টুরেট এক ধরনের মানসিক ও স্নায়ুজনিত সমস্যা৷ মুখে খিঁচুনি, হাত পা ছোড়া, থুথু ফেলা, হঠাৎ চেঁচিয়ে ওঠা ইত্যাদি হলো রোগটির লক্ষণ৷ কেউ যদি পথে ঘাটে হঠাৎ চেঁচিয়ে ওঠে কিংবা হাত পা ছুড়তে থাকে, তাকে উন্মাদ বলে মনে হতে পারে৷ সব সময় কিন্তু তা নয়৷ এক ধরনের রোগ হলেও এই রকম আচরণ করে মানুষ৷ যাকে বলা হয় টুরেট সিনড্রোম৷ তুরেত রোগীদের মধ্যে গালিগালাজ দেয়ার একটা চাপ থাকে৷ তবে অধিকাংশ রোগীই এই তাড়না থেকে মুক্ত৷ অনুমান করা হয়, মানুষের মস্তিষ্কে অশোভন প্রবৃত্তিরও একটা জায়গা থাকে৷ এই জায়গাটি বাধা না পেলে বের হয়ে আসে অমার্জিত শব্দ ও অঙ্গভঙ্গি৷ অবশ্য রোগের আসল কারণটি জানা যায়নি এখনও৷‘‘তবে এটি পরিষ্কার যে, মগজে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে দেখা দেয় রোগটি৷ কথাবার্তা ও অঙ্গভঙ্গিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মস্তিষ্কে একটা সুষ্ঠু নেটওয়ার্কের প্রয়োজন৷ তুরেত রোগীদের ক্ষেত্রে এই নেটওয়ার্কটা ঠিকমতো চলে না৷ এছাড়া এই রোগে ডোপামিন হরমোন প্রচুর পরিমাণে নির্গত হয়৷ যার ফলে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে মস্তিষ্কের কোনো কোনো জায়গা৷ তুরেত রোগীদের ওষুধের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে নিউরোলেপটিক্স- যা অনেকটা স্নায়ুজনিত মৃগি রোগের মতো৷ এর মধ্যে এমন সব উপাদান থাকে, যা ডোপামিনের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে বা এর কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিতে পারে।’’
ধন্যবাদ।