ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি তার সালাতের মধ্যে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা (সালাত সংশ্লিষ্ট কাজে) সাহায্য নিতে পারে। আবূ ইসহাক (রহঃ) সালাত আদায়রত অবস্থায় তাঁর টুপী নামিয়ে রেখেছিলেন এবং তা তুলে মাথায় দিয়েছিলেন। ‘আলী (রাঃ) (সালাতে) সাধারণত তাঁর (ডান হাতের) পাঞ্জা বাম হাতের কব্জির উপরে রাখতেন, তবে কখনো শরীর চুলকাতে হলে বা কাপড় ঠিক করতে হলে করতেন।
সালাতের সময় সামনে হেটে গিয়ে লাইন পূর্ণ করার কথাও হাদিসে উল্লেখ করা আছে।
যেহেতু সালাত একাগ্রভাবে আদায় করার কথা বলা আছে,আর কেউ দরজা ধাক্কালে একাগ্রতা আর থাকে না।তাই একাগ্রতা রক্ষার্থে দরজা খুলে দেওয়া যায়।
নফল নামাজরত অবস্থায় নামাজে দাঁড়ানোর পরে কেউ দরজায় আসলে নামাজ ছেড়ে দরজা খুলতে যাওয়া ঠিক হবে।
[ক্ষেত্রটি নফলের ক্ষেত্রেই অধিকতর প্রযোজ্য। কেননা তা অধিক দীর্ঘতর হয়ে থাকে। আবদুল্লাহ ইবনে শাকীক (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আয়েশা (রাঃ) এর কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নফল সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, তিনি দীর্ঘ রাত্রি দাঁড়িয়ে কিংবা দীর্ঘ রাত্রি বসে সালাত আদায় করতেন।]