Call

আপনার প্রতিপালক মৌমাছিকে আদেশ দিয়েছেন যে, মৌচাক বানাও পাহাড়ে, বৃক্ষে এবং মানুষের গৃহে। (সূরা নাহলঃ ৬৮) সুরা নাহলের ৬৮ নং আয়াতের আলোকে বিজ্ঞানী কার্ল ভন ফ্রিচ মৌমাছিকে তিন ভাগে বিভক্ত করেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন মৌমাছি তিন ধরণেরঃ ❖ পুরুষ মৌমাছি। ❖ স্ত্রী মৌমাছি। ❖ ডিম না পাড়া স্ত্রী মৌমাছি। স্ত্রী মৌমাছিরা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে, মৌচাক বানায় ও ডিম পাড়ে। পুরুষ মৌমাছির বেশি কাজ নেই। বাকি কাজ অন্যান্য স্ত্রী মৌমাছি করে। ডিম পাড়া মৌমাছি হলো কুইন বি, অন্য স্ত্রীরা হলো ওয়ার্কার বি। কোনো মৌমাছি মধুর সন্ধান পেলে তার সঙ্গীদের এসে খবর দেয় ও রাস্তা চিনিয়ে দেয়। তারা এক সরল রেখায় চলে। রাস্তার বর্ণনা দিতে কোনো হেরফের হয় না। এর নাম দিয়েছেন তিনি ওয়াগল ড্যান্স। কোন নতুন বাগান বা ফুলের সন্ধান পাওয়ার পর একটি মৌমাছি আবার মৌচাকে ফিরে যায় এবং মৌমাছি নৃত্য নামক আচরণের মাধ্যমে তার সহকর্মী মৌমাছিদেরকে সেখানে যাওয়ার সঠিক গতিপথ ও মানচিত্র বলে দেয়। অন্যান্য শ্রমিক মৌমাছিকে তথ্য দেয়ার লক্ষ্যে এ ধরনের আচরণ আলোকচিত্র ও অন্যান্য পদ্ধতির সাহায্যে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আগে মানুষ ভাবত কর্মী মৌমাছিরা পুরুষ এবং ঘরে ফিরে এসে তাদেরকে একটি রাজা মৌমাছির কাছে জবাবদিহিতা করতে হয়। কিন্তু এটা সত্য নয়, কারণ আল্লাহ তাআলা কুরআনে স্ত্রীবাচক শব্দ ব্যবহার করেছেন যা প্রমাণ করে শ্রমিক মৌমাছিরা স্ত্রী এবং তারা রাজা নয় বরং রাণী মৌমাছির কাছে জবাবদিহিতা করে। মৌমাছিদের বোধশক্তি ও তীক্ষ বুদ্ধি তাদের শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে সুন্দররূপে অনুমান করা যায়। এ দুর্বল প্রাণীর জীবন ব্যবস্থা মানুষের রাজনীতি ও শাসননীতির সাথে চমৎকার মিল রয়েছে। সমগ্র আইন-শৃঙ্খলা একটি বড় মৌমাছির হাতে থাকে এবং সেই হয় মৌমাছির শাসক। (উইকিপিডিয়া থেকে আংশিক সংগ্রহ)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ