শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

এ রোগের প্রধান লক্ষণ হল টিক্স ( অনিয়মিত, পুনরাবৃত্তিমূলক মোটর পেশী সঞ্চালন)। Tics(টিক্স) প্রধানত ২ ধরনের (১):motor tics: বাহু বা মাথা ঝাকি মারা,মুখের পেশী ঝাকি দেয়া এবং কাধ ঝাকি দেয়া ইত্যাদি। (২):vocal tics: ঘেউ ঘেউ শব্দ করা,কাশি, ঘোৎ ঘোৎ আওয়াজ, চিৎকার করা,আঘ্রাণ ইত্যাদি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

টুরেট এক ধরনের মানসিক ও স্নায়ুজনিত সমস্যা৷ মুখে খিঁচুনি, হাত পা ছোড়া, থুথু ফেলা, হঠাৎ চেঁচিয়ে ওঠা ইত্যাদি হলো রোগটির লক্ষণ৷ কেউ যদি পথে ঘাটে হঠাৎ চেঁচিয়ে ওঠে কিংবা হাত পা ছুড়তে থাকে, তাকে উন্মাদ বলে মনে হতে পারে৷ সব সময় কিন্তু তা নয়৷ এক ধরনের রোগ হলেও এই রকম আচরণ করে মানুষ৷ যাকে বলা হয় টুরেট সিনড্রোম৷ তুরেত রোগীদের মধ্যে গালিগালাজ দেয়ার একটা চাপ থাকে৷ তবে অধিকাংশ রোগীই এই তাড়না থেকে মুক্ত৷ অনুমান করা হয়, মানুষের মস্তিষ্কে অশোভন প্রবৃত্তিরও একটা জায়গা থাকে৷ এই জায়গাটি বাধা না পেলে বের হয়ে আসে অমার্জিত শব্দ ও অঙ্গভঙ্গি৷ অবশ্য রোগের আসল কারণটি জানা যায়নি এখনও৷‘‘তবে এটি পরিষ্কার যে, মগজে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে দেখা দেয় রোগটি৷ কথাবার্তা ও অঙ্গভঙ্গিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মস্তিষ্কে একটা সুষ্ঠু নেটওয়ার্কের প্রয়োজন৷ তুরেত রোগীদের ক্ষেত্রে এই নেটওয়ার্কটা ঠিকমতো চলে না৷ এছাড়া এই রোগে ডোপামিন হরমোন প্রচুর পরিমাণে নির্গত হয়৷ যার ফলে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে মস্তিষ্কের কোনো কোনো জায়গা৷ তুরেত রোগীদের ওষুধের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে নিউরোলেপটিক্স- যা অনেকটা স্নায়ুজনিত মৃগি রোগের মতো৷ এর মধ্যে এমন সব উপাদান থাকে, যা ডোপামিনের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে বা এর কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিতে পারে।’’

ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ