এটি একটি মানসিক রোগ। তবে এটি এত সিরিয়াস না। এটি শিশুর বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঠিক হয়ে যায়। তারপরেও চিকিত্‍সা নিতে পারেন কোন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে । কিছু তথ্য: মনোযোগ সহকারে রোগীর বিস্তারিত ইতিহাস জেনে নিতে হবে। প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা যেমন প্রস্রাব পরীক্ষা করে নিতে হবে। অন্যান্য আনুষঙ্গিক শারীরিক ব্যাধি আছে কি না যা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। তাও দেখতে হবে। পরিবার কিংবা পরিবেশে কোন উল্লেখযোগ্য ফ্যাক্টর আছে কিনা তা দেখতে হবে। শিশুর এই অসুখের প্রতি পিতা-মাতার মনোভাব কি তা জানতে হবে এবং বাপ-মা শিশুকে সাহায্য করতে কি কি প্রচেষ্টা নিয়েছেন তাও জানতে হবে। যদি পরীক্ষায় কোন শারীরিক কারণ পাওয়া যায় তার যথাযথ চিকিৎসা করাতে হবে। যদি তা না হয় তাহলে শিশু এবং বাবা-মাকে আশ্বস্ত করতে হবে যে এটা খুব উদ্বিগ্ন হওয়ার মত কিছু নয় এবং এর জন্য শিশুকে দায়ী করা বা শাস্তি দেয়া চলবে না। পিতা-মাতাকে আরো বুঝাতে হবে যে,এই ব্যাপারটিকে শিশুর কাছে মুখ্য করে তুলবেন না। এরপর নিম্নোক্ত ব্যবস্থাগুলো নেয়া যায়। ১. রাতে শোয়ার আগে শিশুকে পানীয় জাতীয় খাদ্য কম দিতে হবে। ২. বাবা-মা ঘুমাবার সময় শিশুকে উঠিয়ে একবার টয়লেট নিয়ে প্রস্রাব করিয়ে আনতে হবে। ৩. সপ্তাহে কোন কোন রাতে শিশু বিছানায় প্রস্রাব করেনি সেদিনগুলো শিশু নিজে লাল কালি দিয়ে ক্যালেন্ডারে দাগ দেবে এবং বিছানায় প্রস্রাব না করার জন্য তাকে বিভিন্ন ধরনের পছন্দনীয় পুরস্কার দিতে হবে। কিন্তু যেদিন বিছানায় প্রস্রাব করবে ঐ দিনের জন্য কোন শাস্তি দিতে হবে বা পুরস্কার দেয়া যাবে না। এসবেই কোন শিশু ক্রমান্বয়ে টয়লেট ট্রেনিং শিখে নেয়। যদি এতেও কাজ না হয়, তাহলে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা নেয়া যায়। (ক) এলার্ম মেথড (Alarm Method) : ৭০% -৮০% ক্ষেত্রেই এই পদ্ধতি সুফল পাওয়া যায়। এতে এক ধরনের বেল যা ছোট ব্যাটারি সংযুক্ত যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। প্রস্রাব বিছানায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এটি বেজে ওঠে। (খ)ওষুধ : বিষণ্ণতা রোগে ব্যবহার করা হয় এমন এক জাতীয় ওষুধ যেমন-ইমিপ্রামিন ব্যবহার করা হয়। এটা স্বল্প মাত্রায় রাতে ব্যবহার করতে হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ