মাঝে মাঝে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবনের একটা বাজে অভ্যাস ছিল। কিন্তু সম্প্রতি আল্লাহর রহমতে সেই জিনিস থেকে বের হয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছি। কিন্তু নামাজ শুরু করার দু একদিন আগেও আমি ওইসব সেবন করছিলাম। লাস্ট বার সেবনের পরই আমার মনে হয়েছে আমি ভুল করছি। আমি আর এইসব করবো না। কোনোদিন না। আর সাথে সাথেই আমার নামাজ করার খুবই ইচ্ছা হয়। পরের দিন থেকেই আমি নামাজ আদায় করা শুরু করি। সেক্ষেত্রে কি আমার ইবাদত কবুল হবে?? নাকি ৪০ দিন পর থেকে ইবাদত কবুল হবে বলে আশা করতে পারি?? 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনার ইবাদত কবুল হবে ইনশাআল্লাহ।কারণ হাদিসে এমন নেশাখোরের কথা বলা হয়েছে যে তাওবা করেনা।আর আপনি যেহেতু তাওবা করেছেন,সেহেতু হাদিস আপনার জন্য নয়।হাদিসটি লক্ষ্য করুন!আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ


রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি শরাব পান করে এবং মাতাল হয়, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার নামাজ কবুল হয় না। সে মারা গেলে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। আর যদি সে তওবা করে, তবে আল্লাহ 'তায়ালা তার তওবা কবুল করবেন। সে পুনরায় শরাব পানে লিপ্ত হলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'য়ালা তাকে 'রাদগাতুল খাবাল' পান করাবেন। সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ!  ‘রাদগাতুল খাবাল’  কী?  তিনি বলেনঃ জাহান্নামীদের দেহ থেকে নির্গত পুঁজ ও রক্ত।

তিরমিযী ১৮৬২, নাসায়ী ৫৬৬৪, ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৩৭৭

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।



ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ হে ঈমানদারগণ! নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা নামাযের নিকটে যেয়ো না, যে পর্যন্ত তোমরা কি বলছ তা বুঝতে না পার। এবং নাপাক অবস্থাতেও না, যতক্ষণ তোমরা গোসল না কর। তবে মসজিদে ভিতর দিয়ে রাস্তা অতিক্রম করতে চাইলে ভিন্ন কথা। (সূরা নিসা- ৪৩) মাঝে মাঝে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবনের যে বাজে একটা অভ্যাস ছিল। সম্প্রতি আল্লাহর রহমতে সেই জিনিস থেকে বের হয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেছেন এতে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। এটাই সঠিক পথ। কেননা, নিঃসন্দেহে সালাত মানুষকে অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। (সূরা আন-কাবুত, আয়াত-৪৫) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ তার কসম! নিশ্চয় কোন বান্দার পেটে যদি হারাম এক লোকমা খাবারও প্রবেশ করে, তাহলে চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার আমল কবুল হয় না। (আলমুজামুল আওসাত হাদীসটি নিতান্ত দুর্বল) জনাব! আপনার ইবাদত কবুল হবে। কিন্তু সতর্কতা হিসেবে উক্ত হাদীস অনুপাতে সদা সজাগ থাকা উচিত। আর যেন কোনমতেই পেটে হারাম খাদ্য প্রবেশ না করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বাজে কোনো অভ‍্যাস বা কাজ একেবারে ছেড়ে দিয়ে তওবা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নামাজ, রোজা, ইবাদাত-বন্দেগী করলে অবশ‍্যই আল্লাহ তা সাথে সাথে কবুল করবেন। ইবাদাত কবুল করাতে চাইলে শরীর, মন ও মুখ পবিত্র রাখতে হবে, মোটকথা পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। সকল ভালো কাজ, কথা বা অভ‍্যাসই ইসলামে জায়েজ তথা সওয়াবের কাজ, পক্ষান্তরে, সকল খারাপ কাজ, কথা বা অভ‍্যাসই ইসলামে নাজায়েজ বা গুনাহের কাজ। তাই ভালোকে অবশ‍্যই গ্রহণ করতে হবে আর মন্দকে অবশ‍্যই পরিত‍্যাগ করতে হবে। তওবা করে ইবাদাত করে আল্লাহকে খুশি করাতে পারলে, সাথে সাথেই ইবাদাত কবুল হবে। অন‍্যথায়, ৪০ দিন কেনো, ৪০ বৎসরেরও ইবাদাত কবুল হবে না। নেশা বা হারামকে ছেড়ে না দিয়ে একবার নেশা বা হারাম গ্রহণ করলে যদি ৪০ দিন শরীর অপবিত্র থাকে তথা ইবাদাত কবুল না হয়, সেটা এক ব‍্যাপার (মন্দ কাজ)। আর নেশা বা হারামকে একেবারে ছেড়ে দিয়ে খাস দিলে তওবা করে আল্লাহর পথে ফিরে আসা, সেটা আরেক ব‍্যাপার (ভালো কাজ)। দ্বিতীয় ব‍্যাপারটি আপনার ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হচ্ছে। আল্লাহকে খুশি করেন, আপনার ইবাদাত সাথে সাথেই কবুল হবে ইন শা আল্লাহ্। ধন‍্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

যেহেতু আপনি আপনার ভুল বুঝতে পারছেন এবং তওবা করেছেন, আপনার ইবাদত কবুল হবে ইনশাআল্লাহ,,,,,,,, মহান আল্লাহ বলেন,,,,,,, ,,,,, সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ১৬০ إِلَّا ٱلَّذِينَ تَابُوا۟ وَأَصْلَحُوا۟ وَبَيَّنُوا۟ فَأُو۟لَٰٓئِكَ أَتُوبُ عَلَيْهِمْ وَأَنَا ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ অর্থঃ তবে যারা তওবা করে এবং বর্ণিত তথ্যাদির সংশোধন করে মানুষের কাছে তা বর্ণনা করে দেয়, সে সমস্ত লোকের তওবা আমি কবুল করি এবং আমি তওবা কবুলকারী পরম দয়ালু। ,, ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহ কাছে তওবা করলে আল্লাহ তার বান্দার প্রতি খুশি হন,,,, ভবিষ্যতে আর কোন অন্যায় পাপ কাজে লিপ্ত হবেননা এ অঙ্গিকার পুরন করবেন,,, আপনার ইবাদত কবুল হবে ইনশাআল্লাহ,,,,,,,,

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ