দেখতে হবে, মুক্তাদির ভুলটা কোন ধরনের ভুল। 

  • যদি কোনো ফরজ ছেড়ে দেয়, তাহলে তার নামাজ হবে না। চাই ভুলে ছাড়ুক অথবা ইচ্ছাকৃত ছাড়ুক। এই নামাজ পুনরায় পড়তে হবে।
  • যদি কোনো ওয়াজিব ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেয়, তাহলেও নামাজ হবে না; পুনরায় পড়তে হবে।   
  • আর যদি ভুলটা সাহু সিজদা ওয়াজিবকারী হয় অর্থাৎ, ভুলে কোনো ওয়াজিব ছেড়ে দিল অথবা এক সময়ের ওয়াজিব অন্য সময় আদায় করল কিংবা এক সময়ের ফরজ ভুলে ছেড়ে দিয়ে অন্য সময় আদায় করে নিল, তাহলে এক্ষেত্রে তার নামাজ হয়ে যাবে। তার সাহু সিজদাও করতে হবে না। কারণ, ইমামের পিছনে মুক্তাদির জন্য আলাদা করে সাহু সিজদা করার বিধান নেই।
  • আর যদি কোনো সুন্নাত বা মুস্তাহাব ছেড়ে দেয় বা এক সময়ের সুন্নাত অন্য সময় আদায় করে, তাহলে এতে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না। নামাজ হয়ে যাবে, সাহু সিজদাও লাগবে না। কারণ, সুন্নাতের কারণে সাহু সিজদা লাগে না। 
  • প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় অর্থাৎ, রুকুর তাসবিহ সিজদায় পড়লে কিংবা সিহদার তাসবিহ রুকুতে পড়লে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ, এটিও সুন্নাত। আর তা ছাড়া রুকুর তাসবিহ ও সিজদার তাসবিহ আলাদা আলাদা হলেও উভয়টার অর্থ একই এবং উভয় তাসবিহ একই ধরনের, একই অর্থ, একই মর্ম। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটা করা অনুত্তম হবে। ভুলে করলে কোনো সমস্যা নেই।  
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ