Share with your friends
shohanrand1

Call

কন্ট্রাস্ট/ব্ল্যাক লেভেল

এলইডি এর কন্ট্রাস্ট রেশিও এলসিডি এর চেয়ে বেশি। এলসিডি এর একটি অন্যতম দুর্বলতা হলো এটি ইমেজ প্রদর্শনের সময় স্ক্রিন এ কিছু ব্ল্যাক লেভেল সৃষ্টি করে। ফলে কন্ট্রাস্ট রেশিও কমে যায়। এবং ইমেজ এর প্রকৃত দৃশ্য পুরোপুরি প্রকশিত হয়না। এলইডি তে এই ব্ল্যাক লেভেল ব্যাকলাইট এর সাহায্যে প্রশমিত হয়। ফলে পার্ফরমেন্স এলসিডি এর চেয়ে ভাল হয়।

বাস্তব বর্ণ প্রদর্শন

সাদা রং এর ক্ষেত্রে দুয়ের পার্থক্য তেমন একটা না থাকলেও আর জি বি (RGB) অথবা বেশ কিছু বর্ণ-মিশ্রিত দৃশ্য প্রদর্শনের সময় ব্যাকলাইট এলইডি তে বাস্তবধর্মী বর্ণ পাওয়া যায়।

ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল

এলইডি ডিসপ্লেতে ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল এলসিডি এর চেয়ে অনেক বেশি। ফলে এলইডি’তে এক পাশ থেকেও পরিষ্কার ছবি দেখা যায়।

সাইজ

এলসিডি এর সাইজ লিমিট মোটামুটি ১৫থেকে ৬৫ইঞ্চি। এবং এলইডি এর সাইজ লিমিট হলো ১৭ইঞ্চি থেকে ৭০ ইঞ্চি পর্যন্ত।

ভিডিও প্লেব্যাক

এলইডিতে রেসপন্স রেট এলসিডি’র চেয়ে কম হওয়ায় ইমেজ ব্লুরিং বা মোশন ট্যাগ সমস্যাসমুহ এখানে অনুপস্থিত। ফলে আপনি পাচ্ছেন ঝকঝকে ছবির নিশ্চয়তা।

বিদ্যুৎ শক্তির ব্যবহার

এলইডি তুলনামুলক কম শক্তি ব্যবহার করে এবং অধিকতর উজ্জল ডিসপ্লে প্রদান করে।

প্রকৃতপক্ষে এলইডি হল এলসিডি এর পরবর্তী প্রজন্ম। তাই এলসিডি এর অধিকাংশ দোষক্রুটি এখানে অনুপস্থিত।

Talk Doctor Online in Bissoy App
Call

প্রকৃতপক্ষে এলইডি মনিটর, এলসিডি মনিটরেরই একটি উন্নত রূপ। এলসিডি মনিটর ও এলইডি মনিটরের মধ্যে পার্থক্য গুলো হলোঃ


প্রযুক্তি: সাধারণ এলসিডি মনিটরে লাইটিং এর জন্য লাইটিং প্যানেল ব্যবহৃত হয়। দুইটি পাতলা, স্বচ্ছ কাঁচের প্যানেলের মাঝে polaraised Liquid Crystal থাকে, যা ছবি তৈরী করে। অপরদিকে এলইডি মনিটরে ব্যবহার করা হয় CCFL [Cold Cathode Fluoroscent Lamps] নামে একপ্রকার ব্যাকলাইটিং ডায়োড [Light Emitting Diode]। এর নামানুসারেই LED মনিটরের এরূপ নামকরণ হয়েছে। 


পাওয়ার কনসাম্পশন: এলইডি মনিটরের পাওয়ার কনসাম্পশন এলসিডির তূলনায় নগণ্যই বলা চলে। এলসিডি অপেক্ষা প্রায় ৪০% কম পাওয়ার খরচ করে এলইডি মনিটর। ভিউইং অ্যাঙ্গেল: LED মনিটরে প্রযুক্তিগত কারণেই LCD মনিটরের চেয়ে তূলনামূলকভাবে ভালো viewing angle পাওয়া যায়। তীর্যকভাবে দেখলে LCD monitor এ যেমন রং চেন্জ হয়ে যায় মনে হয়, কন্ট্রাস্ট খারাপ মনে হয়, LED monitor এ সেইসব সমস্যা প্রায় নেই বললেই চলে। 


সান লাইট ভিউইং: উজ্জল সূর্যের আলোতে এলইডি মনিটরে এলসিডির তুলনায় ভালো দেখা যায়। এইজন্য বর্তমান যুগের মোবাইল বা ট্যাবলেট পিসি গুলোতে LED বা LED এর কিছু উন্নততর সংস্করণ, যেমন AMOLED [Active-Matrix Organic Light-Emitting Diode] বা Super AMOLED ব্যবহৃত হচ্ছে। কন্ট্রাস্ট: LED মনিটরের ডায়নামিক এবং টিপিক্যাল উভয় প্রকার কন্ট্রাস্টই LCD মনিটরের তূলনায় বেশি। ফলে শার্প ইমেজ পাওয়া যায়। কন্ট্রাস্ট বেশি হলে “ডিটেইল” গুলোও ভালোভাবে দেখা যায়। সুতরাং গেমিং বা মুভির আসল মজা LED তেই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করা যায়। 


চোখের জন্য আরামদায়কতা: এইদিক থেকেও এলইডি এগিয়ে রয়েছে। এলইডি মনিটরে দীর্ঘসময় ধরে তাকিয়ে থাকতেও অস্বস্তি বোধ হয়না। কিন্তু এলসিডি মনিটর সামান্য হলেও চোখের জন্য কম আরামদায়ক। মুভি দেখার জন্য LED তাই খুবই উপকারী। 


স্থায়ীত্ব: হিসাব করে দেখা গেছে একটি LCD montior ৬০,০০০ ঘন্টা [দিনে ১০ ঘন্টা করে প্রায় ১৬ বছর] পর্যন্ত চলতে পারবে যেখানে LED monitor ১০০,০০০ ঘন্টা [দিনে ১০ ঘন্টা করে প্রায় ২৭ বছর!] পর্যন্ত চলতে সক্ষম। তবে ব্যাপারটি এমন নয় যে এই সময়ের পরে মনিটর নষ্ট হয়ে যাবে… ব্যাপারটি হল: এই সময়ের পরে কেনার সময়ের সময় যেই ব্রাইটনেস ছিল, তা কমতে থাকবে। 


তাপমাত্রা: যেহেতু LED তে LCD এর চেয়ে কম বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন হয়, তাই স্বাভাবিকভাবেই LED monitor, LCD monitor এর চেয়ে কম গরম হয়। 


পরিবেশ বান্ধবতা: এলসিডি মনিটরে ব্যবহার করা হয় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পারদ। নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত না করলে তা পরিবেশের ক্ষতি করে। অপরদিকে এলইডি মনিটরে পারদ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। 

Talk Doctor Online in Bissoy App