যে বিষয়গুলি আমাদের আগ্রহ আর বোধগম্যতার সাথে জড়িত সেই বিষয়গুলি মস্তিষ্ক খুব সহজেই ধারন বা সংরক্ষণ করতে পারে। না বোঝা বিষয়গুলি যখন পড়া হয় তখন সেগুলির প্রতি আমাদের ১০০% মনোযোগ কোনভাবেই আসেনা। বরং বুঝে পড়ার তুলনায় না বুঝে পড়ায় মনোযোগীতার হার অপেক্ষাকৃত অনেক কম। তাই বুঝে পড়লে বোধগম্য বিষয়গুলির সাথে আমাদের জানা অনেক কিছুই মিলে যায় যা মস্তিষ্কে সংরক্ষিত অন্যান্য বিষয়ের সাথে কিছুটা সামঞ্জস্য তৈরি করে এবং মস্তিষ্ক সেটাকে সহজেই সংরক্ষণ করে ফেলে। এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রেই পড়ার থেকে শুনার প্রতি আগ্রহটা বেশি থাকে তাতে মনোযোগও বেশি থাকে। এতে শোনার ফলে মেমোরিতে আরো সহজে এবং দ্রুত সেটা সংরক্ষিত হয়। এ কারনেই পড়ে মুখস্ত করার চেয়ে কেউ বুঝিয়ে বললে আর শুনলে সেটা মনে থাকে ভাল বা দ্রুত মুখস্ত হয়।
এটি নির্ভর করে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতার উপর। একেক জনের এই ক্ষমতা একেক রকম।একেক জনের ইন্টেলিজেন্স কিউওটিএন্ট একেক রকম হয়ে থাকে। আপনি যে লিখেছেন একজনের পড়া মুখস্ত করতে দেরি হয় কিন্তু কেউ তা বুঝিয়ে পড়ে শোনালে সে খুব দ্রুত পড়া মুখস্ত করে ফেলে,এটি পুরোপুরিভাবে সত্য নয়। কারন একজন ব্যক্তি যে কঠিন যেকোনো পড়াই খুব সহজে মনে রাখতে পারে,আবার একজন ব্যক্তি যে খুব সহজ জিনিসও সহজে মনে রাখতে পারেনা। যদি আপনার প্রশ্নের উত্তরের দিকে বিবেচনা করা হয় তাহলে বলবো যে একটি পড়া যেটি বেশ কঠিন এবং আয়ত্ত করা বেশ কষ্টসাধ্য সেটি আপনি যখন পড়তে যাবেন তখন আপনার অতিরিক্ত মানসিক চাপ কাজ করবে এবং তার প্রভাব পড়বে সরাসরি মস্তিষ্কে। ফলে আপনি সেই পড়াটি মুখস্ত হতে অধিক সময়য় লেগে যাবে। কিন্তু যদি সহজ করে পড়েন তাহলে একই পড়া কোনোরূপ বিরূপ প্রভাব ছাড়াই মস্তিষ্কে ধারন করতে পারবে এবং দ্রুত মুখস্ত হবে।(সহজ করে পড়া বলতে আপনি বুঝে পড়তে পারেন,কারোর কাছে বুঝিয়ে নিতে পারেন।)