২০০৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডেঙ্গু রোগের কিছু খারাপ লক্ষণ প্রকাশ করেছিল, সেগুলো হলো :
—তীব্র পেট ব্যথা।
—মাত্রাতিরিক্ত বমি হওয়া (২৪ ঘণ্টায় তিনবারের বেশি হলে)।
—শরীরে পানি জমে যাওয়া।
—মুখের ভেতরে, চোখের সাদা অংশে রক্তের ছাপ দেখা যাওয়া।
—প্রচণ্ড ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব করা।
—লিভার দুই সেন্টিমিটারের চেয়ে বড় হয়ে যাওয়া।
—রক্ত পরীক্ষায়
Hct বেড়ে যাওয়া, প্লাটিলেট কমে যাওয়া।
আমাদের শরীরের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, তাতে একবার যদি কোনো ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয়, তবে তার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কাজ করার শক্তি অর্জন করে। ডেঙ্গু এত দিন যে ধরনের হতো তার বিরুদ্ধে আমাদের শরীরে একধরনের জিনিস তৈরি হয়েছে (অ্যান্টিবডি), কোনো কারণে সেই অ্যান্টিবডির সঙ্গে নতুন যোগ হওয়া ডেঙ্গুর ধরনের ক্রস রি-অ্যাকশন হলে তা খারাপ আকার ধারণ করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তাই কম থাকলে সেটা হয়ে যায় আরো ভয়াবহ।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ: এ জ্বর অনেক ক্ষেত্রে কম হতে পারে, আবার বেশিও হতে পারে। দেখা যায়, জ্বর তিন-চার দিন পর ভালো হয়ে যায়। তবে এরপর প্লাটিলেট কম হতে থাকে। এরপর মাঝখানে একটি বিরতি দিয়ে আবার জ্বর আসে। এই জ্বরের সঙ্গে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা এবং চোখের পেছনে ব্যথা করবে। জ্বর সাধারণত দুই দিন থাকার পর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় র্যাশ দেখা যায়। জ্বর যদি জটিল পর্যায় হয়, তাহলে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়তে পারে, রক্তবমি হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে পায়খানার সঙ্গে রক্ত যেতে পারে আবার শ্বাসকষ্টও হতে পারে। আপার অ্যাবডোমিনে বা ওপরের পেটে পানি চলে আসতে পারে। এই জ্বরে যেহেতু পানিশূন্যতা বেশি হয়, তাই প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যেতে পারে। এতে কিডনি বিকল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ঘাম হতে পারে। বমি বমি ভাব হতে পারে, খাবারে অরুচি হতে পারে। অন্যান্য ভাইরাস জ্বরের যে লক্ষণ, সেগুলো প্রায় সবই ডেঙ্গু জ্বরে থাকবে।