মাসিকের সময় কিছু পরিমাণে পেটে ব্যাথা করতেই পারে, এতে ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু যদি এমন ব্যাথা হয় যেটা সহ্য করায় কঠিন ব্যাপার হয়ে দাড়ায় তাহলে চিন্তার ব্যাপার। কিশোরী বয়সে মাসিক সম্পর্কে ধারণা দেওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে মা, বড় বোন কিংবা অন্য নিকটাত্মীয়ের অনেক দায়িত্ব । মাসিকের সময় তলপেটে কোনো ব্যাথা বা কষ্টদায়ক অনুভূতি হয় না, এমন নারীর সংখ্যা খুব কম।
সাধারণত ১৮ থেকে ২৪ বছরের মেয়েরা এতে বেশি ভোগেন। এর নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা নেই, তবু কারণ হিসেবে কিছু বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়ে থাকে। যেমন, মাসিকের সময় ব্যথার প্রতি সংবেদনশীলতা বেড়ে যাওয়া, ঘরে-বাইরে অশান্তি, পরীক্ষার চাপ, বেকারত্ব, ভগ্নস্বাস্থ্য ইত্যাদি।
তবে মাসিকের সময় পেট ব্যথা করলে আপনাকে তাৎক্ষণিক ভাবে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে কোন বোতলে গরম পানি ভরে বা কাপড় গরম করে তলপেটে ২০/২৫ মিনিট ছ্যাক দিতে হবে। এটা সপ্তাহে টানা ৩/৪ দিন করে করতে হবে। এতে ধীরে ধীরে মাসিকের সময় ব্যাথা কমে যাবে। যখনই ব্যথা হবে ঠিক তখনেই ছ্যাক দিবেন। অথবা ৩ মিনিট গরম পানিতে কোমর ডুবিয়ে বসে থাকতে থেকে। পরের ২/১ মিনিট ঠাণ্ডা পানিতে। এভাবে ২০/২৫ মিনিট থাকলে ব্যথা কমবে। এই ব্যথা চিরতরে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব ব্যপার
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আগে ডাক্তার পরামর্শ নিবেন, তারপর ব্যথার ধরণ বুঝে ঔষধের ব্যবস্থা করতে হবে। মাসিকের ব্যাথার জন্য “গরম পানির বোতল বা গরম বালুর ব্যাগ” ব্যবহার করবেন, আর বেশী পানি খাবেন, এতে রক্ত জমাট না বেধে সাধারন প্রক্রিয়ায় বের হবে । ভিতরে আগুল দিয়ে পরিস্কার করবেন না , পরিস্কার প্যাড ও কাপড় ব্যবহার করবেন।