আপনার মনে হয় কোষ্টকাঠিন্য আছে।প্রতিদিন ২ বেলা খাবার ৩০ মিনিট পর ইসভগুল ভূসি গুলিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খান।কখনো ভরা পেটে নয়। বেশি করে শাক সবজি ফাইবার যুক্ত খাবার খান।পেট ক্লিয়ার হলে পেট ব্যথা করবে না। আর পায়খানা যদি একে বারে না হয়ে থাকে তবে পায়ু পথে Glysap সাপোজিটরি দিন ডাক্তারের পরামর্শে। পেট শক্ত হয়েছে কোষ্টকাঠিন্যর জন্য ই।ডাক্তারের পরামর্শে গ্যাসের ঔষধ খাবেন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি "রেনিটিড" ক্যাপসুলটি সকালে এবং রাতে খাবারের পর সেবন করুন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কোন কোন সময় পেটব্যথার সঠিক কারণ সনাক্ত করা যায় না। তারপরও যদি একে গুরুত্ব দেয়া না হয় তবে একপর্যায়ে সমস্যাটি মারাত্মক হয়ে দাঁড়ায় এবং দ্রুত চিকিৎসা নেয়া জরুরি হয়ে পড়ে। পেটের ব্যথার বিভিন্ন সম্ভাব্য কারণ এবং কখন দ্রুত ইমার্জেন্সি চিকিৎসা প্রয়োজন, নিচে সে ব্যাপারে আলোকপাত করা হলো।
একিউট এপেনডিসাইটিস : সাধারণত নাভীর চারপাশে চাপা ব্যথা এবং বমি বমি ভাব হয়। ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যে ব্যথা পেটের নিচের দিকে ডান পাশে চলে আসে, এর সাথে হালকা জ্বরসহ শরীরে দূর্বলতা দেখা দেয়।
একিউট কোলেসিস্টাইটিস : গলস্টোন বা পিত্তে পাথর সৃষ্টি হওয়ার ফলে পিত্তথলীতে প্রদাহ হয় এবং পেটের উপরের দিকে ডান পাশে ব্যথা করে। যা পিঠের ডান পাশের উপরের অংশে এবং কাঁধে ছড়িয়ে পড়ে। 
এছাড়া বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, কাঁপুনিসহ হালকা জ্বর এবং জন্ডিস দেখা দেয়।
একিউট প্যানক্রিয়েটাইটিস : হঠাৎ প্রচ- ব্যথা শুরু হয়। সাধারণত পেটের উপরের অংশে এটি অনুভূত হয়, যা দ্রুত তীব্রতর হতে থাকে এবং পিঠে ও বাম কাঁধে ছড়িয়ে পরে।
এই ব্যথা এক নাগারে হতে থাকে, কোন ভাবেই কমে না। মাঝে মাঝে হাঁটু ভাঁজ করে সামনে ঝুঁকে বসে থাকলে কিছুটা আরাম হয়। বমি বা বমি বমি ভাব এবং পেট ফাঁপা, পেট শক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পায়ুপথে বায়ু বের করার অসামর্থ্য ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়। এটি মারাত্মক হলে দ্রুত হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপ কমে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হতে পারে। দীর্ঘদিন মদ্যপান কিংবা পিত্তথলিতে পাথর-এর কারণে সাধারণত একিউট প্যানক্রিয়েটাইটিস হয়ে থাকে।
পারফোরেটেড বা ছিদ্র হয়ে যাওয়া ডিওডেনাল আলসার : এই ব্যথা হঠাৎ তীব্র ও মারাত্মক হয় এবং প্রথমদিকে পেটের উপরের অংশে থাকে। পরে এটি পুরো পেটে ছড়িয়ে পড়ে। নড়াচড়া করলে ব্যথা বেড়ে যায়, সঙ্গে হৃৎস্পন্দন ও শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্টও বাড়তে থাকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জ্বর আসে এবং রক্তচাপ কমতে থাকে।

একিউট স্মল ইনটেসটাইনাল অব্সট্রাকশন : এর মানে ক্ষুদ্রান্ত্রের গতিপথ বন্ধ হয়ে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করা। তলপেটে মোচড়ানো ব্যথা হয় এবং এর সঙ্গে পেটও ফুলে যায়। এছাড়া পিত্ত বমি হওয়া, ছটফটানি ও অস্থিরতা, জ্বর, দ্রুত হৃৎস্পন্দন এবং অন্ত্রের গুড়গুড় শব্দ শোনা যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ থাকে।   
একিউট গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটাইস : এর লক্ষণ হলো তলপেটের চারিদিকে মোচড়ানো ব্যথা, সঙ্গে ডায়রিয়া, মাঝে মাঝে মলের সঙ্গে রক্ত ও মিউকাস বের হওয়া, বমি হতে পারে কিংবা নাও হতে পারে এবং জ্বর। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এগুলো এমনিই ভালো হয়ে যায়
এন্টিবায়োটিক বা তরল জাতীয় খাবার খেলেও উপকার পাওয়া যায়। একই সময়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্য বা বন্ধুরাও এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। 
নারীদের ক্ষেত্রে এন্ডোমেট্রিয়োসিস, ওভারিয়ান সিস্ট, রাপচার টিউবাল প্রেগনেন্সি এবং মূত্রতন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা যেমন কিডনির পাথর ইত্যাদি উপেক্ষা করা উচিত নয়। পেটের বা এর সন্নিহিত অঙ্গের কোনটির সমস্যা বা অন্যকোনো রোগের কারণেও পেটব্যথা হতে পারে; যেমন মায়োকার্ডিয়াক ইনফার্কশন (হার্ট), নিউমোনিয়া (ফুসফুস), মেরুদন্ডের হাড়ের স্থানচ্যুতি, স্পাইনাল কর্ডে টিউমার (স্নায়ুতন্ত্র), বিপাকজনিত রোগ (কিডনি ফেইলিয়র, ডায়াবেটিস ইত্যাদি), বিষক্রিয়া (সীসার আধিক্য), সংক্রমণ (হারপিস জোস্টার) এবং মাংসপেশি থেতলানো বা রক্ত জমে ফুলে যাওয়া ও হেমাটোমা হওয়া। যদি ব্যথার কারণ খুব সাধারণও হয় তবুও পেটে ব্যথা হলে অবহেলা করবেন না।
মারাত্মক কোনো সমস্যায় পড়ার আগেই একজন বিশেষজ্ঞ সার্জনের শরনাপন্ন হোন। কেননা অনেক সময় আপনার জরুরি ভিত্তিতে অপারেশনেরও দরকার হতে পারে।


প্রফেসর ডাঃ আনিসুর রহমান
কোঅর্ডিনেটর এন্ড সিনিয়র কনসালটেন্ট, জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি বিভাগ, এ্যাপোলো হসপিটালস ঢাকা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ