শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ফরয নামাযসমূহের প্রথম দু’রাকায়াতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য  যেকোনো সূরা বা আয়াত মিলিয়ে পড়তে হবে। সেটি যে কমপক্ষে তিন আয়াতই হতে হবে, এমনটা নয়। বড় কোনো এক আয়াত পাঠ করলেও হবে৷ যেমন ধরুনঃ আয়াতুল কুরছি, এটি এক আয়াত বিশিষ্ট। কিন্তু নামাজের মধ্যে এটি পাঠ করলে তিন আয়াত সমপরিমাণ কোনো আয়াত বা সুরা পাঠ করা আবশ্যক নয়। এককথায়, নামাজের মধ্যে বড় কোনো এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পাঠ করা আবশ্যক। (তরীকুল ইসলাম) 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ অতএবঃ তোমরা কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়। (সূরা মুযাম্মিল আয়াতঃ ২০) কুরআনের যতটুকু আবৃত্তি করা তোমাদের জন্য সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। কাজেই কেউ যদি কুরআনের যে কোন স্থান থেকে একটি আয়াতও পড়ে নেয়, তারও নামাজ হয়ে যাবে। তবে কমসে-কম যে কিরাআত ব্যতীত নামাজ হয় না তা হলো সূরা ফাতিহা। এই জন্যই রাসূল (সাঃ) বলেছেন, সূরা ফাতিহা অবশ্যই পড়। এক ব্যক্তি রাসূল (সাঃ) কে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে সালাত শিখিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ যখন তুমি সালাতে দাঁড়ানোর ইচ্ছে করবে, তখন প্রথমে তুমি যথানিয়মে অজু করবে। তারপর কিবলামুখী দাঁড়িয়ে তাকবীর বলবে। তারপর কুরআন থেকে যে অংশ তোমার পক্ষে সহজ হবে, তা তিলাওয়াত করবে। তারপর তুমি রুকূ করবে ধীরস্থিরভাবে। তারপর মাথা তুলে ঠিক সোজা হয়ে দাঁড়াবে। তারপর সিজদাহ করবে ধীরস্থিরভাবে। তারপর আবার মাথা তুলে বসবে ধীরস্থিরভাবে। তারপর ঠিক এভাবেই তোমার সালাতের যাবতীয় কাজ সমাধা করবে। (সহীহ বুখারী হাদিস নম্বরঃ ৬২৫১ হাদিসের মানঃ সহিহ)। জনাব! কুরআন থেকে যে অংশ তোমার পক্ষে সহজ হবে, তা তিলাওয়াত করবে। তাই মাজহাব অনুযায়ী নামাজে সূরা কিরাআত এর অংশ কতটুকু তেলাওয়াত করতে হবে তার একটা সীমা নির্ধারন হয়েছে যে, বড় হলে কমপক্ষে এক আয়াত এবং ছোট হলে কমপক্ষে তিন আয়াত পাঠ করতে হয়। আর ইজমাও এক প্রকার দলীল।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ