নিজের মনের সাহস বড় সাহস । তা না থাকলে পৃথিবীর সমস্ত সাহস মনে জুড়ে দিলেও তা হবে কুপির ভেতরটা তৈলশূন্য রেখে তৈলের সাগরে কুপিটিকে আকন্ঠ ডুবিয়ে রাখার শামিল ।বড় কিছু করার জন্য বড় কোনো পদ লাগে না। লাগে একটা বড় মন, সাহস, অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলে গেছেন তারুণ্য কখন আসে। বয়সের সীমানায় তারুণ্য বাঁধা যায় না। তারুণ্য থাকে মনে। উদ্যমী, সাহসী, পরিশ্রমী প্রতিটা মানুষই তরুণ।আপনি এগিয়ে আসুন। সামর্থ্য মত চেষ্টা করুন। পথ অবশ্যই আছে। কারণ পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে। যারা সত্যিকার অর্থে নিঃস্বার্থ তাদের কোনো বাঁধা পিছুপা করতে পারে না। আপনার কাছে হয়তো এমন কোনো চিন্তা আছে যেটা অনেকের উপকার করতে পারে। আপনি সেটা বাস্তবরূপও দিতে চান, কিন্তু একা দিতে পারছেন না। সহযাত্রী খুঁজতে থাকুন, আপনার প্রতিজ্ঞা দৃঢ় হলে আপনি খুঁজে পাবেন। নিশ্চয়ই পাবেন।
১) খারাপ স্মৃতিগুলো ভুলে যানঃমনের জোর হারিয়ে ফেলার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে অতীতের কষ্টকর স্মৃতি বারবার মনে করা। যন্ত্রণাদায়ক অতীত স্মৃতি সবার জীবনেই থাকে। কিন্তু সে সময়টা যেহেতু আপনি পার করে এসেছেন, তাই অযথা মস্তিষ্কের গুরুত্বপুর্ণ স্থানগুলো এসব স্মৃতিকে দখল করে রাখতেদেবেন না।২) ইতিবাচক চিন্তা করুনঃইতিবাচক চিন্তা করুন। নিজের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী জীবন সাজাবার চেষ্টা করুন। একটা বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা আপনাকে অনেকটাই এগিয়ে দেয় সফলতার পথে।৩) সফল মানুষদের সাথে মিশুনঃচেষ্টা করুন আশপাশের সফল মানুষদের সাথে মেশার। এরা আপনাকে জীবন নিয়ে বহুদূর এগিয়ে যেতে উৎসাহ দেবে। খুঁজে পাবেন অণু অনুপ্রেরণা।৫) নিজের অর্জনগুলো নিয়ে ভাবুনঃনিজের অর্জনগুলো নিয়ে ভাবুন। প্রয়োজনে একটা ডায়েরীতে লিখে ফেলুন। দেখবেন, নিজের অর্জনের তালিকা দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন। আমরা প্রায়ই নিজের অর্জন গুলোকে অনুধাবন করতে পারি না।৬) ভালো বই পড়ুনঃভালো বই পড়ুন। বই পড়ার অভ্যাস আপনার জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করবে এবং মানসিকভাবেও আপনাকে শক্তিশালী করবে। অনুপ্রেরণা মূলক বই আপনাকে সাহস যোগাবে।৭) ধৈর্য ধরুনঃজীবনে সমস্যা থাকবেই। হতাশ না হয়ে ধৈর্য ধরুন। একটা নির্দিষ্ট সময় পরে খারাপ সময়টা কেটে যাবেই। নিজেকে বোঝান যে কষ্টের দিন কারো দীর্ঘস্থায়ী হয় না।৮) কাছের মানুষগুলোর সাথে সময় কাটানঃকাছের মানুষেরা আপনাকে সব চেয়ে বেশী অনুপ্রেরণা যোগাতে সক্ষম। তাই চেষ্টা করুন তাদের সাথে সময় কাটাবার। ভালো লাগার মানুষদের সংস্পর্শে মন ভালো হয়ে যায়, সময় ভালো কাটে, তাদের সামান্য প্রশংসাতেও অনেকটা অনুপ্রেরণা খুঁজে পাওয়া যায়।৯) প্রকৃতির কাছাকাছি যানঃএকটু অবসর সময় পেলে চেষ্টাকরুন প্রকৃতির কাছাকাছি যাবার। পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য আপনার মনকে সতেজ করবে। প্রকৃতির বিশালতায় হারিয়ে যাবে মনের যত ক্ষুদ্রতা, সংকীর্ণতা আর দুঃখবোধ। শুনতে খুব সহজ মনেহলেও, প্রকৃতির বিশালতার মাঝে বিলীন হয়ে যাওয়া মনের জোর বৃদ্ধি করার সেরা উপায়।১০) নিজেকে নিয়ে পরিকল্পনা করুনঃনিজেকে নিয়ে ভাবুন। পরিকল্পনা করুন। নতুন কিছু শিখুন, নিজের দক্ষতা বাড়ান। আগামী কয়েক বছর পরনিজেকে কোথায় দেখতে চান সেছক আঁকুন। সে অনুযায়ী কাজ করুন। স্বপ্ন দেখতে পারাই সফলতার সূচনা।১১) নিয়ম মাফিক জীবনযাপন করুনঃব্যায়াম, খাওয়া আর ঘুমের রুটিনটা ঠিক রাখুন। শরীরের সুস্থতার সাথে মনের জোর সরাসরি সম্পৃক্ত। নিজেকে দেখতে সুন্দর ও সতেজ লাগলে মনের জোর বেড়ে যায় বহুগুণে।১২) বন্ধু বাড়ানঃনতুন নতুন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন। এটা আপনাকে আপনার চেনা জগতটা বড় করতে সাহায্য করবে। বন্ধু মহলে মেলামেশা আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে আপনাকে। বাড়বে মনের জোর।১৩) সমাজসেবাঃমানুষের সেবা করে আপনি যেমনভালো কাজ করার সুযোগ পাবেন তেমনি এই মা্নসিক তৃপ্তি আপনার মনের জোর, আত্মশ্রদ্ধাবোধ ও আত্মবিশ্বাস বাড়বে।টিপসগুলো অনুসরন করেই দেখুন না! জীবনে এখনো অনেক পথ পাড়ি দেবার পালা অর্জনেআর আত্মবিশ্বাসে!