ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার জন্য শর্ত হলো বিয়ের প্রস্তাব ও কবুলের সাথে সাথে দুই জন মুসলমান বুদ্ধি-বিবেক সম্পন্ন দুই জন পুরুষ দুইজন মহিলা উপস্থিত থেকে বিয়ের প্রস্তাব ও কবুল বলতে শোনা আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তোমরা একে অপরের সমান কাজেই তোমরা তাদেরকে বিয়ে করবে তাদের মালিকের অনুমতিক্রমে। (আন নিসাঃ ২৫) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী- পুরুষদের বিবাহ দাও। (সূরা নূরঃ ৩২) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল। (তিরমিযিঃ ১০২১) ইসলামে বিয়ের রুকন বা খুঁটি তিনটি। (১) বিয়ে সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সমূহ প্রতিবন্ধকতা হতে বর-কনে উভয়ে মুক্ত হওয়া : যেমন- বর-কনে পরস্পর মোহরেম হওয়া। (২) ইজাব বা প্রস্তাবনা: এটি মেয়ের অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে পেশকৃত প্রস্তাবনামূলক বাক্য। (৩) কবুল বা গ্রহণ। বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার শর্তগুলো নিম্নরূপ। (১) ইশারা করে দেখিয়ে দেয়া কিংবা নামোল্লেখ করে সনাক্ত করা অথবা গুণাবলী উল্লেখ অথবা অন্য কোন মাধ্যমে বর-কনে উভয়কে সুনির্দিষ্ট করে নেয়া। (২) বর-কনে প্রত্যেকে একে অপরের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া। (৩) বিয়ের আকদ (চুক্তি) করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হবে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারী করেছেন। (৪) বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। দলীল হচ্ছেঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই। বিয়ের অভিভাবক হওয়ার জন্য শর্তঃ (১)সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন হওয়া। (২) প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া। (৩) দাসত্বের শৃঙ্খল হতে মুক্ত হওয়া। (৪) অভিভাবককে কনের ধর্মের অনুসারী হওয়া। (৫) আদেল বা ন্যায়বান হওয়া। (৬) পুরুষ হওয়া। (৭) বুদ্ধিমত্তার পরিপক্কতা থাকা।