কবর জিয়ারত করা সুন্নাত। এটি মৃত্যু ও আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়। হৃদয়কে করে বিগলিত ও নয়নযুগলকে করে অশ্রুসিক্ত। এর দ্বারা অন্যায় থেকে তওবা এবং নেকির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। সৃষ্টি হয় পরকালীন মুক্তির প্রেরণা।
উল্লিখিত উদ্দেশ্যেই কেবল কবর জিয়ারতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, নতুবা ইসলামের সূচনালগ্নে কবর জিয়ারত নিষিদ্ধ ছিল। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, 'আমি তোমাদের এর আগে কবর জিয়ারতে নিষেধ করেছিলাম, এখন থেকে কবর জিয়ারত করো। কেননা তা দুনিয়াবিমুখতা এনে দেয় এবং আখেরাতের স্মরণ করিয়ে দেয়'- (সুনানে ইবনে মাজাহ : ১৫৭১)।
অন্যত্র তিনি বলেন, 'যে ব্যক্তি প্রতি জুমায় তার মা-বাবা বা তাদের একজনের কবর জিয়ারত করবে, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে এবং মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহারকারীদের মধ্যে গণ্য করা হবে'- (আল মু'জামুল আউসাত : ৬১১৪)।
কবর জিয়ারতের দোয়া : হজরত আবু হুরাইরা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসুল (সা.) একটি কবর জিয়ারতে যান এবং বলেন, 'আস-সালামু আলাইকুম দারা ক্বাওমিম মুমিনিন ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লা-হিকুন'- ( সহিহ মুসলিম : ২৪৯)।
তথ্যসূত্র :http://www.kalerkantho.com/print-edition/dhormo/2015/05/22/224649