। এ কারণে সালাত যেন মুসল্লিকে বলে, তুমি কোনো অশ্লীল বা অন্যায় কাজ করো না। তুমি এমন প্রভুর নাফরমানী করো না, যিনি তোমার কৃত ইবাদতসমূহের প্রকৃত হকদার। তুমি এখন কীভাবে তাঁর অবাধ্য হবে, অথচ তুমি এমন আমল করেছ, যা তাঁর বড়ত্ব ও মহত্ত্বকে প্রকাশ করে। এরপরও যদি তাঁর অবাধ্য হও তবে এর মাধ্যমে তুমি স্ববিরোধী কাজে লিপ্ত  হলে। (আর স্ববিরোধী কাজের মাধ্যমে ব্যক্তি কোন স্তরে নেমে আসে সেটা তোমার ভালোই জানা আছে।) -রুহুল মাআনী, ১০/৪৮২

প্রতিদিন প্রতি ওয়াক্ত নামাযে প্রতি রাকাতে বান্দাহ বলতে থাকে-

مٰلِكِ یَوْمِ الدِّیْنِ.

[(তুমি) কর্মফল-দিবসের মালিক।] আর তার স্মরণ হতে থাকে, তাকে কাল কর্মফল দিবসে মালিকের সামনে দাঁড়াতে হবে। সুতরাং এই ভয়ে বান্দা খারাপ অভ্যাস/কাজ থেকে বিরত থাকে!!

তাই খারাপ অভ্যাস থেকে বাঁচার সর্বোত্তমও সর্বপ্রথম উপায় হলো-"নামাজ"

এর বাইরেও আপনি যা করতে পারেন,

সচেতনা!" খারাপ অভ্যাসগুলোর ব্যাপারে অধিক সচেতন হওয়া৷ 

বিকল্প অপশন খুঁজা!" যেমন ধরুন-এই অভ্যাসটি কি করলে চলে যাবে?ইত্যাদি ইত্যাদি ভাবুন৷ 

কঠুর চেষ্টা করুন। 

আর খারাপ কাজগুলোর মাধ্যম ত্যাগ করা /ছেড়ে দেওয়া৷ 

ইত্যাদি ইত্যাদি...... ইনশাআল্লাহ সফল হবেন৷ 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কথায় বলা আছে মানুষ অভ্যাসের দাস , কেন বলবে না? আসলে আমাদের কিছু বিশেষ অভ্যাস  আছে যা আমরা পরিবর্তন করতে পারি না বা পরিবর্তন করতে চাই না। 


নির্দিষ্ট সময়ের উপর গুরুত্ব প্রদান করলে এই সমস্যা সমাধান পেয়ে যাবেন ৷ শুরু থেকে বললে গেলে "ভালো অভ্যাস যেমন আমাদের অনেক দূরে যেতে সাহায্য করে ঠিক তেমনি খারাপ অভ্যাস আমাদের জীবনের পথে বাঁধা হয়ে থাকে। এটি আমাদের জীবনে ঝুঁকি বয়ে নিয়ে আসে, এটি আমাদের সময় ও শ্রম দুটোকেই অপচয় করে৷ "



অভ্যাস ভালো অথবা খারাপের পেছনে একটা কারণ অবশ্যই থাকবে৷ যেমন - ধুম পান করা হয়ে থাকে মানসিক চাপ কমানোর জন্য   ৷  এই খারাপ অভ্যাসকে ইচ্ছা করলে ভালো অভ্যাসে পরিনত করা যায়৷ যেমন ধরুন আপনি চাইলে নিজেকে একটু সময় দিয়ে মানসিক চাপ দূর করার জন্য ধূমপান না করে অন্য কোন স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি করতে পারেন৷ সময়ের কাজ সময়ে করুন নিজেকে কাজের মধ্যে রাখুন।



যেসব জিনিস, মানুষ কিংবা যায়গা আপনাকে সেসব কাজ করতে প্রণোদনা যোগায় তা বর্জন করুন। মনে রাখতে হবে আপনার পরিবেশই আপনার খারাপ অভ্যাসগুলোকে আরও প্রশ্রয় দেয় এবং ভালো অভ্যাসের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। পরিবেশ আপনার ব্যাবহারে অনেক প্রভাব ফেলতে পারে। ভালো ফলাফল চাইলে পরিবেশেরই পরিবর্তন করে ফেলুন।


ভালো অভ্যাস তৈরি করতে ও খারাপ অভ্যাস বর্জন করে কিছু কাজ করতে পারেন- 

  • যেসব কাজ আপনাকে ভুল পথে চালিত করছে বা যেসব কাজ আপনার ক্ষতি করছে সেসকল কাজ করা থেকে বিরত থাকার জন্য ভালো কোন লেখকের বই পড়ুন ৷ "আয়মান সাদিকের - ভাল্লাগে না " বইটি পড়ে দেখতে পারেন। 
  • খারাপ অভ্যাস দূর করতে প্রয়োজন অনেক সময় এবং প্রবল ইচ্ছার। নিজের উপর বিশ্বাস থাকাটা খুব প্রয়োজন এবং সেই সাথে প্রয়োজন ধৈর্যের। অনেকেই আমরা “Cold turkey solution” এর কথা শুনেছি। এর মানে আমরা মাঝে মাঝে পণ করি কোন খারাপ অভ্যাস না করার কিন্তু কয়েকদিন পরই আমরা সেই কাজটি নিয়মিত করা শুরু করি। এর সাথে “Perfection” শব্দটি যুক্ত। এটিতে মনে করা হয় One mistake = FAILURE! এটি মনে করলে আপনি  কখনোই আপনার  লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন না। কোন অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসাটা খুব সহজ নয়। অনেকবার ব্যর্থ হওয়ার পরই তা পাওয়া সম্ভব। ছোট একটি সফলতার জন্য ও নিজেকে পুরস্কৃত করুন।
  • নিজের জীবনের জন্য কিছু লক্ষ্য রাখতে পারেন। নিজের লক্ষ্যকে এমন আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলুন, দেখবেন এটিই হবে আপনার সারাদিনের কাজের প্রেরণা।
  • নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে একটি ভিডিও তৈরি করে ফেলতে পারেন। কেন সেই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে চান, সেই কাজটির পরিবর্তে কী করছেন এগুলোও বলা যেতে পারে।প্রতিদিন নিজের বলা কথাগুলো দেখে নিলে তা আপনাকে অনেক অনুপ্রাণিত করতে পারে।

আপনাকেই নিজের জীবনে ভালো কাজের দ্বারা খারাপ অভ্যাস পরিহার করতে হবে। আশাকরি বুঝাতে পেরেছি।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ