শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

দুশ্চিন্তা দূর করার কিছু উপায়ঃ ১. একটা তালিকা করুনঃ আপনার মনে হতে পারে আপনি শত শত সমস্যায় ভুগছেন। তাই আপনার দুশ্চিন্তার কারণগুলোর একটা তালিকা তৈরি করুন। দেখবেন অল্প কয়েকটির পর আর কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। এর মধ্যে কিছু সমস্যা থাকবে যেগুলো কমবেশি সবারই থাকে। আপনি উপলব্ধি করবেন যে আপনার আসলে দুশ্চিন্তা করার খুব বেশি কারণ নেই। এটা আপনার দুশ্চিন্তা কমাতে এবং আপনাকে মানসিকভাবে শান্তি দিবে। ২. বেড়িয়ে আসুনঃ দুশ্চিন্তা কমাতে ঘরের বাইরে ঘুরতে যাওয়া একটি দারুণ কার্যকরী উপায়। আর এটা সবচেয়ে ভালো কাজ করে গাছগাছালি পূর্ণ কোন জায়গায় গেলে। গবেষণায় দেখা গেছে পাইন, সিডার আর ওকসহ কিছু গাছে 'ফাইটনসাইড' নামক একটি উপাদান থাকে যা মানুষের উচ্চরক্তচাপ কমায় এবং মানসিক চাপ দূর করে। ৩. স্বাস্থ্যকর খাবার খানঃ যারা দুশ্চিন্তায় ভোগেন দেখা যায় তাদের বেশিরভাগই ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করেন না অথবা বেশি খান কিংবা স্বাস্থ্যকর খাবার খান না। এর ফলে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তার উদ্রেক ঘটে। দুশ্চিন্তা কমাতে গেলে কফি থেকে দূরে থাকাই ভালো। কফি আপনার অ্যাড্রেনালিন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা আপনাকে অস্থির করে তোলে। ৪. ভাবনার জন্য সময় নির্দিষ্ট করুনঃ অনেকসময় কোন ঘটনা ঘটার অনেক আগে থেকেই আমরা দুশ্চিন্তা করা শুরু করি। এটা আদতে আমাদের কোন কাজেই আসে না। তাই যখন থেকে ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তা করা দরকার তখন থেকেই তা শুরু করুন। এর আগ পর্যন্ত সেটা ভুলে থাকার চেষ্টা করুন। ৫. মেডিটেশনঃ মানসিক চাপ দূর করে মনকে শান্ত করার জন্য মেডিটেশন একটি অত্যন্ত কার্যকরী ব্যায়াম। কার্নেগী মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে ২৫ মিনিট করে টানা ৩ দিন মেডিটেশন করলে তা হতাশা এবং দুশ্চিন্তা অনেকখানিই দূর করতে সহায়তা করে। ৬. নিজেকে ব্যস্ত রাখুনঃ দুশ্চিন্তাকে মাথা থেকে দূরে রাখতে হলে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। আপনার মস্তিষ্ক এবং হাত ব্যস্ত থাকে এমন কোন কাজ করুন যেমন গেম খেলুন বা কোন হস্তশিল্প তৈরি করুন। ৭. ব্যায়াম করুনঃ যে কোনো শারীরিক বা মানসিক সমস্যাকে দূর করতে ব্যায়াম করা খুব উত্তম একটি উপায়। ব্যায়াম করলে দেহে সেরেটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ হ্রাস করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মনকে অন্য কিছুতে ব্যস্ত রাখেন  হতে পারে সেটা গেমস্ খেলা, গান শোনা, সিনেমা দেখা, আড্ডা দেওয়া বা, দূরে কোথাও থেকে ঘুরে আসা। তবে, বেশি কাজ হয় প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটালে ও নিজের জীবন সম্পর্কে তাদের সাথে শেয়ার করলে। আশা করবো, আপনি আপনার দুশ্চিন্তা থেকে জলদিই মুক্তি পাবেন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Junait

Call

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন


একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা নিয়মিত ইয়োগা করেন তারা তুলনামূলক কম শারীরিক সমস্যা বা প্রদাহে ভোগেন। বিভিন্ন দুরারোগ্য শারীরিক সমস্যার মধ্যে গা-ব্যথা অন্যতম। পরে যা থেকে হৃদরোগ সৃষ্টি করতে পারে।


বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান



সবসময় একাকী থাকা মানসিক স্বাস্থ্যে পাশাপাশি হৃদযন্ত্রেরও ক্ষতি করতে পারে। এমনকি কখনও হৃদরোগ ধরা না পড়লেও ক্ষতির আশংকা থেকেই যায়।

একটি গবেষনায় দেখা গেছে মানসিক চাপ থেকে সাধারণত মহিলারা একধরনের কণ্ঠনালীর প্রদাহ, হৃদপিণ্ডসক্রান্ত বুকের ব্যাথা এবং অন্যান্য সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে তারা যখন হার্ট-অ্যাটাকের পরে সময়টায় পরিবার বা সমাজ থেকে পর্যাপ্ত মানসিক সহায়তা পাননা।


তাই একাকী ঘরে বসে না থেকে আজই বন্ধুদের সঙ্গে বের হয়ে পড়ুন। তবে এক্ষেত্রে প্রকৃত বন্ধু নির্বাচনে সচেতন হতে হবে।



নির্ভুল হওয়ার চিন্তা বাদ দিন


যারা সাধারনণত “টাইপ এ” চরিত্রের মানে সবসময় শুদ্ধ চরিত্রের অধিকারী হতে চান তারাই মূলত হৃদরোগে বেশি ভোগেন।


 এ ধরনের অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে মনোভাব শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিচরিত্রে শত্রুতার মনোভাব তৈরি করে।

 এ চরিত্রের পেছনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। প্রকৃতপক্ষে এধরনের মনোভাব ব্যক্তিমনে অন্যদের প্রতি প্রবল বিদ্বেষ তৈরি করে।”


গবেষনায় দেখা গেছে, শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব উচ্চ রক্তচাপ এবং মুটিয়ে যাওয়ার মূল কারণ যা পরে হৃদরোগ ডেকে আনে। তাই সবসময় ভালো চিন্তা করুন এবং সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। কেননা আশাবাদী মনোভাব আপনার হ্রদযন্ত্র রাখবে সুরক্ষিত এবং বিপদমুক্ত।


ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলুন


মনের মধ্যে ক্ষোভ জমা করে রাখার অভ্যাস কখনোই হৃদযন্ত্রের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। গবেষনায় দেখা গিয়েছে ক্ষমা করার পরিবর্তে ক্ষোভ জমা করে রাখলে মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং সেই সঙ্গে হৃদ্ররোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ে।


 “আপনি ভাবতেই পারবেন না মনের মধ্যে ক্ষোভ জমা থাকলে তা কত দ্রুত এবং দীর্ঘ সময় ধরে শরীরের ক্ষতি সাধন করে। তাই নিজের ঘাঁড় থেকে এই আপদ নামিয়ে মানসিকভাবে সুস্থ থাকুন সবসসময়।”


এ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ক্যথি হেফনার ক্ষমাশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এর ফলে সামাজিক বন্ধন আরও দৃঢ় হবে যা সুরক্ষিত রাখবে হৃদযন্ত্র।


প্রাণ খুলে হাসুন


২০০৫ সালে পরিচালিত গবেষণায় জানা যায় সবসময় গম্ভীর থাকার বদলে প্রাণ খুলে হাসলে শতকরা বিশভাগ বেশি ক্যালরি পোড়ানো যায়।


প্রাপ্তবয়স্ক কিছু মানুষকে নিয়মিত হাস্যকর এবং তুলনামুলক গম্ভীর চলচ্চিত্র দেখানোর পর গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে আসেন। আর নিয়মিত ক্যালরি পোড়ানোর মাধ্যমে স্থুলতার হাত থেকে বাঁচা যায় যা কিনা দীর্ঘ সময় ধরে হৃদযন্ত্র সুরক্ষিত রাখার ভালো একটি উপায়।

নিয়মিত আমোদ-প্রমোদ হৃদস্পন্দনের হার বাড়িয়ে দেয়। ২০১০ সালে প্রকাশিত আমেরিকান জার্নাল অফ কার্ডিওলজি’র তথ্যানুসারে, হাসি ঠাট্টার ফলে দেহের সংবহনতন্ত্র বা বিভিন্ন নালীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই ঠোঁটের কোণে সবসময় এক চিলতে হাসি রাখুন কিংবা পারলে মন খুলে হাসুন।


আপনি যত বেশি হাসবেন, তত বেশি ক্যালরি পুড়বে এবং হৃদযন্ত্র হবে শক্তিশালী।


অতিরিক্ত মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন


অতিরিক্ত মদ্যপান দেহে ট্রাইগ্লিসারিনের এবং রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় এবং হৃদপিণ্ড অকার্যকর করে দিতে পারে।


অন্যদিকে নিয়ন্ত্রিত মদ্যপান বরং দেহকে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে। তবে এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত মদ্যপান বলতে পুরুষদের জন্য দিনে বড়জোর দু’গ্লাস এবং মহিলাদের জন্য দিনে খুব বেশি হলে এক গ্লাস বোঝায়।


এ ব্যাপারে ডক্টর সিমন্স সতর্ক করে দিয়ে জানান, যারা মদ পান করেন না তাদের জন্য এটা কখনোই মদ পান শুরু করার কারণ হতে পারে না।


তিনি আরও বলেন, “তবে যদি এক গ্লাস ওয়াইন খাওয়ার নিশ্চয়তা চান তবে তা খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।”


ক্যাফেইন নেওয়া কমিয়ে দিন


ক্যাফেইন খুব দ্রুত আপনার ইন্দ্রিয়কে সজাগ করে তুলে এবং মানসিক চাপ বর্ধক হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এটা তখনই ভালো যদি আপনি কোনও হিংস্র বাঘের মুখে পড়েন।

অতিরিক্ত আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন

তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারের প্রতি অতিরিক্ত আবেগী মনোভাব দূর করা উচিত।


উদাহরনস্বরূপ, গবেষকদের মতে প্রিয় ফুটবল দলের পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হারও বেড়ে যায়।


তাই তুচ্ছ কারণে উত্তেজিত হবেন না। কারণ জীবনের মূল্য এর চেয়ে ঢের বেশি।


সঠিক খাবার খান


লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য কম পরিমাণে এবং শাক-সবজি, ফল, মাছ এবং শস্যদানা বেশি পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস শুধু ওজনই নিয়ন্ত্রেণে রাখবে না পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।


ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে আর হঠাৎ বিপদের হাত থেকে দূরে থাকা যাবে।


এ সম্পর্কে ডক্টর সিমন্স বলেন “সুষম খাদ্য গ্রহনের মাধ্যমে শরীর সারাদিন স্থিতিশীল থাকবে। ফলে একেক সময় একেক রকম বোধ করবেন না এবং কখনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগবেন না।”


তাছাড়া হৃদরোগ হওয়ার অন্যতম কারণ বহুমুত্র রোগ থেকে দূরে রাখে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।


অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সাহায্য নিন


মানসিক অবসাদের ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় এবং আয়ু কমে যেতে পারে। অবসাদে ভুগলে মনোরোগবিদের পরামর্শ অনুযায়ী সাইকোথ্যারাপি নিন।


দ্য ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’য়ের মতে মানসিক অবসাদনাশক নানান রকম ওষুধ রয়েছে যা দেহে রক্তচাপ বাড়তে দেয় না। তবে এসব ওষুধ গ্রহণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ব্যবহারবিধি জানতে হবে।


পর্যাপ্ত ঘুম


বর্তমানে মানুষদের মধ্যে না ঘুমিয়ে থাকার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। সুস্থ থাকতে হলে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম আবশ্যক। এক্ষেত্রে সময়ের চেয়ে কতটা নিশ্চিন্তে ঘুমোনো গেলো তা বেশি গুরুত্বপূর্ন।


যে ব্যক্তি রাতে পর্যাপ্ত ঘুমোতে পারেন তার ঘুমচক্র স্বাভাবিকভাবে পূর্ণ হয় না। আর রাতের বেলা স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ কম থাকে এবং শরীরে হরমোন কম উৎপন্ন হয়। যা থেকে হাইপারটেনশন এবং হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


বেশি করে পরিশ্রম করুন


রোগমুক্ত থাকতে চান? তাহলে নিয়মিত হাঁটা, দৌঁড়ানো, সাঁতার কাটা কিংবা নাচের অভ্যাস করুন। এসব কর্মকাণ্ড শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখবে এবং ডায়বেটিস কিংবা হৃদরোগ থেকে দূরে রাখবে। কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে মানসিক অবসাদ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

একের পর এক গবেষনায় দেখা গিয়েছে, বাগান করার মতো কাজের মাধ্যমেও অনেক সুফল পাওয়া যায়। কারণ তা হৃদপিণ্ডকে সক্রিয় রাখে এবং রক্ত চলাচলে সাহায্য করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ