পুরুষ দেহের অন্ডথলীতে প্রতিনিয়ত শুক্রানু তৈরি হচ্ছে এবং সেখানে জমা থাকে, কিন্তু প্রতিটা শুক্রানুর একটা নির্দিষ্ট আয়ু আছে,আয়ু শেষে নষ্ট হয়ে যায় এই নষ্ট শুক্রানু গুলো নিষ্কাশন করতে একটি শারীরিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। প্রতিক্রিয়াটি হচ্ছে ঘুমের অবস্থায় যখন শুক্রানু গুলো বেরিয়ে যাবার সার্কেল শুরু হয়, তখন প্রক্ষেপন নালী শুক্রানুগুলো ছুড়ে দেবার জন্য কিছুটা দৃঢ়তা ধারন করে, এই অবস্থায় মানুষ কিছু আজে বাজে স্বপ্ন দেখে এবং স্বপ্নের মাঝে প্রক্ষেপিত হয়ে শুক্রানু বেরিয়ে আসে। এই স্বপ্নকে বলে স্বপ্নদোষ। যেহেতু ১৩-১৩ বছর বয়স থেকে শুক্রানু উৎপাদন শুরু তাই তখন থেকেই নষ্ট শুক্রানু নিষ্কাশন করতে স্বপ্ন দোষ হয়। (শুধু আয়ু শেষে নষ্ট শুক্রানুর জন্য স্বপ্নদোষ হয়না। আরও দুটো কারনে হয় যা ভিন্ন হলেও শেষ পর্যন্ত নষ্ট শুক্রানুর আওতায় পড়ে বলে তা ব্যাখ্যা করলাম না)
ঘুমের মধ্যে যৌনাঙ্গ দিয়ে বীর্যপাত হওয়াকে স্বপ্নদোষ বলে। এতে স্বপ্নদোষ হওয়ার সময় বুঝা যেতে পারে অথবা নাও বুঝা যেতে পারে।
স্বপ্নদোষ কেন হয়? তা জানতে এই প্রশ্নটি দেখুন।
স্বপ্নদোষকে আসলে স্বপ্নদোষ না বলে, স্বপ্নগুণ বলা উচিত। কারণ একজন পূর্ণবয়স্ক অবিবাহিত পুরুষের এই ব্যাপারটা ঘটলে বুঝতে হবে তাঁর প্রজনন ক্ষমতা ঠিক আছে। না হলেই বরঞ্চ ডাক্তার দেখাতে হবে। উন্নতদেশগুলোতে নিয়মিত nocturnal emission না হলেই ওরা ডাক্তার দেখাতে যায়। মনে করেন একটা কলসি নিয়মিত ভরছে কিন্তু পানি ব্যবহার হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে কিছু পানিতো উপচে পড়বেই! বিবাহিত পুরুষের বেলায় এই ব্যাপারটা এ কারণেই কম ঘটে, নিয়মিত ব্যবহৃত হচ্ছে বলে ।