Call

দুধমা হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে, দুধ পানের সময় কালের মধ্যে দুধ পান করা। আর তা হচ্ছে, শিশুর প্রথম দুই বছর। ♠♠♠ শিশু কত বার পান করলে দুধ মা হবে। ★ ইমাম শাফেয়ি ও ইসহাক (র.) বলেন, পাঁচটি ভিন্ন সময়ে পাঁচবার, শিশু দুধপান করতে হবে। ★ ইমাম আহমদ ( র.) বলেন, তিনবার দুধ পান করতে হবে। ★ ইমাম আবু হানিফা ও মালেক ( র.) বলেন, যে কোনো পরিমাপ দুধ পান করলে, চাহে তা কম হোক বা বেশি হোক। তবে, নিশ্চিত হতে হবে যে, সামান্য পরিমাণ দুধ হলেও দুধ শিশুর পেঠে প্রবেশ করছে। ★★★ সর্বসশেষে, ইমাম আবু হানিফার দলিলই সহিহ হয়েছে এবং তার মতামত গ্রহণ করা হয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

: ফকীহগণের মধ্যে এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে যে, কতোবার ও কতোটুকু দুধ পান করলে বিয়ে হারাম হয়। চার মাযহাবের মধ্যে হানাফি ও মালেকী মাযহাবের মত হলো, দুধ পান মাত্রই বিয়ে হারাম হয়ে যায়, চাই তা একবার পান করুক এবং যতো কমই পান করুক। শাফেয়ী মাযহাবের মতে পাঁচবার এবং হাম্বলী মাযহাবে তিনবার পান করলে বিয়ে হারাম হয়। শাফেয়ীদের মতের ভিত্তি হলো, কোনা কোনো হাদিসে বলা হয়েছে, কুরআনে প্রথমে দশবার দুধ পান করলে বিয়ে হারাম হয় এই মর্মে আয়াত নাযিল হয়েছিল। পরে সেই আয়াত রহিত হয়ে পাঁচবার পরিবর্তিত হয়। কিন্তু এই যুক্তি অত্যন্ত দুর্বল এবং এটা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। কেননা কুরআনের আয়াত প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো বিরল বা একক বর্ণনা যথেষ্ট নয়, বরং 'মুতাওয়াতির' অর্থাৎ সর্বজনবিদিত ও পঠিত অটুট ধারাবাহিকতা সহকারে হস্তান্তরিত হওয়া অপরিহার্য। তাই যেসব হাদিসে কুরআনের কোনা বিরল ও অপ্রসিদ্ধ আয়াত বা শব্দ বা পঠনরীতির বর্ণনা রয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা শরিয়তের কোনো বিধানের স্বীকৃতি দলিল বা উৎস হতে পারেনা। শাফেয়ী মাযহাবের এই মতের উৎস যেহেতু কুরআনের একটি বিরল পঠিত অংশ এবং তার সপক্ষে কুরআন ও হাদিসের অন্য কোনো বলিষ্ঠ দলিল নেই, তাই এ মতকে গ্রহণযোগ্য মনে করা চলেনা। দ্বিতীয় মতটি হলো হাম্বলী মাযহাবের। এ মতটির প্রতিপাদ্য বিষয় এই যে, তিনবার দুধ পান করলে বিয়ে হারাম হয়। কতিপয় সহীহ হাদিস দ্বারা এই মত সমর্থিত। তন্মোধ্যে একটি হাদিস থেকে হাম্বলী ফকীহগণ এভাবে যুক্তি দেখিয়েছেন যে, একবার ও দু'বারে যখন হারাম হয়না, তখন তিনবারে অবশ্যই হারাম হবে। তারা আরো যুক্তি দেন যে, কুরআন ও হাদিসে দুধ পানের বার ও পরিমাণ অনির্দিষ্ট ছিলো। এই হাদিস তাকে নির্দিষ্ট ও সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। 'উসূলে ফেকাহ' শাস্ত্রের আলোকে এ যুক্তি শুদ্ধ এবং এরূপ অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে যে, কুরআন ও হাদিসে এক জায়গায় অনির্দিষ্টভাবে একটা বিধান ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু অন্যত্র তা নির্দিষ্ট করা ও তার বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে। আর এই শেষোক্ত নির্দিষ্ট ও বিস্তারিত বিধান অনুসারেই কাজ করার রেওয়াজ চালু রয়েছে। কিন্তু দুধ পান সংক্রান্ত যেসব হাদিস হাম্বলী মাযহাবের সিদ্ধান্তের ভিত্তি, সেই হাদিসগুলোর ব্যাপারে একটি জটিলতা রয়েছে। এই হদিসগুলোতে এক বা দু'বার দুধ পান করলে বিয়ে হারাম হয়না বলা হয়েছে বটে, কিন্তু এ ব্যাপারে এই হাদিসগুলোর বক্তব্য পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। হাদিসের শব্দ এ রকম : ------------------------------------------------------------- "অর্থাৎ এক চোষা বা দুই চোষা। এখানে যে দ্বিবচনের শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, তার অর্থ একই সময়ে দুইবার চোষা কিংবা বিভিন্ন সময়ে দুইবার দুধ পান করা হতে পারে। রসূল সা. এ কথা বলে হয়তো এটাই বুঝাতে চেয়েছেন যে, শিশু একবার এসে একটা দুটো চোষা বা চাটা দিলে তাতে বিয়ে হারাম হয়না। কেননা এতে দুধ মুখে ও পেটে নাও যেতে পারে। তবে সে দু'বারে বেশি দুধ চুষলে দুধ নিশ্চয়ই মুখে ঢুকে পেটে চলে যাবে। তথাপি হাম্বলী মাযহাবের এই হাদিস দ্বারা যুক্তি প্রদর্শন পুরোপুরি জটিলতামুক্ত নয়।" এরপর হানাফি, মালেকী ও অন্যান্য ফকীহদের মতামত নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। এসব মতানুসারে যে কোনো পরিমাণ দুধ পান দ্বারা বিয়ে হারাম হয়। তাদের যুক্তি হলো, কুরআন ও হাদিসে সর্বাবস্থায় এবং কোনো সীমা শর্ত ও পরিমাণ নির্দেশ না করেই দুধ পান দ্বারা বিয়ে হারাম হওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ