ধানের মারাত্মক বিএলবি রোগ চেনার উপায় বা লক্ষগুলো হলোঃ
প্রথমে নেতিয়ে পড়ে ও আস্তে আস্তে
সম্পূর্ণ গাছটি মারা যায়। আক্রান্ত গাছের কান্ড ছিড়ে
চাপ দিলে বা চারাটি গোড়ার দিকে ভেঙ্গে
দু’আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে পুঁজের মত খুব দুর্গন্ধযুক্ত পদার্থ বের হয়।
ফ্যাকাশে হলুদ হয়ে অবশেষে শুকিয়ে মারা যায়।
সাধারণত: দিবা রাত্রির তাপমাত্রার পার্থক্য ৮-১০ ডিগ্রি সেঃ
এর বেশী হলে এ লক্ষণ দেখা যায়।
পর্যায়ের যে কোন সময়ে পাতাপোড়া লক্ষণ
দেখা যায়। প্রাথমিক লক্ষণ হিসাবে পাতার যে কোন
স্থানে বা বিশেষ করে অগ্রভাগে বা কিনারায়
নীলাভ পানিচোষা দাগ দেখা যায়। দাগগুলো আস্তে
আস্তে হালকা হলুদ রং ধারন করে। এ রোগের
কারনে শীষ বের হতে পারে না বা বের হলেও
চিটা বা আংশিক অপুষ্ট হয় এবং ফলনের অনেক ক্ষতি
হয়।
রোগ প্রতিকার বা সমাধানের উপায়সমুহঃ
দমন ব্যবস্থাপনা:
১. বীজতলা থেকে চারা উঠানোর সময় খেয়াল
রাখতে হবে শিকড় যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
২. রোগ প্রতিরোধী জাতের ব্যবহার পাড়াপোড়া
রোগকে অনেকগুনে কমিয়ে রাখে। সে
লক্ষ্যে আমন মৌসুমে ব্রি ধান-৪০, ব্রি ধান-৪১ এর চাষ
করা।
৩. সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার ও ইউরিয়া সার তিন কিস্তিতে
প্রয়োগ করা।
৪. ধান কাটার পর জমিতে নাড়া ও খড় পুড়িয়ে ফেলা
যাতে করে পরবর্তী ফসলে আর এ রোগ
দেখা দিতে না পারে।
৫. ঝড় ও অত্যাধিক বৃষ্টির পর ইউরিয়া সার না দেয়া,
রোগ দেখার পর ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ বন্ধ
করা।
৬. পাতাপোড়া বা কৃসেক লক্ষণ দেখা দিলে জমির
পানি শুকিয়ে ৭-১০ দিন পর আবার পানি দেয়া।
৭. বিঘা প্রতি ৫ কেজি পটাশ সার ছিপছিপে পানিতে
প্রয়োগ করে মাটিতে ভালভাবে মিশিয়ে দিলে এ
রোগের তীব্রতা কমে।
৮. রোগটি ধরলে প্রথম অবস্থায় থেকেই আপনি বিএলবি রোগের জন্য কীটনাশক বা ঔষধ স্প্রে করতে হবে।
৯. রোগটি দ্বারা চারা বা ধান আক্রান্ত হলে কৃষি অফিস বা কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ নেওয়া উচিত।