অনেক টিপস পড়েছি কিন্তু কিছুতেই সাহস বাড়াতে পারছি না। কিভাবে সাহস বাড়াতে হয় আমাকে কেউ একটু বাস্তব টিপস দেন?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Manik Raj

Call

নিজের মনের সাহস বড় সাহস । তা না থাকলে পৃথিবীর সমস্ত সাহস মনে জুড়ে দিলেও তা হবে কুপির ভেতরটা তৈলশূন্য রেখে তৈলের সাগরে কুপিটিকে আকন্ঠ ডুবিয়ে রাখার শামিল ।বড় কিছু করার জন্য বড় কোনো পদ লাগে না। লাগে একটা বড় মন, সাহস, অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলে গেছেন তারুণ্য কখন আসে। বয়সের সীমানায় তারুণ্য বাঁধা যায় না। তারুণ্য থাকে মনে। উদ্যমী, সাহসী, পরিশ্রমী প্রতিটা মানুষই তরুণ।আপনি এগিয়ে আসুন। সামর্থ্য মত চেষ্টা করুন। পথ অবশ্যই আছে। কারণ পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে। যারা সত্যিকার অর্থে নিঃস্বার্থ তাদের কোনো বাঁধা পিছুপা করতে পারে না। আপনার কাছে হয়তো এমন কোনো চিন্তা আছে যেটা অনেকের উপকার করতে পারে। আপনি সেটা বাস্তবরূপও দিতে চান, কিন্তু একা দিতে পারছেন না। সহযাত্রী খুঁজতে থাকুন, আপনার প্রতিজ্ঞা দৃঢ় হলে আপনি খুঁজে পাবেন। নিশ্চয়ই পাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, মনের সাহস বা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হলে ‘তাওয়াক্কুল’ বা আল্লাহর উপর ভরসা বাড়াতে হবে। কেননা যাবতীয় কাজ আল্লাহর উপর ভরসা ও তাঁর সাহায্য ছাড়া অর্জন করা সম্ভব নয়। এই তাওয়াক্কুলের সুফল অনেক। তাওয়াক্কুল যত শক্তিশালী হবে মনের সাহসও তত বেশি পরিলক্ষিত হবে। হাসান বসরি রহ. বলেন, ﺇﻥ ﺗﻮﻛﻞ ﺍﻟﻌﺒﺪ ﻋﻠﻰ ﺭﺑﻪ ﺃﻥ ﻳﻌﻠﻢ ﺃﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻫﻮ ﺛﻘﺘﻪ ‘মালিকের উপর বান্দার তাওয়াক্কুলের অর্থ, আল্লাহই তার নির্ভরতার স্থান- একথা সে মনে রাখবে’। (জামেউল উলূম ওয়াল হিকাম, পৃঃ ৪৩৭) আল্লাহ তাআলা বলেন, ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﺘَﻮَﻛَّﻞْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻬُﻮَ ﺣَﺴْﺒُﻪُ ‘যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট।’ (সূরা ত্বলাক : ৩) প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, পাশাপাশি আপনাকে কয়েকটি আমল দিচ্ছি, এগুলোর উসিলায়ও ইনশাআল্লাহ মনের সাহস বৃদ্ধি পাবে — ক) ( ﻟَﺎ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻟَﺎ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻟَّﺎ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ) (অর্থ- কোন উপায়-সামর্থ্য নেই, কোন শক্তি নেই আল্লাহ ছাড়া) বেশি করে পড়তে পারেন। এ বাক্যটির সওয়াব জান্নাতের জন্য সঞ্চিত অমূল্য রত্ন; যেমনটি বর্ণিত হয়েছে সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে। একই ভাবে এটি কষ্টসাধ্য দায়িত্ব বহন ও কঠিন কাজসমূহ আঞ্জাম দেয়ার ক্ষেত্রে এক মহৌষধ। খ) ইয়া-মুহাইমিনু :(হে রক্ষাকর্তা ও পরম সাহসী) মাশায়েখগণ বলেন, যে ব্যক্তি গোসল করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে খাস দিলে ১০০ বার “ইয়া-মুহাইমিনু” এই নামটি পড়বে আল্লাহ তালা তার মনের ভিতর থেকে সকল প্রকার ভয় দূর করে দিবেন। মনে সাহস বৃদ্ধি পাবে। গ) আবু দাউদে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম আবু উমামাকে বলেন, আমি কি তোমাকে এমন একটি কালেমা শিক্ষা দেব, তুমি যখন তা বলবে, আল্লাহ তোমার দুশ্চিন্তা দূর করে দেবেন এবং তোমাকে ঋণ মুক্ত করে দেবেন। তুমি সকাল-সন্ধ্যায় বল, ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺇﻧﻲ ﺃﻋﻮﺫ ﺑﻚ ﻣﻦ ﺍﻟﺠُﺒﻦ ﻭﺍﻟﺒﺨﻞ، ﻭﺃﻋﻮﺫ ﺑﻚ ﻣﻦ ﻏﻠﺒﺔ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﻭﻗﻬﺮ ﺍﻟﺮﺟﺎﻝ তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের কথার ওপর আমল করেছি, আল্লাহ তাআলা আমার দুশ্চিন্তা দূর করে দিয়েছেন এবং আমাকে ঋণ মুক্ত করে দিয়েছেন। ঘ) তদ্রূপ আল্লাহর জিকির ও কুরআন তিলাওয়াত করলে মনের সাহস ও আত্মবিশ্বাস বৃৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ﺃَﻻ ﺑِﺬِﻛْﺮِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗَﻄْﻤَﺌِﻦُّ ﺍﻟْﻘُﻠُﻮﺏُ ‘জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়।’ ( সূরা রাদ : ২৮) তিনি আরো বলেন, ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺇِﺫَﺍ ﺫُﻛِﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺟِﻠَﺖْ ﻗُﻠُﻮﺑُﻬُﻢْ ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺗُﻠِﻴَﺖْ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺁﻳَﺎﺗُﻪُ ﺯَﺍﺩَﺗْﻬُﻢْ ﺇِﻳﻤَﺎﻧًﺎ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺭَﺑِّﻬِﻢْ ﻳَﺘَﻮَﻛَّﻠُﻮﻥَ ‘মুমিন তো তারা, যাদের অন্তরসমূহ কেঁপে উঠে যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয়। আর যখন তাদের ওপর তার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তারা তাদের রবের ওপরই ভরসা করে।’ (সূরা আনফাল : ২)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি আল্লাকে বাদে কাউকে ভয় করবেন না|যদি এটা পারেন তবে আপনি পারবেন............................................................|

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ