যদি কোনো বান্দা কোনো পাপ কাজ করে ফেলে, অতঃপর সে উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে এবং দাঁড়িয়ে যায় ও দু রাক‘আত সালাত আদায় করে, তারপর আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
দলিল:
আবূ দাউদ ২/৮৬, ১৫২১; তিরমিযী ২/২৫৭, নং ৪০৬; আর শাইখ আলবানী সহীহ আবি দাউদে ১/২৮৩ একে সহীহ বলে মত প্রকাশ করেছেন।
মানুষ যতবার পাপ করবে আর আল্লাহর ক্ষমা চাইবে, আল্লাহ গাফুরুর রাহিম তাই আল্লাহ ততবার ক্ষমা করবেন । কেননা আল্লাহ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন ।
আল্লাহ এর আদেশের বিরুদ্ধে যা কিছু করা হয় তাই পাপ। অনিচ্ছাকৃত লঙ্ঘনকে পাপ হিসাবে গন্য করা হয় না। যদি কেউ না জানে সে কি ভুল করেছে তাহলে এর জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হয়না। কিন্ত পাপকে যেনে পাপ করার শাস্তি অনিবার্য।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বান্দার উপর আল্লাহর হক হচ্ছে সে তাঁর ইবাদাত করবে এবং তাতে কাউকে অংশীদার করবে না। আর আল্লাহর উপর বান্দার হক হচ্ছে তাঁর সাথে কাউকে অংশীদার না করলে তাকে শাস্তি না দেয়া।
আত্মহত্যা মহাপাপ তা জেনেও যদি কেউ আত্মহত্যা করবে তার দ্বারা জাহান্নামে তাকে শাস্তি দেয়া হবে।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পাহাড়ের উপর থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে, সে জাহান্নামের আগুনে পুড়বে, চিরদিন সে জাহান্নামের মধ্যে অনুরূপভাবে লাফিয়ে পড়তে থাকবে। যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করবে, তার বিষ জাহান্নামের আগুনের মধ্যে তার হাতে থাকবে, চিরকাল সে জাহান্নামের মধ্যে তা পান করতে থাকবে। যে ব্যক্তি লোহার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, জাহান্নামের আগুনের মধ্যে সে লোহা তার হাতে থাকবে, চিরকাল সে তা দ্বারা নিজের পেটে আঘাত করতে থাকবে।
(আল-লুলু ওয়াল মারজান, হাদিস নম্বরঃ ৬৯ বুখারী হাঃ ৫৭৭৮)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- ﻛﻞ ﺃﻣﺘﻲ ﻣﻌﺎﻓﻰ ﺇﻻ ﺍﻟﻤﺠﺎﻫﺮﻳﻦ ﻭﺇﻥ ﻣﻦ ﺍﻹﺟﻬﺎﺭ ﺃﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺘﺮﻋﻠﻰ ﺍﻟﻌﺒﺪ ﺛﻢ ﻳﺼﺒﺢ ﻳﻔﻀﺢ ﻧﻔﺴﻪ ﻭﻳﻘﻮﻝ ﻳﺎ ﻓﻼﻥ ﻋﻤﻠﺖ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﻛﺬﺍ ﻭﻛﺬﺍ ﻭﻛﺬﺍ ﻓﻴﻬﺘﻚ ﻧﻔﺴﻪ ﻳﺴﺘﺮﻩ ﺭﺑﻪ , ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻭﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ‘‘আমার সকল উম্মতকে ক্ষমা করা হবে একমাত্র প্রকাশ্য পাপী ছাড়া। আর প্রকাশ্যে পাপ করা হল, আল্লাহ কোন বান্দার অপকর্মকে গোপন রাখল কিন্তু লোকটি তার নিজের অপকর্ম প্রকাশ করে নিজেকে অপমান করে এবং বলে থাকে, হে ভাই! আমি আজ অমুক অমুক কাজ করেছি - ইত্যাদি। এভাবে সে তার নিজের গোপনীয়তা প্রকাশ করে অথচ আল্লাহ তার গুনাহকে গোপন রাখে”।