আমি আল্লাহ্ পাক এর সাথে কাউকে শরিক করিনা।শিরক থেকে খুব সাবধানে থাকি।যদি কোনো ভুল কাজ হয়ে যায় তাহলে তওবার সলাত আদায় করে তওবা করি।আমার সমস্যা হল যে কাজে কর্মে আমি এখন কোনো শিরক করিনা,মনের মধ্যে আল্লাহ্ পাক এর একত্ববাদ।কিন্তু মনের মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ শিরকযুক্ত চিন্তা এসে পড়ে অথচ এসব শিরক আমি বাস্তবে কখনোই করিনা।মনে ধারণও করিনা।এখন এসব শিরক চিন্তা মনে এসে পড়ার কারণে কি আমি মুশরিক বলে গণ্য হবো?নাকি শয়তানের ধোঁকা বলে এড়িয়ে গেলেই হবে?উল্লেখ্য,আমি ফরয সলাত আদায় শুরু করার পর এ সমস্যাটা বেশি হচ্ছে।আমার কি বারবার তওবা করতে হবে চিন্তার জন্য?দলিল সহ দিলে বেশি ভালো হয়।ধন্যবাদ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

দেখুন আওনার উচিৎ নিজেকে কদিন খুন ব্যাস্ত রাখা আর মনের মধ্যে যখন ওসব বাজে চিন্তা আসবে আপনি তাওবা পড়তে থাকবেনা আর অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন।  

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি কাজে কর্মে যেহেতু এখন আর কোনো শিরক করেন না, মনের মধ্যে আল্লাহ পাকের একত্ববাদ। কিন্তু মনের মধ্যে হঠাৎ শিরক যুক্ত চিন্তা এসে পড়ে অথচ এসব শিরক বাস্তবে আর কখনোই করেন না বা মনে ধারণও করেন না। তাই শয়তানের ধোঁকায় এসব শিরক যুক্ত চিন্তা মনে এসে পড়ার কারণে আপনি মুশরিক বলেও গণ্য হবেন না। কেননা, অন্তর ও নফসের কুচিন্তা সমূহের গুনাহ ক্ষমা করা হবে যদি তা অন্তর ও নাফসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আর বান্দার সুচিন্তা গুলো লিখা হয় কিন্তু কুচিন্তা গুলো লিখা হয় না। বিস্তারিতঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ কথা বা কাজে পরিণত না করা পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের জন্য তাদের মনে কল্পনা গুলোকে মাফ করে দিয়েছেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে আরো বর্ণনা হয়েছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেনঃ আমার বান্দা কোন নেক কাজ করবে বলে যদি মনে মনে ভাবে, তবে তা সস্পাদন করার পূর্বে আমি তার জন্য একটি সাওয়াব লিখে দেই। পরে যদি কার্যত তা সম্পাদন করে নেয় তবে তার দশগুন সাওয়াব লিখি। পক্ষান্তরে যদি কোন অসৎ কাজ করবে বলে মনে মনে ভাবে তবে তা কাজে পরিণত না করা পর্যন্ত মাফ করে দেই। কিন্তু তা সম্পাদন করলে তদনূরুপ একটি শোনাহ লিখি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেনঃ ফেরেশতাগণ আবেদন জানায়ঃ হে প্রতিপালক! এ তোমার বান্দা, পাপ কর্মের ইচ্ছা করছে। আল্লাহ তাআলা উত্তর করেন অপেক্ষা করো, যদি সম্পাদন করে ফেলে, তবে সে অনুপাতে লিখবে, আর যদি তা পরিত্যাগ করে তবে সে স্থলে একটি সাওয়াব লিখে দিবে। কারণ আমার জন্যই সে তা পরিত্যাগ করেছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেনঃ তোমাদের মধ্যে যে তার ইসলামে নিষ্ঠাবান হয় তার কৃত প্রত্যেকটি নেক কাজের বিনিময়ে দশ থেকে সাতশ গুন পর্যন্ত সাওয়াব লেখা হয়। পক্ষান্তরে তার কৃত প্রত্যেকটি বদ কাজের বিনিময়ে তদনুরুপ লেখা হয়। (মৃত্যুর মাধ্যমে) আল্লাহর সাথে তার সাক্ষাৎ না হওয়া পর্যন্ত এভাবে চলতে থাকবে। (সহীহ মুসলিম হাদিস নম্বরঃ ২৩০, ২৩৬ হাদিসের মানঃ সহিহ!)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

এমন পরিস্থিতির শিকার কেউ হলে তার উচিত (রাতে ইশার নামাযের পর) গোসল করত দুই রাকাত তাওবার নামায আদায় করবে। (অতপর পাঁচ শত বার দুরূদ শরীফ, পাঁচ শত বার ইস্তিগফার পাঠ করবে) এবং মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে কায়মনোবাক্যে নিজের অপরাধের কথা স্বরণ করে দুআ করবে। তাছাড়া কোন আল্লাহওয়ালা বুযুর্গের সাথে নিজের সংশোধন মূলক সম্পর্ক রাখাও বাঞ্ছনীয়। 

সূত্র: জামে তিরমিযী; হা. নং ৪০৬, সুনানে আবি দাউদ; হা. নং ১৫২১ (এবং হাদীসটি সহীহ), ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ২/৪২


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ