কবর যিয়ারতের সঠিক নিয়ম কি?কি কি পড়তে হয় যিয়ারতের সময়?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কবর যিয়ারতের পদ্ধতি

এক. পুরুষের জন্য কবর যিয়ারত করা মোস্তাহাব। নারী, যুবতী হলে তার জন্য কবরে যাওয়া জয়েয নেই। তবে বৃদ্ধা হলে কান্নাকাটি, মাতম ইত্যাদি শরীয়তবিরোধী কাজ করবে না। (ইমদাদুল আহকাম, ইমদাদুল ফাতাওয়া)

দুই. প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার কবর যিয়ারত করা মোস্তাহাব। (আহকামে মাইয়েত)

তিন. শুক্রবার কবর যিয়ারত করা অধিক উত্তম। বৃহস্পতিবার, শনিবার এবং সোমবারও কবর যিয়ারত করা উত্তম।

চার. কবরস্থানে প্রবেশ করে সমস্ত কবরবাসীর উদ্দেশ্যে নিম্ন বাক্যে সালাম দিবে-

“আসসালামু আলাইকুম দারা কাওমিম মুঅমিনিনা, ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লাহিকুন। ওয়ানাস আলুকাল্লাহা লানা ওয়ালাকুমুল আফিইয়াত”।

অর্থ: হে মু‘মিন সম্প্রদায়ের আবাসস্হলের অধিবাসীগণ! তোমাদের প্রতি শানিত বর্ষিত হোক, আমরাও আল্লাহ ইচ্ছা হলে তোমাদের সাথে মিলিত হব। আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য এবং তোমাদের জন্য ক্ষমা আবেদন করছি।

পাঁচ. অতপর মাইয়েতের পয়ের দিক থেকে চেহারার (কেবলার) দিকে যেয়ে দাঁড়াবে বা বসবে। বসলে জীবদ্দশায় তার সাথে যেরূপ সম্পর্ক ছিল সে অনুযায়ী নিকটে বা দূরে বসবে।

ছয়. সালামের পর কেবলার দিকে পিঠ এবং মাইয়েতের (কবরের) দিকে মুখ করে যথাসম্ভব কুরআন শরীফ পড়ে মাইয়েতকে ছাওয়াব পৌঁছে দিবে। বিশেষভাবে সূরা-বাকারার শুরু থেকে মুফলিহুন পর্যন্ত, আয়াতুল কুরছী, সুরা-বকারার শেষ দুই আয়াত, সূরা ফাতেহা, সূরা ইয়াসীন, সুরা মুলক, সুরা-তাকাছুর বা সুরা এখলাস ১১/১২ বার কিংবা ৭ বার বা য পরিমাণ সহজে পড়তে পারে পড়ে দুআ করবে। মাইয়েতের মাগফিরাতের জন্যও দুআ করবে।

সাত. তিলাওয়াত ও দুআ দুরূদ পড়ার পর কেবলামুখী হয়ে (অর্থাৎ, মাইয়েতের দিকে পিঠ করে দুআ করবে।)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ